সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার
১২১টি কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। তবে উপকারভোগী নির্বাচন-প্রক্রিয়া স্বচ্ছ
নয়—এমনটা মনে করেন কর্মসূচির ৮৪ শতাংশ উপকারভোগী। আবার দরিদ্রদের জন্য
কর্মসংস্থান সৃষ্টি কর্মসূচির ২৩ শতাংশ উপকারভোগীই রাজনৈতিক কারণে সুবিধা
পাচ্ছেন। অন্যদিকে বিরোধী দল-সমর্থিত ব্যক্তিদের এসব প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত
করা হচ্ছে না।
সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির ওপরে পরিচালিত এক জরিপে এমন তথ্যই উঠে এসেছে। জরিপটি করেছে রিসার্চ ইভাল্যুয়েশন অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড (আরইএডি)। রাজধানীর একটি হোটেলে এক অনুষ্ঠানে গতকাল মঙ্গলবার জরিপের ফলাফল তুলে ধরা হয়।
বাংলাদেশ সরকার, যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়া সরকারের অর্থায়নে দেশে সামাজিক কর্মসূচিগুলো সংস্কারের একটি প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। এটি চলবে ২০১৭ সাল পর্যন্ত। এ প্রকল্পকে এগিয়ে নিতে নতুন একটি ফোরাম গঠিত হয়েছে, যার নাম ন্যাশনাল ফোরাম ফর সোশ্যাল প্রোটেকশন (এনএফএসপি)। ফোরামে আছে সামাজিক সুরক্ষা নিয়ে কাজ করা ৪২টি এনজিও। সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধূরী এর আহ্বায়ক।
নতুন এই জোটের ঘোষণা দেওয়ার জন্যই গতকালের অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়। ইউকে এইড এবং অস্ট্রেলিয়া এইডের সহায়তায় অনুষ্ঠানটির আয়োজক মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন। অনুষ্ঠানে জরিপটি তুলে ধরেন আইএডির গবেষক সৈয়দ জাহাঙ্গীর হায়দার। দেশের রংপুর, সাতক্ষীরা, সিরাজগঞ্জ, চট্টগ্রাম এবং রাঙ্গামাটির ছয়টি উপজেলার, ২৭টি ইউনিয়ন পরিষদ ও তিনটি পৌরসভার ২ হাজার ৭০৪ জনের ওপর জরিপটি করা হয়। এতে অংশ নেওয়া এক-তৃতীয়াংশ ব্যক্তি সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনীতে অন্তর্ভুক্ত হতে পারেননি।
জরিপে বলা হয়, ভিজিডি কর্মসূচির উপকারভোগীদের ৩০ কেজি করে চাল দেওয়ার কথা থাকলেও তাঁরা পাচ্ছেন ২৫ কেজি করে। বয়স্ক ভাতা ও প্রতিবন্ধী ভাতা কর্মসূচির সুবিধাভোগীরা বলছেন, ভাতা দেওয়ার সময় তাঁদের কাছ থেকে ১০ টাকা করে কেটে রাখা হয়। কর্মসংস্থান সৃষ্টির কর্মসূচিতে সবচেয়ে বেশি অনিয়ম হয়। গ্রামের দরিদ্র লোকজন জানেনই না কোথায় তাঁরা অভিযোগ করবেন।
জরিপে মাঠপর্যায়ে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি ব্যবস্থাপনার দুর্দশার চিত্রও উঠে এসেছে। দায়িত্ব পালনকারী ৬৭ শতাংশ ব্যক্তি বলেছেন, উপকারভোগী নির্বাচনের ক্ষেত্রে তাঁরা দুটি ় বাধার মুখে পড়েন। তহবিল স্বল্পতা এবং রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ। তিনি বলেন, সরকারের নানা ধরনের সামাজিক নিরাপত্তামূলক কর্মসূচির প্রভাবে দেশে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা কমে এসেছে। ছয় বছর আগে যেখানে দরিদ্র মানুষের হার ছিল ৪৮ শতাংশ, সেটা এখন নেমেছে ২৪ শতাংশে। এই সময়ে হতদরিদ্রের হার ২৪ শতাংশ থেকে কমে হয়েছে ১২ শতাংশ।
সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এসব কর্মসূচি সম্পূর্ণভাবে স্থানীয় সরকার বাস্তবায়ন করছে। এখন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে তো রাজনৈতিক প্রভাব থাকতে পারে। এটা তাঁদের বিষয়।
অনুষ্ঠানে নবগঠিত ফোরাম এনএফএসপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম বলেন, ‘সরকার সামাজিক সুরক্ষা নিয়ে কাজ করছে, অনেক অর্থও ব্যয় করছে। কিন্তু এসবের বাস্তবায়নে মাঠপর্যায়ে বেশ কিছু সমস্যা দেখা দিচ্ছে। আমাদের শুধু সেই সমস্যাগুলো খুঁজে বের করলেই হবে না, এর সমাধান ও সুপারিশও তুলে ধরতে হবে। যেন এসব কর্মসূচি স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির সঙ্গে পরিচালিত হয়।’
