বাংলাদেশ ব্যাংক প্রথমবারের মতো ২৪ জন
প্রবাসী-আয় (রেমিট্যান্স) প্রেরককে পুরস্কৃত করেছে। ২০১৩ সালে সর্বাধিক
পরিমাণ প্রবাসী-আয় দেশে পাঠানোর ভিত্তিতে এ পুরস্কারের তালিকা তৈরি হয়।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরী অনুষ্ঠানে জানান, দেশে দুই হাজার ২০০ কোটি ডলারের যে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ হয়েছে, তার ৬৬ শতাংশ অর্থাৎ এক হাজার ৪৫০ কোটি ডলার প্রবাসীদের পাঠানো আয় থেকে এসেছে।
প্রবাসীদের পাঠানো এ অর্থ দিয়ে প্রায় পাঁচটি পদ্মা সেতু হতে পারে। আবার প্রবাসীদের পাঠানো এ পরিমাণ অর্থ দেশের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) প্রায় দেড় গুণ। চলতি ২০১৪-১৫ অর্থবছরের এডিপিতে বরাদ্দ হচ্ছে ৮০ হাজার ৩১৫ কোটি টাকা।
রাজধানীর মতিঝিলে হোটেল পূর্বাণী ইন্টারন্যাশনালে আয়োজিত জাঁকজমকপূর্ণ এক অনুষ্ঠানে গতকাল রোববার এসব প্রবাসীর হাতে ‘বাংলাদেশ ব্যাংক রেমিট্যান্স অ্যাওয়ার্ড-২০১৩’ তুলে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের প্রধান অতিথি থাকার কথা থাকলেও অসুস্থতার কারণে তিনি আসতে পারেননি।
বিপুল সংখ্যক ব্যাংকার, ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহী ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর নাজনীন সুলতানা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে আল হারামাইন পারফিউম গ্রুপ অব কোম্পানির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মাহতাবুর রহমান দ্বিতীয় সর্বাধিক পরিমাণ প্রবাসী-আয় দেশে পাঠিয়েছিলেন গত বছর। তিনি অনুষ্ঠানে বলেন, প্রবাসী-আয়ের সিংহভাগ আসে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো থেকে। এসব দেশে নাগরিকত্ব পাওয়ার সুযোগ নেই এবং ৬৫ বছর বয়স হলে আর এ দেশগুলোতে বসবাস করা যায় না। ফলে এ দেশগুলো থেকেই প্রবাসীরা বেশি অর্থ দেশে এনে বিনিয়োগ করেন। গত বছর সর্বাধিক পরিমাণে প্রবাসী-আয় দেশে পাঠিয়েছিলেন যুক্তরাজ্যের চক্ষু বিশেষজ্ঞ মাহিউল মোহাম্মদ খান। তবে তিনি অনুষ্ঠানে আসতে না পারায় তাঁর পক্ষে অ্যাওয়ার্ড নেন এ এফ এম জাকারিয়া।
উল্লেখ্য, গত বছর এক হাজার ৪৪৬ কোটি ডলারের সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা প্রবাসীরা দেশে পাঠান। এর মধ্যে ৮৪০ কোটি ডলার আসে মধ্যপ্রাচ্য থেকে।
