International News - সংঘাতের বদলে সহযোগিতার কৌশল কেজরিওয়ালের

সংঘাতের বদলে সহযোগিতার কৌশল কেজরিওয়ালের


     
এক বছর আগে ছিল সংঘাতের রাজনীতি, এক বছর পর এখন সহযোগিতার নীতি আঁকড়ে এগোতে চাইছে আম আদমি পার্টি (এএপি)। আজ বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করে দিল্লির ভাবী মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল স্পষ্টভাবে এই ইঙ্গিত দিয়েছেন। একই আভাস পেয়েছেন কেন্দ্রীয় নগর উন্নয়নমন্ত্রী ভোঙ্কাইয়া নাইডু ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংও। এএপি নেতারা গতকাল বুধবার তাঁদের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের এক সূত্র বৃহস্পতিবার প্রথম আলোকে বলে, সহযোগিতার কথা প্রথম দিনেই প্রধানমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছিলেন। এএপি নেতৃত্বও সংঘাতের রাজনীতির রাস্তা থেকে সরে আসার ইঙ্গিত দিয়েছে। দেশ ও দিল্লির ক্ষেত্রে এই মনোভাব শুভ লক্ষণ।
শপথ গ্রহণের দিন রামলীলা ময়দানে উপস্থিত হওয়ার অনুরোধ জানালেও প্রধানমন্ত্রী ওই অনুষ্ঠানে থাকতে পারছেন না। কেজরিওয়ালকে সে কথা তিনি জানিয়েও দেন। ১৪ ফেব্রুয়ারি সারাটা দিনই মোদি থাকবেন মহারাষ্ট্রে, সাবেক মুখ্যমন্ত্রী এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ারের খাসতালুক বারামতিতে। পাওয়ারের মেয়ে সুপ্রিয়া সুলে এখন বারামতির সাংসদ। সেখানে কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্র আয়োজিত এক কৃষক সমাবেশে তিনি ও শরদ পাওয়ার ভাষণ দেবেন। রাজনৈতিক দিক থেকে ভিন্ন জোটের শরিক হলেও শরদ পাওয়ার লোকসভা ভোটের আগে থেকেই মোদির নেতৃত্বের প্রশংসা করতে থাকেন। কিন্তু তা হলেও তাঁরা কখনো একই মঞ্চে পাশাপাশি বসেননি। মোদি-পাওয়ারের কাছাকাছি আসা মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতেও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে। বিশেষত ভোটের আগে থেকেই শিব সেনা-বিজেপি সম্পর্কে যখন চিড় ধরেছে।
আগেরবারের ৪৯ দিনের শাসনে যে বিষয়গুলি নিয়ে কেজরিওয়াল কেন্দ্রের সঙ্গে সংঘাতে নেমেছিলেন, সেগুলির একটি হলো দিল্লিকে পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা ও অন্যটি জমি ব্যবহারের অধিকার পাওয়া। এই দুটি বিষয় নিয়ে আজ কেজরিওয়াল ও মন্ত্রিসভায় তাঁর সম্ভাব্য ডেপুটি মনীশ সিসোদিয়া প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন। কংগ্রেস আমলে বিজেপি দীর্ঘদিন এই দাবি জানিয়ে এলেও এবারের ভোটে সেই দাবি নিয়ে তাঁরা উচ্চবাচ্য করেননি। সিসোদিয়া জানিয়েছেন, আলোচনা খুব ভালো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী তাঁদের ‘চায় পে চর্চায়’ ডেকেছিলেন। তাঁরা পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা নিয়ে অনেক কথা বলেছেন। সিসোদিয়া বলেন, তাঁরা প্রধানমন্ত্রীকে বলেছেন, কেন্দ্র ও রাজ্যে শাসক দলের নিরঙ্কুশ গরিষ্ঠতা এক সুবর্ণ সুযোগ এনে দিয়েছে। এর ফলে উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে। প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতার বিষয়ে তাঁরা যে আশাবাদী, সে কথাও কেজরিওয়ালেরা মোদিকে মনে করিয়ে দেন। জবাবে মোদি তাঁদের বলেন, তিনিও সহযোগিতার রাজনীতিতে বিশ্বাসী। সবাইকে নিয়েই তিনি উন্নত ভারত গড়তে চান।
শনিবারের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের জন্য রামলীলা ময়দান সাজিয়ে তোলা হচ্ছে। এই ময়দানেই দুর্নীতি রোধে অনশন আন্দোলনে নেমেছিলেন আন্না হাজারে। কেজরিওয়াল সেই আন্দোলনে তাঁর শরিক ছিলেন। ৪৯ দিনের সরকারের শপথও তিনি এই রামলীলা ময়দানে নিয়েছিলেন। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে হাজির হওয়ার জন্য কেজরিওয়াল দিল্লিবাসীকে অনুরোধ জানিয়েছেন। দিল্লি পুলিশের অনুমান, শনিবার লক্ষাধিক মানুষ এই অনুষ্ঠানে হাজির থাকবেন। সে জন্য নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হচ্ছে।
-

Latest

Popular Posts

Popular Posts

Popular Posts