Sports news - পাকিস্তানকে লজ্জায় ডুবালো ও. ইন্ডিজ


পাকিস্তানকে লজ্জায় ডুবালো ও. ইন্ডিজ
 
 
পাকিস্তানকে লজ্জায় ডুবিয়ে নিজেদের প্রথম জয় তুলে নিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দলের সামগ্রিক পারফরমেন্সের সুবাদে ১৫০ রানের বিশাল জয় পেয়েছে ক্যারিবিয়ানরা। অন্যদিকে টানা দ্বিতীয় পরাজয়ের স্বাদ পেল মিসবাহ’র দল।
 
শনিবার নিউ জিল্যান্ডের ক্রিস্টচার্চে টস হেরে ব্যাট করে ৩১১ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। জবাবে ১৬০ রানেই গুটিয়ে যায় পাকিস্তানের ইনিংস। ১ রান সংগ্রহ করতেই ৪ উইকেট হারিয়ে প্রথমেই ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে তারা।
 
৩১০ রানের জবাবে খেলতে নেমে প্রথম ওভারেই দুই উইকেট হারায় পাকিস্তান। উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান নাসির জামশেদ ও তার পরিবর্তে ব্যাটে আসা ইউনিস খানকে ফেরত পাঠান টেইলর। এখানেই শেষ নয় টেইলর ঝড়ে ১ রানের মাথায় ৪ উইকেট হারিয়ে এক প্রকার ম্যাচ থেকেই ছিটকে পড়ে তারা। ৪ ওভার শেষে পাকিস্তানের স্কোর দাঁড়ায় ১/৪। এর মধ্যে একটি উইকেট পান দলের অধিনায়ক হোল্ডার।
প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলে ব্যক্তিগত শূন্য রানে রাসেলের হাতে বিদায় নেন নাসির জামশেদ। এই ওভারের শেষ বলেই দ্বিতীয় উইকেটে দেখা পান টেইলর। পাকিস্তান দলের অন্যতম অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান ইউনিস খানকেও সাজঘর দেখান তিনি। দ্বিতীয় ওভারে মেইডেন পান হোল্ডার। তৃতীয় ওভারে আবারও আঘাত হানেন টেইলর। হারিস সোহেলকে ফেরত পাঠান তিনি। টেইলর ঝড়ে আঘাত কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই হোল্ডার। এবার তিনি ফেরত পাঠান আরেক উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান আহমেদ সেহজাদকে। এখানেই শেষ হয়ে যায় পাকিস্তানের জয়ের আশা।
 
এরপর অধিনায়ক মিসবাহ-উল হক ও সোয়েব মাকসুদ জুটি প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করে। তবে তাদের সেই পথ থেমে যায় দলীয় ২৫ রানের মাথায়। আন্দ্রে রাসেলের বলে গেইলের হাতে ক্যাচ দেন মিসবাহ। পরে সোয়েব মাকসুদের সঙ্গে ৮০ রানের জুটি গড়ে আরেক দফা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন উমর আকমল। বাকি তিন ব্যাটসম্যান শুধু ক্রিজে এসে তাদের দায়িত্ব শেষ করেন। ক্যারিবিয়ানদের পক্ষে টেইলর ও রাসেল তিনটি করে উইকেট পেয়েছেন।
 
এর আগে শেষ মুহূর্তে আন্দ্রে রাসেলের ঝড়ো ইনিংসের সুবাদে পাকিস্তানকে ৩১১ রানের বড় লক্ষ্য দেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ক্যারিবিয়ানদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৩১০/৬। শুধু ক্রিস গেইল ছাড়া দলের সব ব্যাটসম্যানই দুই অংকের কোঠা স্পর্শ করেন।
ব্যাট করতে নেমে দলীয় ১৭ রানের মাথায় আক্রমণাত্বক ব্যাটসম্যান ক্রিস গেইলকে হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। মোহাম্মদ ইরফানের বলে ওয়াহাব রিয়াজের হাতে ক্যাচ দেন তিনি। এর পরপরই সাজঘরের পথ ধরেন আরেক উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান ডুয়াইন স্মিথ। দলীয় ২৮ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ২৩ রান করে সোহাইল খানের শিকারে পরিণত হন তিনি।
 
এরপর ৭৫ রানের জুটি গড়ে দলকে বেশ খানিকটা এগিয়ে নেন স্যামুয়েলস ও ব্রাভো। দলের স্কোর শতক পেরোনের পরপরই হারিস সোহেলের বলে বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে ইয়াসির শাহ'র হাতে ক্যাচ দেন স্যামুয়েলস। এর আগেও তার বেশ কয়েকটি ক্যাচ ফেলে পাকিস্তানি ফিল্ডাররা।
                   
স্যামুয়েলসের বিদায়ের পর দলের হাল ধরেন ব্রাভো ও রামদিন। দুজন দলকে ভালোই এগিয়ে নিচ্ছিলেন। কিন্তু বিপত্তি ঘটে দলীয় ১৫২ রানের মাথায়। একটি থ্রো ব্রাভোর কানের পাশে লাগলে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে। এবার রামদিনের সঙ্গী হন সিমন্স। দুজনে মিলে সংগ্রহ করেন আরো ৪২ রান। দলীয় ১৯৪ রানের মাথায় হারিস সোহেলের দ্বিতীয় শিকার হন রামদিন। এর আগে তিনি অর্ধশতক পূরণ করেন। এরপর সিমন্স-সামি জুটি দ্রুত গতিতে সংগ্রহ করে ৬৫ রান। এই রান সংগ্রহ করতে তারা ব্যয় করেন ৭.২ ওভার। ২৫৯ রানের মাথায় সামি আউট হয়ে গেলে বাকি কাজটুকু শেষ করেন আন্দ্রে রাসেল। ১৩ বল থেকে তিনি সংগ্রহ করেন ৪২ রান। দলীয় স্কোর ততক্ষণে পৌঁছে গেছে ৩১০ রানে।
-

Latest

Popular Posts

Popular Posts

Popular Posts