মাহতাবুর রহমানের পরিবারের তিনজন গতকাল রেমিট্যান্স অ্যাওয়ার্ড পান। আনুষ্ঠানিক বক্তব্যে তিনি বলেন, তাঁরা এফসি অ্যাকাউন্টের (বৈদেশিক মুদ্রার হিসাব বা ফরেন কারেন্সি অ্যাকাউন্ট) মাধ্যমে দেশে অর্থ আনেন। কিন্তু তাঁদের এ বৈদেশিক মুদ্রার কেনা ও বেচার দরে অনেক পার্থক্য রাখে ব্যাংকগুলো। তিনি এ পার্থক্য কমিয়ে আনা বা কমিশনের ভিত্তিতে বৈদেশিক মুদ্রা কেনা-বেচার ব্যবস্থা করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে প্রস্তাব করেন। একই সঙ্গে তিনি প্রবাসী-আয় দেশে বিনিয়োগের সুযোগ করে দিতে একটি পৃথক রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা বা ইপিজেড স্থাপনে সরকারের কাছে দাবি তোলেন।
পরে প্রথম আলোর প্রশ্নের জবাবে মাহতাবুর রহমান বলেন, তিনি গত বছর এনআরবি ব্যাংকে ৪০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেন। তাঁর ভাই মোহাম্মদ অলিউর রহমান এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকে বিনিয়োগ করেন ৩৯ কোটি টাকা। আর ছেলে মোহাম্মদ এমাদুর রহমান আল-আরাফাহ্ ব্যাংকের পরিচালক এবং গত বছর হাসপাতালে বিনিয়োগ করে শীর্ষ ২৪-এর মধ্যে এসেছেন।
অপর অ্যাওয়ার্ড বিজয়ী মুকিতুর রহমান অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে বসবাস করেন। এ প্রতিবেদককে তিনি বলেন, সেখানে তিনি বিভিন্ন ধরনের ভোগ্যপণ্য কেনাবেচা করেন। গম, তেল, পশুখাদ্যসহ আরও কিছু পণ্যে তাঁর বার্ষিক লেনদেন দেড় থেকে দুই কোটি ডলার। তিনি গত বছর প্রায় ১০ লাখ ডলার দেশে পাঠিয়ে বিনিয়োগ করেছেন। টঙ্গীর তুগারপাড়ে তাঁর প্যাকেজিং ইন্ডাস্ট্রি আছে। স্কুলেও বিনিয়োগ করেছেন পিরোজপুর এলাকার এই প্রবাসী।
যাঁরা অ্যাওয়ার্ড পেলেন: যুক্তরাজ্যপ্রবাসী চক্ষু বিশেষজ্ঞ মাহিউল মোহাম্মদ খান, সংযুক্ত আরব আমিরাতে ব্যবসায়ী মোহাম্মদ মাহতাবুর রহমান, যুক্তরাষ্ট্রে প্রকৌশলী রেজাউল হাসান, কুয়েতে চাকরিজীবী জাকির হোসেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতে ব্যবসায়ী আবুল কালাম, হংকংয়ে ব্যবসায়ী সাইদুর রহমান, সংযুক্ত আরব আমিরাতে ব্যবসায়ী জাফর আহমেদ ও ব্যবসায়ী মোহাম্মদ এমাদুর রহমান, কুয়েতে প্রকৌশলী নাজমুল হোসেন গাজী, যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে চিকিৎসক নিজাম মোহাম্মদ মিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাতে ব্যবসায়ী এস এ কে একরামুজ্জামান, জার্মানিতে ব্যবসায়ী সৈয়দ আবদুল কাইয়ুম, ফিলিপাইনে ব্যবসায়ী আবু তাহের মোহাম্মদ আমানুল্লাহ্, যুক্তরাজ্যে চিকিৎসক মীর আজমল আলী, ইতালিতে ব্যবসায়ী ওহিদ মোল্লা, যুক্তরাজ্যে পরামর্শক শফি আহমদ চৌধুরী, কুয়েতে ব্যবসায়ী ইমাদুল ইসলাম, অস্ট্রেলিয়ায় ব্যবসায়ী মুকিতুর রহমান, মালয়েশিয়ায় ব্যবসায়ী আহমাদুল আমিন ও পাপুয়া নিউগিনিতে ব্যবসায়ী রবিন রহমান। এ ছাড়া ওয়েজ আর্নার বন্ডে বিনিয়োগ করে পুরস্কৃত হয়েছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতে ব্যবসায়ী মোহাম্মদ অলিউর রহমান, কানাডায় ব্যবসায়ী মিজান মোহাম্মদ জাহিদ, সংযুক্ত আরব আমিরাতে ব্যবসায়ী আবদুল করিম এবং একই দেশের ব্যবসায়ী আক্তার হোসেইন।