বাংলাদেশ ব্যাংক ও
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) যৌথভাবে এ ব্যবস্থা চালু করেছে। উভয় সংস্থাই
বলছে, এতে কর ফাঁকি কমবে, মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ হবে এবং বিদেশ থেকে
পণ্য আসার সময়ও কম লাগবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মাহফুজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘ই-এলসি চালুর ফলে শুধু আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম সম্পন্ন করতে সময়ই কম লাগবে না, এতে কর ফাঁকি কমবে এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধেও সহায়ক হবে।’
এলসির কাগজপত্র বর্তমানে সনাতন পদ্ধতিতে (হাতে লেখা) পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে কাস্টমস। এতে এক শ্রেণির আমদানিকারক যে ফাঁকি দেন, তা প্রায়ই উঠে আসে না। কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও এনবিআর সূত্র জানায়, ই-এলসি পদ্ধতি চালুর ফলে দেশের সব ব্যাংক, কাস্টমস হাউস ও শুল্ক স্টেশনের এলসির তথ্য তাৎক্ষণিকভাবে জানতে পারবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও এনবিআর। এতে ব্যবসায়ীদের ফাঁকির প্রবণতা কমে আসবে।
প্রকৃতপক্ষে কোনো পণ্য আমদানি না হলেও ভুয়া কাগজপত্র দিয়ে এলসি খোলার অনেক ঘটনা রয়েছে দেশে। আমদানিকারক নামধারী কিছু লোক এ পথে দেশ থেকে অর্থ পাচার করে—এমন অভিযোগ পাওয়া যায়। আবার কর ফাঁকি দিতে মিথ্যা তথ্য দিয়েও পণ্য আমদানি করেন কেউ কেউ। এগুলো প্রতিরোধ করতেই ই-এলসি চালুর কথা চিন্তা করে বাংলাদেশ ব্যাংক ও এনবিআর।
বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা উদাহরণ দিয়ে জানান, ‘বিদেশ থেকে একটি পণ্য আমদানি করতে যদি ১০০ ডলার লাগে, তার ওপর যদি ২০ ডলার শুল্ক নির্ধারিত থাকে, তাহলে কর ফাঁকি দিতে কোনো আমদানিকারক পণ্যমূল্য হয়তো ২০ ডলার দেখান। তাতে তাঁর মাত্র পাঁচ ডলার শুল্ক পরিশোধ করতে হয়। আর এভাবে বিপুল অঙ্কের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে দেশ।’
এনবিআরের আওতাধীন শুল্ক ভবন ও শুল্ক স্টেশনগুলোতে আসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেমে স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা আগে থেকেই রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো এখন থেকে এর সঙ্গে যুক্ত হলো। ফলে এলসি-সম্পর্কিত তথ্যগুলো বিশ্বব্যাপী এ ব্যবস্থার মাধ্যমে আপলোড হবে। এর বাইরে চলতি মাসের মাঝামাঝিতে আনার পরিকল্পনা রয়েছে ইলেকট্রনিক এক্সপোর্ট বা ই-ইএক্সপি।
এনবিআরের সদস্য ও আসাইকুডা ওয়ার্ল্ড বাস্তবায়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. ফরিদউদ্দিন সই করা একটি চিঠি সম্প্রতি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, দেশের প্রধান প্রধান চেম্বার ও অ্যাসোসিয়েশন, শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তর, নিরীক্ষা গোয়েন্দা অধিদপ্তর, কাস্টম হাউস ও কমিশনার কার্যালয়গুলোতে পাঠানো হয়েছে।
ব্যবসায়ীরা কীভাবে লাভবান হবেন—জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘আগে কাগজপত্রে ছোটখাটো ভুলত্রুটির কারণে এলসি কার্যক্রম সম্পন্ন হতে দেরি হতো। এখন এগুলো তাড়াতাড়ি ধরা পড়বে, সংশোধনও হবে তাড়াতাড়ি। আর স্বাভাবিক কারণেই ব্যবসায়ীদের সময় বাঁচবে।’
