Science and Technology news - হাতে কাজের ট্যাবলেট

কাজ, বিনোদন, যোগাযোগ—সহজেই সারা যায় ট্যাবলেটে।  মডেল: সায়রা, ছবি: সুমন ইউসুফ
হাতে হাতে এখন ল্যাপটপ কম্পিউটারের পাশাপাশি ট্যাবলেট কম্পিউটারও বেশ দেখা যাচ্ছে। ল্যাপটপের অনেক কাজই করা যায় ট্যাব বা প্যাড নামে পরিচিতি পাওয়া হাতের এই যন্ত্র দিয়ে। তারহীন ওয়াই-ফাই সুবিধা থাকায় ইন্টারনেট যেমন ব্যবহার করা যায়, তেমনি কোনো কোনো ট্যাবলেটে সিমকার্ড যুক্ত করে ফোনের কাজও করা যায়।
আধুনিক জীবনযাত্রায় ট্যাবলেট অনেকেরই কাজে লাগছে। আবার এর নকশা ও আকারের কারণে ফ্যাশনেবল যন্ত্র হিসেবেও কদর বাড়ছে। রায়ানস আইটি লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী আহমেদ হাসান বলেন, ‘শিক্ষার্থী বা তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য এটি বেশ কাজের। সহজে যেহেতু গ্রাফিকসের কাজ বা ভিডিও দেখানো যায়, তাই সৃজনশীল পেশাজীবীদের জন্য এটি বেশ কাজের। আর সহজেই ট্যাবলেটে সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট ব্যবহার করা যায়। করপোরেট প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা এটি বেশ ব্যবহার করেন।’
ট্যাবলেট যেমন
স্মার্টফোনের মতো ট্যাবলেট কম্পিউটারের পর্দা ছুঁয়ে ছুঁয়ে কাজ করা যায়। সাইম টেলিকমের স্বত্বাধিকারী মো. কামাল হোসেন বলেন, ‘ট্যাবলেটের পর্দার আকার ৭ থেকে ১২ ইঞ্চির মধ্যে হয়ে থাকে। পর্দার আকার বড় হওয়ায় অনেক ধরনের কাজ এটি দিয়ে করা যায়। আর নানা কাজের জন্য এতে থাকে বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন (অ্যাপ)।
বাজারে যেসব ট্যাবলেট পাওয়া যায় সেসবে এখন ১ থেকে ১.৪ গিগাহার্টজ গতির প্রসেসর থাকছে। এর সঙ্গে আছে ৫১২ মেগাবাইট থেকে ২ গিগাবাইট পর্যন্ত র্যা ম। ট্যাবলেটে সামনে-পেছনে দুদিকেই ক্যামেরা থাকে, যা দিয়ে ছবি ও ভিডিও ধারণ করা যায়। সাধারণত ৫ থেকে ৮ মেগাপিক্সেল মানের পেছনের ক্যামেরা এবং ১.৩ থেকে ৫ মেগাপিক্সেল পর্যন্ত সামনের ক্যামেরা থাকে। এগুলোতে ১৬ থেকে ১২৮ গিগাবাইট পর্যন্ত তথ্য ধারণ করার ব্যবস্থা থাকছে। এর ব্যাটারির চার্জ থাকে তিন থেকে নয় ঘণ্টা। বেশির ভাগ ট্যাবলেটেই তারহীন ওয়াই-ফাই এবং মুঠোফোনের সিমকার্ড ব্যবহার করা যায়।
সাধারণত অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে আইওএস, অ্যান্ড্রয়েড ও উইন্ডোজ থাকে ট্যাবলেটে।
ট্যাব আর প্যাডে পার্থক্য কী?
দুটোই মূলত ট্যাবলেট কম্পিউটার। ট্যাব ও প্যাড আসলে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের দেওয়া নাম। অ্যাপল কম্পিউটারের তৈরি ট্যাবলেট কম্পিউটারের নাম আইপ্যাড। আবার স্যামসাং যেমন তৈরি করেছে গ্যালাক্সি ট্যাব। প্যাড আর ট্যাব আদতে একই ধরনের যন্ত্র।
চলছে যেসব
বর্তমানে অফিসের কাজ, ইন্টারনেট ও গেম খেলার জন্য ট্যাবলেট বেশি কিনছেন ক্রেতারা, জানালেন ট্রান্সকম ইলেকট্রনিকসের ক্যাটাগরি সেলস ম্যানেজার মোহাম্মদ আল আমিন। অ্যাকটিভ স্টিচ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী আশরাফ উদ্দিন আহমেদ জানান, সাধারণত বিদেশ থেকে ক্রেতারা প্রতিনিয়ত নানা ধরনের অর্ডার কিংবা প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো নিয়ে ই-মেইলে যোগাযোগ করেন। সে ক্ষেত্রে সবচেয়ে জরুরি কাজগুলো ট্যাবলেটে করা যায়। এ ছাড়া সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ব্যবহার, অফিসের অন্যান্য কাজের (ডকুমেন্ট তৈরি, সম্পাদনা, নোট) ক্ষেত্রেও ট্যাবলেট বেশ উপকারি। বহনযোগ্য হওয়ায় এসব কাজ গাড়িতে বসেই করা যায়।
দেশের বাজারে বিভিন্ন নির্মাতার তৈরি নানা ধরনের ট্যাবলেট কম্পিউটার পাওয়া যায়। অ্যাপল, এসার, স্যামসাং, মাইক্রোসফট, আসুস, তোশিবা, লেনোভো, সনি, ফুজিৎসু, সিম্ফনি, টুইনমস ইত্যাদি ব্র্যান্ডের ট্যাবলেট কম্পিউটার বাজারে পাওয়া যায়। বাজারে ছয় হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৬০ হাজার টাকা পর্যন্ত দামের ট্যাবলেট কম্পিউটার পাওয়া যাচ্ছে।
কেনার আগে...
ট্যাবলেট কেনার আগে কিছু বিষয় মাথায় রাখা ভালো, যাতে যন্ত্রটি কেনার পর এর সঠিক ব্যবহার করা যায়।
 ট্যাবলেটটি কী কাজে ব্যবহার করা হবে।
 ব্যাটারি একবার চার্জ দিলে ট্যাবলেটটি কতক্ষণ চলবে।
 প্রসেসর ও র্যা মের ক্ষমতা কত—এ দুটির ওপরই নির্ভর করবে ট্যাবলেটে কাজ করার গতি।
 মেমোরি কত?
 পর্দার রেজ্যুলেশন কত?
 মুঠোফোনের থ্রিজি বা ফোরজি নেটওয়ার্ক সমর্থন করে কিনা এবং ওয়াই-ফাই সুবিধা আছে কিনা।
 মাল্টিটাস্কিং সুবিধা আছে কিনা?
-

Latest

Popular Posts

Popular Posts

Popular Posts