ক্যানসার
নিরাময়ে বিকিরণ চিকিৎসায় বড় ধরনের পরিবর্তন এনেছে স্টেরিওট্যাকটিক বডি
রেডিয়েশন থেরাপি (এসবিআরটি) পদ্ধতি। এ পদ্ধতি প্রয়োগ করে এখন তিন-চার
দিনেই ক্যানসার রোগীকে সুস্থ করে তোলা সম্ভব হচ্ছে। এর জন্য বিকিরণ
জীববিজ্ঞান বিষয়ে বিশেষ জ্ঞান ও দক্ষতা প্রয়োজন।
নতুন এ পদ্ধতি নিয়ে গত শুক্রবার প্রথম আলোর সঙ্গে কথা বলেন যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব হেলথ সায়েন্স সেন্টারের রেডিয়েশন অনকোলজি বিভাগের অধ্যাপক সালাউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, এ পদ্ধতিতে অল্প সময়ে রোগীকে বেশি মাত্রা বা ডোজে বিকিরণ দিতে হয়।
প্রথাগত বিকিরণ চিকিৎসায় ক্যানসারের কোষ নষ্ট করার জন্য অতি শক্তিশালী রঞ্জনরশ্মি ব্যবহার করা হয়। এতে রোগীকে ছয় থেকে সাত সপ্তাহ ধরে বিকিরণ দেওয়া হয়। সর্বসাম্প্রতিক এসবিআরটি পদ্ধতিতে রোগী সুস্থ হচ্ছে তিন থেকে চার দিনেই। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র, জাপানসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ক্যানসার নিরাময়ে এটি এখন স্বীকৃত পদ্ধতি।
সালাউদ্দিন আহমেদ বর্তমান বিশ্বের প্রথম সারির একজন চিকিৎসাপদার্থবিদ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অধিকার করে ১৯৭৪ সালে পদার্থবিজ্ঞানে অনার্স ও ১৯৭৫ সালে মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সব বিভাগের মধ্যে সবচেয়ে ভালো ফলের জন্য তিনি কালীনারায়ণ বৃত্তি পান। ১৯-২০ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সিনেট ভবনে আয়োজিত ‘ফিজিকস ইন মেডিসিন অ্যান্ড ক্লিনিক্যাল নিউরো-ইলেকট্রোফিজিওলজি’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সেমিনারে অতিথি বক্তা হিসেবে যোগ দিতে তিনি ঢাকা এসেছিলেন।
নতুন পদ্ধতি ব্যাখ্যা করার সময় সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘ধরা যাক, একজন ফুসফুসের ক্যানসারের রোগীর জন্য ৬০ গ্রে (গ্রে হচ্ছে রঞ্জনরশ্মির একক) রঞ্জনরশ্মি দেওয়া দরকার। প্রথাগত পদ্ধতিতে রোগীকে সাধারণত দুই গ্রে করে রঞ্জনরশ্মি দেওয়া হয়। এতে ৩০ দিন সময় লাগে। সপ্তাহে পাঁচ দিন চিকিৎসা দিলে সময় লাগে ছয় সপ্তাহ। এসবিআরটি পদ্ধতিতে দিনে ২০ গ্রে রঞ্জনরশ্মি দেওয়া সম্ভব। তাতে তিন দিনেই চিকিৎসা দেওয়ার কাজটি শেষ হয়।’
সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, বিকিরণ চিকিৎসায় ক্যানসার টিউমার নষ্ট করার সময় আশপাশের টিস্যু যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয় বা কম ক্ষতিগ্রস্ত হয়, সে ব্যাপারে বিশেষভাবে সতর্ক থাকতে হয়। এসবিআরটি পদ্ধতি প্রয়োগের সময় রোগী যেন নড়াচড়া না করে, সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হয়। টিউমারের অবস্থান সম্পর্কে তথ্যের জন্য সুস্পষ্ট ছবি থাকা দরকার। পাশাপাশি রশ্মি প্রয়োগের কার্যকারিতা (রেডিও-বায়োলজিক্যাল ইফেক্ট) সম্পর্কে সঠিক হিসাব নির্ণয় করতে হবে। এ ছাড়া রশ্মি প্রয়োগের সময় চিকিৎসক, চিকিৎসাপদার্থবিদ, নার্সসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীর উপস্থিতিও নিশ্চিত করা জরুরি।
প্রবাসী এই চিকিৎসাপদার্থবিদ জানান, রশ্মি প্রয়োগের কার্যকারিতা নিয়েই তিনি মূলত গবেষণা করছেন। তাঁর উদ্ভাবিত পদ্ধতি ‘নিলিয়ার মেক্কানা-আহমেদ মডেল’ নামে স্বীকৃতি পেয়েছে।