বাংলাদেশ নিট পোশাক উৎপাদক ও রপ্তানিকারক সমিতির সাবেক সহসভাপতি মোহাম্মদ হাতেম প্রথম আলোকে বলেন, ‘প্রযুক্তি অবশ্যই ব্যবসায়ীদের সময় বাঁচায়। বাংলাদেশ ব্যাংক ও এনবিআরের এই উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানাই।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মাহফুজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘ই-এলসি চালুর ফলে শুধু আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম সম্পন্ন করতে সময়ই কম লাগবে না, এতে কর ফাঁকি কমবে এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধেও সহায়ক হবে।’
এলসির কাগজপত্র বর্তমানে সনাতন পদ্ধতিতে (হাতে লেখা) পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে কাস্টমস। এতে এক শ্রেণির আমদানিকারক যে ফাঁকি দেন, তা প্রায়ই উঠে আসে না। কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও এনবিআর সূত্র জানায়, ই-এলসি পদ্ধতি চালুর ফলে দেশের সব ব্যাংক, কাস্টমস হাউস ও শুল্ক স্টেশনের এলসির তথ্য তাৎক্ষণিকভাবে জানতে পারবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও এনবিআর। এতে ব্যবসায়ীদের ফাঁকির প্রবণতা কমে আসবে।
প্রকৃতপক্ষে কোনো পণ্য আমদানি না হলেও ভুয়া কাগজপত্র দিয়ে এলসি খোলার অনেক ঘটনা রয়েছে দেশে। আমদানিকারক নামধারী কিছু লোক এ পথে দেশ থেকে অর্থ পাচার করে—এমন অভিযোগ পাওয়া যায়। আবার কর ফাঁকি দিতে মিথ্যা তথ্য দিয়েও পণ্য আমদানি করেন কেউ কেউ। এগুলো প্রতিরোধ করতেই ই-এলসি চালুর কথা চিন্তা করে বাংলাদেশ ব্যাংক ও এনবিআর।
বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা উদাহরণ দিয়ে জানান, ‘বিদেশ থেকে একটি পণ্য আমদানি করতে যদি ১০০ ডলার লাগে, তার ওপর যদি ২০ ডলার শুল্ক নির্ধারিত থাকে, তাহলে কর ফাঁকি দিতে কোনো আমদানিকারক পণ্যমূল্য হয়তো ২০ ডলার দেখান। তাতে তাঁর মাত্র পাঁচ ডলার শুল্ক পরিশোধ করতে হয়। আর এভাবে বিপুল অঙ্কের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে দেশ।’
এনবিআরের আওতাধীন শুল্ক ভবন ও শুল্ক স্টেশনগুলোতে আসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেমে স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা আগে থেকেই রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো এখন থেকে এর সঙ্গে যুক্ত হলো। ফলে এলসি-সম্পর্কিত তথ্যগুলো বিশ্বব্যাপী এ ব্যবস্থার মাধ্যমে আপলোড হবে। এর বাইরে চলতি মাসের মাঝামাঝিতে আনার পরিকল্পনা রয়েছে ইলেকট্রনিক এক্সপোর্ট বা ই-ইএক্সপি।
এনবিআরের সদস্য ও আসাইকুডা ওয়ার্ল্ড বাস্তবায়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. ফরিদউদ্দিন সই করা একটি চিঠি সম্প্রতি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, দেশের প্রধান প্রধান চেম্বার ও অ্যাসোসিয়েশন, শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তর, নিরীক্ষা গোয়েন্দা অধিদপ্তর, কাস্টম হাউস ও কমিশনার কার্যালয়গুলোতে পাঠানো হয়েছে।
ব্যবসায়ীরা কীভাবে লাভবান হবেন—জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘আগে কাগজপত্রে ছোটখাটো ভুলত্রুটির কারণে এলসি কার্যক্রম সম্পন্ন হতে দেরি হতো। এখন এগুলো তাড়াতাড়ি ধরা পড়বে, সংশোধনও হবে তাড়াতাড়ি। আর স্বাভাবিক কারণেই ব্যবসায়ীদের সময় বাঁচবে।’
বাংলাদেশ নিট পোশাক উৎপাদক ও রপ্তানিকারক সমিতির সাবেক সহসভাপতি মোহাম্মদ হাতেম প্রথম আলোকে বলেন, ‘প্রযুক্তি অবশ্যই ব্যবসায়ীদের সময় বাঁচায়। বাংলাদেশ ব্যাংক ও এনবিআরের এই উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানাই।’