Donation can't washed sorrows - বিরোধী জোটের সঙ্গে আলোচনা নাকচ করে দগ্ধদের ১০ লাখ টাকা করে দিলেন প্রধানমন্ত্রী

     
হরতাল ও অবরোধে পেট্রলবোমায় দগ্ধদের দেখতে গতকাল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় দুই বছরের শিশু জুই আকতারের পাশে দাঁড়িয়ে কেঁদে ফেলেন তিনি l ছবি: বাসস
বিরোধী জোটের সঙ্গে আলোচনার সম্ভাবনা নাকচ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল বুধবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে পেট্রলবোমায় দগ্ধ ব্যক্তিদের দেখতে গিয়েছিলেন তিনি। রোগীদের খোঁজখবর নিয়ে বার্ন ইউনিট ছাড়ার আগে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কার সাথে আলোচনা করব? খুনির সাথে?’
বার্ন ইউনিটে দগ্ধ রোগীদের দেখে এসে কান্না চেপে রাখা গলায় প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তব্য শুরু করেন। তিনি বলেন, ‘শয়ে শয়ে মানুষ হত্যা করা এটা কোন ধরনের রাজনীতি? এটা জঙ্গিবাদ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড। এটা কোনো রাজনীতি না। অনেকে রাজনীতিকদের দোষ দেন। রাজনীতিকেরা কখনো পেট্রলবোমা হামলা করে মানুষ হত্যা করতে পারেন না।’
শেখ হাসিনা বলেন, এটা চলতে পারে না। এই যে ছোট্টো একটা বাচ্চা। কী অপরাধ সেই বাচ্চাটার? উনি গুলশানে আরাম-আয়েশে থেকে হুকুম দিয়ে দিয়ে মানুষ পোড়াচ্ছেন। এ মুহূর্তে মানুষ পোড়ানো বন্ধ করতে হবে। জঙ্গিবাদী কর্মকাণ্ডের হুকুমদাতা, অর্থ জোগানদাতা এবং যারা করছে, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যেভাবে জঙ্গিবাদের সাজা হচ্ছে, ঠিক সেভাবে তাঁর বিচারের ব্যবস্থা করা হবে।
গতকাল প্রধানমন্ত্রী বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন ৩৬ জনকে ১০ লাখ টাকা করে স্থায়ী আমানতের চেক হস্তান্তর করেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সূত্র জানিয়েছে, সহিংসতার শিকার সবার দায়িত্বই সরকার নেবে। গতকাল পর্যন্ত ৬৩ জনকে চেক দেওয়ার প্রস্তুতি ছিল। কিন্তু দগ্ধ বাকি ২৭ জন হাসপাতাল ছেড়ে গেছেন।
রাজনৈতিক সংকট সমাধানে নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে নেওয়া আলোচনার উদ্যোগ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ‘কার সাথে? হত্যাকারীর সাথে? আগুনে যে পুড়িয়ে মারে তার সাথে? খুনির সাথে আবার কিসের কথা? যার মাঝে এতটুকু মনুষ্যত্ব নেই, এতটুকু দয়ামায়া নেই? ওরা যারা সন্ত্রাস করছে, মানুষ পুড়িয়ে মারছে, তার সঙ্গে আমাকে এক করে দেখবে কেন? যারা মানুষ খুন করবে খুনি, তার সাথে আমাদের তুলনা করতে পারবে না।’
আলোচনার উদ্যোক্তাদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমার অপরাধ কী? আমি ছয় বছর দেশ চালাচ্ছি। কোথাও কোনো গাফিলতি নেই। এটা তারা চোখে দেখে না?’ তিনি খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুর পর খালেদা জিয়াকে সমবেদনা জানাতে গিয়ে ফটক থেকে ফিরে আসার প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ‘আমাকে যেভাবে অপমান করা হয়েছে, যাঁরা আলোচনার কথা বলছেন, তাঁদের যদি সেভাবে অপমান করা হতো, তাঁরা কি আর দ্বিতীয়বার যেতেন?’ আলোচনার উদ্যোক্তাদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, তাঁরা আগে খালেদা জিয়াকে মানুষ খুন করা থেকে বিরত থাকতে বলুন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পয়লা জানুয়ারি বই দিয়েছি। ছেলেমেয়েরা স্কুলে যেতে পারছে না। এসএসসি পরীক্ষা দিতে পারছে না। এটা কী ফাজলামি?’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমার ওপর আস্থা বা অনাস্থা নয়, মানুষ পেটের দায়ে রাস্তায় বেরোচ্ছে। আর খালেদা জিয়া তাদের পুড়িয়ে মারছে।’ খালেদা জিয়া উন্মাদ হয়ে গেছেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
সংবাদমাধ্যমগুলোকে সহিংসতার খবর কম করে প্রচারের আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, এতে করে বোমাবাজেরা উৎসাহ পাচ্ছে।
-

Latest

Popular Posts

Popular Posts

Popular Posts