পৃথিবীর প্রতিবেশী গ্রহ মঙ্গলে উপরে একটি রহস্যময়
কুয়াশার সন্ধান পেয়েছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। আর এটি বিজ্ঞানীদের
চিন্তিত করে তুলেছে। সোমবার
বিবিসির অনলাইনে
প্রকাশিত প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
২০১২ সালে বড় আকারের একটি আস্তরণের সন্ধান
পেয়েছিলেন অপেশাদার জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। সেটি স্থায়ী হয়েছিল
১০ দিনের মতো। এক মাস পরে একই আকার
নিয়ে এটি আবারো
দেখা যায়। পরে আর এটি দেখা যায়নি।
বিজ্ঞানীরা তাদের তোলা ছবি বিশ্লেষণ করে জানিয়েছেন, এ আস্তরণের বিস্তৃতি ছিল এক হাজার কিলোমিটারেরও বেশি। যা এর আগে দেখা যায়নি।
বিজ্ঞান বিষয়ক জার্নাল ‘ন্যাচার’ এ বিজ্ঞানীরা লিখেছেন, ঐ রহস্যময় আস্তরণটি একটি
বড় মেঘ হতে পারে
অথবা অত্যন্ত উজ্জ্বল মেরুরেখা হতে পারে।
ইউরোপিয়ান মহাকাশ সংস্থার বিজ্ঞানী অ্যান্টোনিও
গার্সিয়া মুনোজ বিবিসিকে বলেছেন, আমরা জানি যে, মঙ্গলগ্রহে মেঘ আছে। তবে সেটির বিস্তৃতি ছিল সর্বোচ্চ ১০০ কিলোমিটার। তাই এই ধরণের আস্তরণের চিহ্ন পূবের্র চেয়ে ভিন্ন।
অন্য ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, এই আস্তরণটি মার্টিন ভার্সনের
উত্তরাঞ্চলীয় বা দক্ষিণাঞ্চলীয় আলো।
গার্সিয়া মুনোজ বলেছেন, মঙ্গলগ্রহে আগেও মেরুপ্রভার থাকার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু এই রেখার যে তীব্রতা তা মঙ্গল বা পৃথিবীর মেরুপ্রভার চেয়ে অনেক অনেক বেশি। শক্তিশালী মেরুপ্রভার চেয়েও এটি এক হাজার
গুণ বেশি শক্তিশালী। এটি বলা কঠিন
যে, মঙ্গলের এরকম মেরুপ্রভা আছে।
তিনি বলেছেন, এই দুই মতের একটিও যদি সত্যি হয় তবে
মঙ্গলের আবহাওয়া সম্পর্কে আমরা এখন পর্যন্ত যা ভাবছি তা ভুল প্রমাণিত হবে।
বিজ্ঞনীদের ধারণা যদি, সত্যিই সত্যিই এটি যদি মেঘের আস্তরণ হয়
তবে সেখানে পানির খোঁজও মিলবে।
এখন দেখার বিষয় শেষ পর্যন্ত পানির খোঁজ পাওয়া যায় কিনা?