অনুষ্ঠানে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের পরিচালক ও স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ তোফায়েল আহমেদ, দুর্যোগ ও ত্রাণ বিভাগের মহাপরিচালক আবদুল ওয়াজেদ, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব নুরুল কবির সিদ্দিকী, ডিএফআইডির এ দেশীয় পরিচালক সারাহ কুকসহ কয়েকটি এনজিওর প্রধানেরা বক্তব্য দেন।
সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির ওপরে পরিচালিত এক জরিপে এমন তথ্যই উঠে এসেছে। জরিপটি করেছে রিসার্চ ইভাল্যুয়েশন অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড (আরইএডি)। রাজধানীর একটি হোটেলে এক অনুষ্ঠানে গতকাল মঙ্গলবার জরিপের ফলাফল তুলে ধরা হয়।
বাংলাদেশ সরকার, যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়া সরকারের অর্থায়নে দেশে সামাজিক কর্মসূচিগুলো সংস্কারের একটি প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। এটি চলবে ২০১৭ সাল পর্যন্ত। এ প্রকল্পকে এগিয়ে নিতে নতুন একটি ফোরাম গঠিত হয়েছে, যার নাম ন্যাশনাল ফোরাম ফর সোশ্যাল প্রোটেকশন (এনএফএসপি)। ফোরামে আছে সামাজিক সুরক্ষা নিয়ে কাজ করা ৪২টি এনজিও। সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধূরী এর আহ্বায়ক।
নতুন এই জোটের ঘোষণা দেওয়ার জন্যই গতকালের অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়। ইউকে এইড এবং অস্ট্রেলিয়া এইডের সহায়তায় অনুষ্ঠানটির আয়োজক মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন। অনুষ্ঠানে জরিপটি তুলে ধরেন আইএডির গবেষক সৈয়দ জাহাঙ্গীর হায়দার। দেশের রংপুর, সাতক্ষীরা, সিরাজগঞ্জ, চট্টগ্রাম এবং রাঙ্গামাটির ছয়টি উপজেলার, ২৭টি ইউনিয়ন পরিষদ ও তিনটি পৌরসভার ২ হাজার ৭০৪ জনের ওপর জরিপটি করা হয়। এতে অংশ নেওয়া এক-তৃতীয়াংশ ব্যক্তি সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনীতে অন্তর্ভুক্ত হতে পারেননি।
জরিপে বলা হয়, ভিজিডি কর্মসূচির উপকারভোগীদের ৩০ কেজি করে চাল দেওয়ার কথা থাকলেও তাঁরা পাচ্ছেন ২৫ কেজি করে। বয়স্ক ভাতা ও প্রতিবন্ধী ভাতা কর্মসূচির সুবিধাভোগীরা বলছেন, ভাতা দেওয়ার সময় তাঁদের কাছ থেকে ১০ টাকা করে কেটে রাখা হয়। কর্মসংস্থান সৃষ্টির কর্মসূচিতে সবচেয়ে বেশি অনিয়ম হয়। গ্রামের দরিদ্র লোকজন জানেনই না কোথায় তাঁরা অভিযোগ করবেন।
জরিপে মাঠপর্যায়ে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি ব্যবস্থাপনার দুর্দশার চিত্রও উঠে এসেছে। দায়িত্ব পালনকারী ৬৭ শতাংশ ব্যক্তি বলেছেন, উপকারভোগী নির্বাচনের ক্ষেত্রে তাঁরা দুটি ় বাধার মুখে পড়েন। তহবিল স্বল্পতা এবং রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ। তিনি বলেন, সরকারের নানা ধরনের সামাজিক নিরাপত্তামূলক কর্মসূচির প্রভাবে দেশে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা কমে এসেছে। ছয় বছর আগে যেখানে দরিদ্র মানুষের হার ছিল ৪৮ শতাংশ, সেটা এখন নেমেছে ২৪ শতাংশে। এই সময়ে হতদরিদ্রের হার ২৪ শতাংশ থেকে কমে হয়েছে ১২ শতাংশ।
সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এসব কর্মসূচি সম্পূর্ণভাবে স্থানীয় সরকার বাস্তবায়ন করছে। এখন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে তো রাজনৈতিক প্রভাব থাকতে পারে। এটা তাঁদের বিষয়।
অনুষ্ঠানে নবগঠিত ফোরাম এনএফএসপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম বলেন, ‘সরকার সামাজিক সুরক্ষা নিয়ে কাজ করছে, অনেক অর্থও ব্যয় করছে। কিন্তু এসবের বাস্তবায়নে মাঠপর্যায়ে বেশ কিছু সমস্যা দেখা দিচ্ছে। আমাদের শুধু সেই সমস্যাগুলো খুঁজে বের করলেই হবে না, এর সমাধান ও সুপারিশও তুলে ধরতে হবে। যেন এসব কর্মসূচি স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির সঙ্গে পরিচালিত হয়।’
অনুষ্ঠানে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের পরিচালক ও স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ তোফায়েল আহমেদ, দুর্যোগ ও ত্রাণ বিভাগের মহাপরিচালক আবদুল ওয়াজেদ, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব নুরুল কবির সিদ্দিকী, ডিএফআইডির এ দেশীয় পরিচালক সারাহ কুকসহ কয়েকটি এনজিওর প্রধানেরা বক্তব্য দেন।