জীবিত
মেয়েকে মৃত ঘোষণা করে ঘটা করে শ্রাদ্ধ পালন করলেন এক বাবা। পালিয়ে
প্রেমিককে বিয়ে করায় এই কঠোর শাস্তি দেয়া হলো মেয়েকে। শনিবার ভালোবাসা
দিবসে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে হাওগার জগাছায় এই ঘটনা ঘটে।
আনন্দবাজার
পত্রিকার প্রতিবেনে বলা হয়েছে, সুশান্ত কানুর একমাত্র মেয়ে জয়ন্তী কানুর
সঙ্গে ভালবাসার সম্পর্ক হয় স্থানীয় ধাওড়ার বাসিন্দা রাজু সরকারের। রাজু
একটি বেসরকারি সংস্থার কর্মী। কিন্তু দরিদ্র বলে রাজুকে মেনে নেয়নি জয়ন্তীর
পরিবার। জয়ন্তীর অমতেই বিয়ে ঠিক করে ফেলেন লিলুয়ার এক যুবকের সঙ্গে। আগামী
২৭ ফেব্রুয়ারি বিয়ে ঠিক হয় তাদের। বিয়ের কেনাকাটা ও নিমন্ত্রণও সেরে ফেলে ঐ
তরুণীর পরিবার। কিন্তু গত ৩ তারিখ পালিয়ে যান জয়ন্তী। বিয়ে করেন রাজুকে।
বাড়ি ছেড়ে যাওয়ার দিনই মেয়েকে মৃত ঘোষণা করেন সুশান্ত কানু। ১২ দিন পরে
মেয়ের শ্রাদ্ধানুষ্ঠানের আয়োজনও করলেন তারা। ঘটনাচক্রে সেটি পড়ল শনিবার,
ভালোবাসা দিবসের দিন।
এ
দিন অশৌচান্তের সমস্ত নিয়ম মেনে পরিবারের সব পুরুষের মাথা ন্যাড়া করা হয়।
রীতিমতো পুরোহিত ডেকে জীবিত তরুণীর শ্রাদ্ধানুষ্ঠান হয়। এমনকি, সাদা কাপড়ের
প্যান্ডেল তৈরি করে আত্মীয়দের খাওয়া-দাওয়ারও ব্যবস্থা করেন বাবা-মা।
এর
আগে নাবালিকা মেয়েকে ফুঁসলিয়ে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পেয়ে
পুলিশও তদন্তে যায় তরুণীর শ্বশুরবাড়িতে। কিন্তু সেখানে ঐ তরুণী নিজের
জন্মের সার্টিফিকেট দেখিয়ে জানান, দু’দিন আগেই তার বয়স আঠারো পেরিয়েছে।
এরপর পুলিশের আর কিছু করার থাকে না।