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরী অনুষ্ঠানে জানান, দেশে দুই হাজার ২০০ কোটি ডলারের যে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ হয়েছে, তার ৬৬ শতাংশ অর্থাৎ এক হাজার ৪৫০ কোটি ডলার প্রবাসীদের পাঠানো আয় থেকে এসেছে।
প্রবাসীদের পাঠানো এ অর্থ দিয়ে প্রায় পাঁচটি পদ্মা সেতু হতে পারে। আবার প্রবাসীদের পাঠানো এ পরিমাণ অর্থ দেশের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) প্রায় দেড় গুণ। চলতি ২০১৪-১৫ অর্থবছরের এডিপিতে বরাদ্দ হচ্ছে ৮০ হাজার ৩১৫ কোটি টাকা।
রাজধানীর মতিঝিলে হোটেল পূর্বাণী ইন্টারন্যাশনালে আয়োজিত জাঁকজমকপূর্ণ এক অনুষ্ঠানে গতকাল রোববার এসব প্রবাসীর হাতে ‘বাংলাদেশ ব্যাংক রেমিট্যান্স অ্যাওয়ার্ড-২০১৩’ তুলে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের প্রধান অতিথি থাকার কথা থাকলেও অসুস্থতার কারণে তিনি আসতে পারেননি।
বিপুল সংখ্যক ব্যাংকার, ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহী ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর নাজনীন সুলতানা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে আল হারামাইন পারফিউম গ্রুপ অব কোম্পানির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মাহতাবুর রহমান দ্বিতীয় সর্বাধিক পরিমাণ প্রবাসী-আয় দেশে পাঠিয়েছিলেন গত বছর। তিনি অনুষ্ঠানে বলেন, প্রবাসী-আয়ের সিংহভাগ আসে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো থেকে। এসব দেশে নাগরিকত্ব পাওয়ার সুযোগ নেই এবং ৬৫ বছর বয়স হলে আর এ দেশগুলোতে বসবাস করা যায় না। ফলে এ দেশগুলো থেকেই প্রবাসীরা বেশি অর্থ দেশে এনে বিনিয়োগ করেন। গত বছর সর্বাধিক পরিমাণে প্রবাসী-আয় দেশে পাঠিয়েছিলেন যুক্তরাজ্যের চক্ষু বিশেষজ্ঞ মাহিউল মোহাম্মদ খান। তবে তিনি অনুষ্ঠানে আসতে না পারায় তাঁর পক্ষে অ্যাওয়ার্ড নেন এ এফ এম জাকারিয়া।
উল্লেখ্য, গত বছর এক হাজার ৪৪৬ কোটি ডলারের সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা প্রবাসীরা দেশে পাঠান। এর মধ্যে ৮৪০ কোটি ডলার আসে মধ্যপ্রাচ্য থেকে।
মাহতাবুর রহমানের পরিবারের তিনজন গতকাল রেমিট্যান্স অ্যাওয়ার্ড পান। আনুষ্ঠানিক বক্তব্যে তিনি বলেন, তাঁরা এফসি অ্যাকাউন্টের (বৈদেশিক মুদ্রার হিসাব বা ফরেন কারেন্সি অ্যাকাউন্ট) মাধ্যমে দেশে অর্থ আনেন। কিন্তু তাঁদের এ বৈদেশিক মুদ্রার কেনা ও বেচার দরে অনেক পার্থক্য রাখে ব্যাংকগুলো। তিনি এ পার্থক্য কমিয়ে আনা বা কমিশনের ভিত্তিতে বৈদেশিক মুদ্রা কেনা-বেচার ব্যবস্থা করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে প্রস্তাব করেন। একই সঙ্গে তিনি প্রবাসী-আয় দেশে বিনিয়োগের সুযোগ করে দিতে একটি পৃথক রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা বা ইপিজেড স্থাপনে সরকারের কাছে দাবি তোলেন।