বাংলাদেশে ক্যানসার চিকিৎসায় আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রযুক্তি এ দেশে আসবেই। তবে উচ্চপ্রযুক্তি সঠিকভাবে ব্যবহারের জন্য দক্ষ জনবল গড়ে তোলা খুবই জরুরি। সরকারি বা বেসরকারি উদ্যোক্তারা চাইলে, তিনি এ ব্যাপারে সহায়তা দিতে প্রস্তুত আছেন।
নতুন এ পদ্ধতি নিয়ে গত শুক্রবার প্রথম আলোর সঙ্গে কথা বলেন যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব হেলথ সায়েন্স সেন্টারের রেডিয়েশন অনকোলজি বিভাগের অধ্যাপক সালাউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, এ পদ্ধতিতে অল্প সময়ে রোগীকে বেশি মাত্রা বা ডোজে বিকিরণ দিতে হয়।
প্রথাগত বিকিরণ চিকিৎসায় ক্যানসারের কোষ নষ্ট করার জন্য অতি শক্তিশালী রঞ্জনরশ্মি ব্যবহার করা হয়। এতে রোগীকে ছয় থেকে সাত সপ্তাহ ধরে বিকিরণ দেওয়া হয়। সর্বসাম্প্রতিক এসবিআরটি পদ্ধতিতে রোগী সুস্থ হচ্ছে তিন থেকে চার দিনেই। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র, জাপানসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ক্যানসার নিরাময়ে এটি এখন স্বীকৃত পদ্ধতি।
সালাউদ্দিন আহমেদ বর্তমান বিশ্বের প্রথম সারির একজন চিকিৎসাপদার্থবিদ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অধিকার করে ১৯৭৪ সালে পদার্থবিজ্ঞানে অনার্স ও ১৯৭৫ সালে মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সব বিভাগের মধ্যে সবচেয়ে ভালো ফলের জন্য তিনি কালীনারায়ণ বৃত্তি পান। ১৯-২০ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সিনেট ভবনে আয়োজিত ‘ফিজিকস ইন মেডিসিন অ্যান্ড ক্লিনিক্যাল নিউরো-ইলেকট্রোফিজিওলজি’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সেমিনারে অতিথি বক্তা হিসেবে যোগ দিতে তিনি ঢাকা এসেছিলেন।
নতুন পদ্ধতি ব্যাখ্যা করার সময় সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘ধরা যাক, একজন ফুসফুসের ক্যানসারের রোগীর জন্য ৬০ গ্রে (গ্রে হচ্ছে রঞ্জনরশ্মির একক) রঞ্জনরশ্মি দেওয়া দরকার। প্রথাগত পদ্ধতিতে রোগীকে সাধারণত দুই গ্রে করে রঞ্জনরশ্মি দেওয়া হয়। এতে ৩০ দিন সময় লাগে। সপ্তাহে পাঁচ দিন চিকিৎসা দিলে সময় লাগে ছয় সপ্তাহ। এসবিআরটি পদ্ধতিতে দিনে ২০ গ্রে রঞ্জনরশ্মি দেওয়া সম্ভব। তাতে তিন দিনেই চিকিৎসা দেওয়ার কাজটি শেষ হয়।’
সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, বিকিরণ চিকিৎসায় ক্যানসার টিউমার নষ্ট করার সময় আশপাশের টিস্যু যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয় বা কম ক্ষতিগ্রস্ত হয়, সে ব্যাপারে বিশেষভাবে সতর্ক থাকতে হয়। এসবিআরটি পদ্ধতি প্রয়োগের সময় রোগী যেন নড়াচড়া না করে, সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হয়। টিউমারের অবস্থান সম্পর্কে তথ্যের জন্য সুস্পষ্ট ছবি থাকা দরকার। পাশাপাশি রশ্মি প্রয়োগের কার্যকারিতা (রেডিও-বায়োলজিক্যাল ইফেক্ট) সম্পর্কে সঠিক হিসাব নির্ণয় করতে হবে। এ ছাড়া রশ্মি প্রয়োগের সময় চিকিৎসক, চিকিৎসাপদার্থবিদ, নার্সসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীর উপস্থিতিও নিশ্চিত করা জরুরি।
প্রবাসী এই চিকিৎসাপদার্থবিদ জানান, রশ্মি প্রয়োগের কার্যকারিতা নিয়েই তিনি মূলত গবেষণা করছেন। তাঁর উদ্ভাবিত পদ্ধতি ‘নিলিয়ার মেক্কানা-আহমেদ মডেল’ নামে স্বীকৃতি পেয়েছে।
বাংলাদেশে ক্যানসার চিকিৎসায় আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রযুক্তি এ দেশে আসবেই। তবে উচ্চপ্রযুক্তি সঠিকভাবে ব্যবহারের জন্য দক্ষ জনবল গড়ে তোলা খুবই জরুরি। সরকারি বা বেসরকারি উদ্যোক্তারা চাইলে, তিনি এ ব্যাপারে সহায়তা দিতে প্রস্তুত আছেন।