BangladeshI News - ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে প্রধান শিক্ষক সহ ১১০ পদ শূন্য



ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে প্রধান শিক্ষক সহ ১১০ পদ শূন্য
ব্রা‏‏হ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলায় ৪০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দীর্ঘ দিন ধরে শূন্য রয়েছে প্রধান শিক্ষকের পদ।  বিদ্যালয়গুলোতে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করে আসছেন সহকারি শিক্ষকগন। এতে করে প্রশাসনিক কার্যক্রম ও পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে বিদ্যালয়গুলোতে। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার নয়টি ইউনিয়নে রয়েছে ১২৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এর মধ্যে ৪০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পদ এক থেকে পাঁচ বছর ধরে শূন্য রয়েছে।  বিদ্যালয়গুলো হচ্ছে দুবাজাইল, তেলিকান্দি, জয়দরকান্দি পূর্ব, জয়দরকান্দি পশ্চিম, লোপাড়া, আজবপুর, বড়বুল্লা, দেওবাড়িয়া, কালীকচ্ছ পশ্চিম, আখিঁতারা, চৌড়াগুদা, বিটঘর, কুছনি, বুড্ডা, ধীতপুর, শাহজাদাপুর উত্তর, মলাইশ, নিয়ামতপুর, দুবাজাইল পশ্চিম, পাকশিমুল দক্ষিণ,  কালিশিমুল উত্তর, কালিশিমুল পূর্ব, ভূইশর পাথরহাটি, পরমানন্দপুর পশ্চিম, হরিপুর, লোপাড়া দক্ষিণ, নরশিংহপুর রাঙ্গুরীপাড়া, ঘাগড়াজুর দক্ষিণ, বড়াইল, টিঘর পূর্ব, শাখাইতি আকবরপাড়া, নাইলা, বিটঘর পূর্ব, সৈয়দটুলা পশ্চিম, জিলুকদারপাড়া, কাজীউড়া, নোয়াগাঁও মধ্যপাড়া, তিউরকোনা, কানিউচ্ছ গুচ্ছগ্রাম ও ধাউরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এসব বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষকগণ বছরের পর বছর ধরে  প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এ ছাড়া উপজেলায় নতুন পূরাতন ও সৃষ্ট মিলে  ৭০ টি সহকারি শিক্ষকের পদও শূন্য রয়েছে। শিক্ষকের অভাবে অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাঠদান মুখ থুবড়ে পড়েছে। খাতা দেখা ও অফিসিয়াল কাজ নিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন শিক্ষকরা। শাহজাদাপুর পূর্ব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হরিদাস ভৌমিক দুঃখ করে বলেন, ‘ ৬৫৯ জন শিক্ষার্থী, সহকারি শিক্ষকের ৪টি পদ শূন্য। খুব কষ্টে পাঠদান চলছে।’উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সৈয়দ আবুল খায়ের ইত্তোককে বলেন, ‘দীর্ঘ দিন ধরে উপজেলার ৪০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ শূণ্য থাকায় ওই বিদ্যালয়গুলোতে এক দিকে প্রশাসনিক কাজে সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে অন্য দিকে শিশু শিক্ষার্থীদের পড়াশুনা বিঘ্নিত হচ্ছে। বিষয়টি  উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে নিয়মিত অবহিত করা হচ্ছে।’উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ এমরান হোসেন বলেন, মাথা ছাড়া মানুষের দেহের যে অবস্থা হয়, প্রধান শিক্ষক বিহীন বিদ্যালয়গুলোরও এখন সে অবস্থা হয়েছে। এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।
-

Latest

Popular Posts

Popular Posts

Popular Posts