News of Capital - এসআই ও ওসিদের প্রতি ডিএমপির ৯ নির্দেশ


এসআই ও ওসিদের প্রতি ডিএমপির ৯ নির্দেশ
 নাশকতা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে পুলিশের গ্রেফতারে সাধারণ মানুষ হয়রান হচ্ছে। থানা পর্যায়ের সাব ইন্সপেক্টর থেকে ওসি পর্যায়ের কর্মকর্তারা গ্রেফতার বাণিজ্যে জড়িয়ে পড়ছে। বিভিন্ন মহল থেকে এমন অভিযোগ তদন্ত করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সত্যতা পেয়েছে। এ কারণে এখন থেকে  নাশকতা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে চলমান গ্রেফতার অভিযানের পূর্বে নয়টি নির্দেশনা মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। শুক্রবার এই নির্দেশনা ডিএমপির সব ইউনিটে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। এই নির্দেশনা পুলিশ সদর দফতর থেকে দেশের সব পুলিশ ইউনিটে পাঠিয়ে দেয়া হবে।
গত ৫ জানুয়ারির পর থেকে নাশকতা প্রতিরোধে প্রতিদিন রাজধানীতে রাজনৈতিক নেতা-কর্মী, পিকেটার, পেট্রোল বোমা নিক্ষেপকারী ও বোমাবাজ গ্রেফতার হয়। এ সব গ্রেফতার অভিযানের সময় কিছু কিছু ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষকেও আটক করা হয়। থানায় আটক করে ছেড়ে দেয়ার কথা বলে মোটা অংকের টাকা আদায় করে। এর আগে গত বছরে ৫ জানুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ও পরে বিভিন্ন সময় এ রকম গ্রেফতারের নামে থানা পুলিশের সাব ইন্সপেক্টর থেকে ওসি পদমর্যাদার কর্মকর্তারা অর্থ বাণিজ্যে জড়িয়ে পড়ে। এ রকম সারা দেশে ৩০০ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে র্যাবকে তদন্তের নির্দেশ দেয়। র্যাবের তদন্তের বেশির ভাগ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়। তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থাও নেয়া হয়।
ডিএমপি সদর দফতরের একজন কর্মকর্তা জানান—অতীত অভিজ্ঞতা থেকে ওসি ও সাব ইন্সপেক্টররা এ ধরনের অপরাধে জড়িত না হওয়ার জন্য এই বিশেষ নির্দেশনা দেয়া হয়।
পুলিশের নির্দেশনায় বলা হয়েছে—নিরপরাধ কোনো ব্যক্তি যাতে হয়রানিমূলকভাবে গ্রেফতার হয়ে থানায় সোপর্দ না হন—এ বিষয় সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখা জরুরি। ব্লক রেইড বা নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে সংশ্লিষ্ট ঘটনাস্থল থেকে কোনো ব্যক্তিকে আটকের পর সংশ্লিষ্ট বিভাগের ডিসি, এডিসি ও এসি যাচাই করে নিরপরাধ ব্যক্তিকে হয়রানি না করার বিষয়টি নিশ্চিত করবেন। অন্যায়ভাবে বা কোনো সোর্সের মাধ্যমে প্ররোচিত হয়ে কোনো নিরপরাধ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা যাবে না। প্রতিদিন থানায় জিডি ও হাজত রেজিস্ট্রার পর্যালোচনা করে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের থানায় নেয়ার পর সঠিকভাবে রেজিস্ট্রারভুক্ত হয়েছে কিনা, তা পর্যবেক্ষণ করবেন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। জিডি ও হাজত রেজিস্ট্রার ছাড়া যাতে আটক হওয়া কোনো ব্যক্তি থানা-হাজত কিংবা অন্য কোনো কক্ষে অবস্থান না করে সে বিষয় ডিসি, এডিসি ও এসিকে জানাতে হবে।
নির্দেশনায় আরো বলা হয়—সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশ বা ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কোনো দল কোনো ব্যক্তিকে আটক করার সঙ্গে সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ডিসিকে জানাতে হবে। ডিসি বিষয়টি অবহিত করবেন অতিরিক্ত কমিশনার (ডিএমপি), অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি অ্যান্ড প্রসিকিউশন) ও যুগ্ম কমিশনারকে (ডিবি)। বেআইনিভাবে কোনো ব্যক্তিকে থানা বা ডিবি কার্যালয়ে অন্তরীণ করা না হয়, তা সংশ্লিষ্ট সব ডিসি নিশ্চিত করবেন। পুলিশের ভাবমূর্তি ও সরকারের সুনাম রক্ষা করতে হবে। চলমান সন্ত্রাস ও নাশকতা দমন অভিযান প্রশ্নবিদ্ধ হয়—এমন কোনো কর্মকাণ্ডে কেউ জড়ালে বিভাগীয় কঠোর শাস্তি ও ক্ষেত্র বিশেষে ফৌজদারি আইনের আওতায় নেয়া হবে। এমনকি যুগ্ম কমিশনার এবং তার চেয়ে উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা নিজ নিজ অধীনস্ত ইউনিটে আকস্মিক পরিদর্শন করবেন। কোনো নিরপরাধ ব্যক্তি হয়রানিমূলক গ্রেফতারের শিকার হচ্ছেন কিনা, তা তদারকি করবেন।
-

Latest

Popular Posts

Popular Posts

Popular Posts