পরে প্রথম আলোর প্রশ্নের জবাবে মাহতাবুর রহমান বলেন, তিনি গত বছর এনআরবি ব্যাংকে ৪০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেন। তাঁর ভাই মোহাম্মদ অলিউর রহমান এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকে বিনিয়োগ করেন ৩৯ কোটি টাকা। আর ছেলে মোহাম্মদ এমাদুর রহমান আল-আরাফাহ্ ব্যাংকের পরিচালক এবং গত বছর হাসপাতালে বিনিয়োগ করে শীর্ষ ২৪-এর মধ্যে এসেছেন।
অপর অ্যাওয়ার্ড বিজয়ী মুকিতুর রহমান অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে বসবাস করেন। এ প্রতিবেদককে তিনি বলেন, সেখানে তিনি বিভিন্ন ধরনের ভোগ্যপণ্য কেনাবেচা করেন। গম, তেল, পশুখাদ্যসহ আরও কিছু পণ্যে তাঁর বার্ষিক লেনদেন দেড় থেকে দুই কোটি ডলার। তিনি গত বছর প্রায় ১০ লাখ ডলার দেশে পাঠিয়ে বিনিয়োগ করেছেন। টঙ্গীর তুগারপাড়ে তাঁর প্যাকেজিং ইন্ডাস্ট্রি আছে। স্কুলেও বিনিয়োগ করেছেন পিরোজপুর এলাকার এই প্রবাসী।
যাঁরা অ্যাওয়ার্ড পেলেন: যুক্তরাজ্যপ্রবাসী চক্ষু বিশেষজ্ঞ মাহিউল মোহাম্মদ খান, সংযুক্ত আরব আমিরাতে ব্যবসায়ী মোহাম্মদ মাহতাবুর রহমান, যুক্তরাষ্ট্রে প্রকৌশলী রেজাউল হাসান, কুয়েতে চাকরিজীবী জাকির হোসেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতে ব্যবসায়ী আবুল কালাম, হংকংয়ে ব্যবসায়ী সাইদুর রহমান, সংযুক্ত আরব আমিরাতে ব্যবসায়ী জাফর আহমেদ ও ব্যবসায়ী মোহাম্মদ এমাদুর রহমান, কুয়েতে প্রকৌশলী নাজমুল হোসেন গাজী, যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে চিকিৎসক নিজাম মোহাম্মদ মিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাতে ব্যবসায়ী এস এ কে একরামুজ্জামান, জার্মানিতে ব্যবসায়ী সৈয়দ আবদুল কাইয়ুম, ফিলিপাইনে ব্যবসায়ী আবু তাহের মোহাম্মদ আমানুল্লাহ্, যুক্তরাজ্যে চিকিৎসক মীর আজমল আলী, ইতালিতে ব্যবসায়ী ওহিদ মোল্লা, যুক্তরাজ্যে পরামর্শক শফি আহমদ চৌধুরী, কুয়েতে ব্যবসায়ী ইমাদুল ইসলাম, অস্ট্রেলিয়ায় ব্যবসায়ী মুকিতুর রহমান, মালয়েশিয়ায় ব্যবসায়ী আহমাদুল আমিন ও পাপুয়া নিউগিনিতে ব্যবসায়ী রবিন রহমান। এ ছাড়া ওয়েজ আর্নার বন্ডে বিনিয়োগ করে পুরস্কৃত হয়েছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতে ব্যবসায়ী মোহাম্মদ অলিউর রহমান, কানাডায় ব্যবসায়ী মিজান মোহাম্মদ জাহিদ, সংযুক্ত আরব আমিরাতে ব্যবসায়ী আবদুল করিম এবং একই দেশের ব্যবসায়ী আক্তার হোসেইন।