কথা রাখলেন না অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল
মুহিত৷ বারবার তিনি বলেছেন, কালোটাকা সাদা করার সুযোগ তিনি আর দেবেন না।
তার পরও আবাসন খাতে বিনিয়োগ করলে কোনো প্রশ্ন ছাড়াই কালোটাকা সাদা
করার সুযোগটি অব্যাহত রাখলেন নতুন অর্থবছরেও।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাতটি ক্ষেত্রে কর পুনর্বিবেচনার সুপারিশ করেছিলেন। অর্থমন্ত্রী সেগুলোসহ মোট ২৯টি ক্ষেত্রে প্রস্তাবিত বাজেটে তাঁর রাজস্ব আয়ের পরিকল্পনার পুনর্বিন্যাসের প্রস্তাব করলে সংসদ কণ্ঠভোটে তা অনুমোদন করে। এই প্রক্রিয়াতেই গতকাল শনিবার অর্থবিল ২০১৪ পাস হয়েছে।
স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অধিবেশনে গতকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ উপস্থিত থাকেন। সংসদ নেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ গতকাল বাজেটের ওপর আলোচনা করেন।
অর্থমন্ত্রী ৫ জুন জাতীয় সংসদে ২০১৪-১৫ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন করেন। সেখানে তিনি আবাসন খাতে কালোটাকা সাদা করার সুযোগটি কৌশলে রেখে যান। এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনাও হয়। পরের দিন অর্থাৎ ৬ জুন সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী এ প্রসঙ্গে বলেছিলেন, ‘ধরে নেন এ সুযোগটি এখন থেকে নেই।’ কিন্তু তিনি গতকাল অর্থবিল পাসের আগে দেওয়া বক্তব্যে বলেন, ‘আবাসন খাতে প্রতি বর্গমিটারে নির্দিষ্ট পরিমাণ কর প্রদান করলে বিনা প্রশ্নে বিনিয়োগ মেনে নেওয়ার বিধানটি কর প্রদান পদ্ধতিতে সরলীকরণ মাত্র।’ এই বক্তব্যের মাধ্যমে অর্থমন্ত্রী কালোটাকা আবারও সাদা করার সুযোগ রেখে গেলেন।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল, বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, এই সুযোগ সাংবিধানের ২০-এর ২ ধারার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। আবার সরকারের এই আচরণ তাদের সব সময়ের যে অঙ্গীকার, তার সঙ্গে যায় না। তিনি বলেন, এতে কালোটাকার মালিকেরা উৎসাহিত হবেন। আর যাঁরা সঠিকভাবে কর দেন, তাঁদের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করা হলো।
ইফতেখারুজ্জামান আরও বলেন, ‘আমরা এর প্রতিবাদ জানাই। এতে অবৈধ আয়কারীদের হাতে আবাসন খাত কুক্ষিগত হবে। পিছিয়ে যাবেন সঠিকভাবে কর প্রদানকারীরা।’
কালোটাকা সাদা করার প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী সংসদে আরও বলেন, ‘অর্থ আইন, ২০১১-এর মাধ্যমে সরকারি ট্রেজারি বন্ডে বিনিয়োগকৃত অর্থের ওপর ১০ শতাংশ হারে কর প্রদান করলে বিনিয়োগকৃত অর্থ বিনা প্রশ্নে মেনে নেওয়ার বিধান করা হয়। বাস্তবে এ বিধানের সুযোগ করদাতারা গ্রহণ করেননি এবং এই সুযোগ রাখতে চাই না বিধায় এ-সংক্রান্ত বিধানটি বাতিলের প্রস্তাব করছি।’
অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, কোনো করদাতা অতীতে তাঁর আয়ের ওপর সঠিকভাবে কর পরিশোধ না করলে পরবর্তী সময়ে প্রযোজ্য কর এবং জরিমানা পরিশোধ করে কর অনারোপিত আয়ের ওপর কর পরিশোধ করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে করদাতাকে কোনো ছাড় দেওয়া হয়নি; প্রচলিত হারেই তাঁকে জরিমানাসহ কর দিতে হয়। এ ধরনের সুযোগ কর প্রদান ব্যবস্থাপনায় ভারসাম্য রক্ষায় রাখা প্রয়োজন বলে তা অব্যাহত রাখা যায়।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী মুঠোফোনে সারচার্জ আরোপের প্রস্তাব করলে অর্থমন্ত্রী তা গ্রহণ করেন। পাস হওয়া অর্থবিল অনুসারে দেশে উৎপাদিত মুঠোফোন ও আমদানিকৃত ফোনে ১ শতাংশ হারে সারচার্জ আরোপ হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই খাতে আয় হওয়া রাজস্ব শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে ব্যয় করা হবে। অর্থমন্ত্রী বলেন, তিনি এই অর্থ শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতের জন্য বরাদ্দ রাখবেন।
এদিকে অর্থবিল পাসের আগে দুজন সাংসদ জনমত যাচাইয়ের প্রস্তাব করলে কণ্ঠভোটে তা নাকচও হয়।
স্বতন্ত্র সাংসদ রুস্তম আলী ফরাজী সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আনেন। তিনি বলেন, দেশ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিদেশে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাতটি ক্ষেত্রে কর পুনর্বিবেচনার সুপারিশ করেছিলেন। অর্থমন্ত্রী সেগুলোসহ মোট ২৯টি ক্ষেত্রে প্রস্তাবিত বাজেটে তাঁর রাজস্ব আয়ের পরিকল্পনার পুনর্বিন্যাসের প্রস্তাব করলে সংসদ কণ্ঠভোটে তা অনুমোদন করে। এই প্রক্রিয়াতেই গতকাল শনিবার অর্থবিল ২০১৪ পাস হয়েছে।
স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অধিবেশনে গতকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ উপস্থিত থাকেন। সংসদ নেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ গতকাল বাজেটের ওপর আলোচনা করেন।
অর্থমন্ত্রী ৫ জুন জাতীয় সংসদে ২০১৪-১৫ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন করেন। সেখানে তিনি আবাসন খাতে কালোটাকা সাদা করার সুযোগটি কৌশলে রেখে যান। এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনাও হয়। পরের দিন অর্থাৎ ৬ জুন সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী এ প্রসঙ্গে বলেছিলেন, ‘ধরে নেন এ সুযোগটি এখন থেকে নেই।’ কিন্তু তিনি গতকাল অর্থবিল পাসের আগে দেওয়া বক্তব্যে বলেন, ‘আবাসন খাতে প্রতি বর্গমিটারে নির্দিষ্ট পরিমাণ কর প্রদান করলে বিনা প্রশ্নে বিনিয়োগ মেনে নেওয়ার বিধানটি কর প্রদান পদ্ধতিতে সরলীকরণ মাত্র।’ এই বক্তব্যের মাধ্যমে অর্থমন্ত্রী কালোটাকা আবারও সাদা করার সুযোগ রেখে গেলেন।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল, বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, এই সুযোগ সাংবিধানের ২০-এর ২ ধারার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। আবার সরকারের এই আচরণ তাদের সব সময়ের যে অঙ্গীকার, তার সঙ্গে যায় না। তিনি বলেন, এতে কালোটাকার মালিকেরা উৎসাহিত হবেন। আর যাঁরা সঠিকভাবে কর দেন, তাঁদের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করা হলো।
ইফতেখারুজ্জামান আরও বলেন, ‘আমরা এর প্রতিবাদ জানাই। এতে অবৈধ আয়কারীদের হাতে আবাসন খাত কুক্ষিগত হবে। পিছিয়ে যাবেন সঠিকভাবে কর প্রদানকারীরা।’
কালোটাকা সাদা করার প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী সংসদে আরও বলেন, ‘অর্থ আইন, ২০১১-এর মাধ্যমে সরকারি ট্রেজারি বন্ডে বিনিয়োগকৃত অর্থের ওপর ১০ শতাংশ হারে কর প্রদান করলে বিনিয়োগকৃত অর্থ বিনা প্রশ্নে মেনে নেওয়ার বিধান করা হয়। বাস্তবে এ বিধানের সুযোগ করদাতারা গ্রহণ করেননি এবং এই সুযোগ রাখতে চাই না বিধায় এ-সংক্রান্ত বিধানটি বাতিলের প্রস্তাব করছি।’
অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, কোনো করদাতা অতীতে তাঁর আয়ের ওপর সঠিকভাবে কর পরিশোধ না করলে পরবর্তী সময়ে প্রযোজ্য কর এবং জরিমানা পরিশোধ করে কর অনারোপিত আয়ের ওপর কর পরিশোধ করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে করদাতাকে কোনো ছাড় দেওয়া হয়নি; প্রচলিত হারেই তাঁকে জরিমানাসহ কর দিতে হয়। এ ধরনের সুযোগ কর প্রদান ব্যবস্থাপনায় ভারসাম্য রক্ষায় রাখা প্রয়োজন বলে তা অব্যাহত রাখা যায়।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী মুঠোফোনে সারচার্জ আরোপের প্রস্তাব করলে অর্থমন্ত্রী তা গ্রহণ করেন। পাস হওয়া অর্থবিল অনুসারে দেশে উৎপাদিত মুঠোফোন ও আমদানিকৃত ফোনে ১ শতাংশ হারে সারচার্জ আরোপ হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই খাতে আয় হওয়া রাজস্ব শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে ব্যয় করা হবে। অর্থমন্ত্রী বলেন, তিনি এই অর্থ শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতের জন্য বরাদ্দ রাখবেন।
এদিকে অর্থবিল পাসের আগে দুজন সাংসদ জনমত যাচাইয়ের প্রস্তাব করলে কণ্ঠভোটে তা নাকচও হয়।
স্বতন্ত্র সাংসদ রুস্তম আলী ফরাজী সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আনেন। তিনি বলেন, দেশ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিদেশে