Media news - সাদামাটা লর্ড

এলা মারিজা লানি ইয়েলিক-ও’কনর (লর্ড)
একসময় তাঁর বর্ণনায় ব্যবহৃত হতো ‘প্রডিজি’ শব্দটি। বাংলায় ‘বিস্ময়কর শিশু প্রতিভা’। মাত্র ১৬ বছর বয়সেই মেয়েটি ঝড় তুলে ফেলেছিলেন বিশ্ব সংগীতের অঙ্গনে। প্রথম গান দিয়েই মাইলি সাইরাসের প্রতিযোগী হিসেবে বিলবোর্ড টপচার্টে উঠে আসে যাঁর নাম, তাঁকে অবাক করা প্রতিভা না বলে উপায় আছে?
পুরো নাম এলা মারিজা লানি ইয়েলিক-ও’কনর। সংগীতাঙ্গন তাঁকে চেনে ‘লর্ড’ নামে। আগে-পরে কিছু নেই, শুধু লর্ড। নিজের পরিচিতির জন্য নাম বদলে সাদামাটা ছোট নামটাই তাঁর পছন্দ হয়েছিল। অল্প বয়সেই খ্যাতি পেয়ে গেলেও সাদামাটা জীবনই তাঁর পছন্দ। এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘যাঁদের আমরা টিভি-পত্রিকায় দেখি, আমরা সব সময় তাঁদের ফিটফাট দেখতে চাই। আমাদের কাছে তাঁরা “বিউটিফুল অ্যালিয়েন”-এর মতো। দূর থেকে যাঁদের দেখে মুগ্ধ হওয়া যায়। আমার পক্ষে এত সেজেগুজে থাকা সম্ভব না। ফটোসেশন বা মিউজিক ভিডিওর জন্য সাজতে হয়, কিন্তু এমনিতে সাজগোজ ছাড়াই থাকি। এই যে দেখুন, আলসেমির কারণে চুলও আঁচড়ানো হয়নি...!’
২০১৩ সালে টাইম ম্যাগাজিনের সবচেয়ে প্রভাবশালী কিশোর-কিশোরীদের তালিকায় ছিল এই এলোমেলো চুলের মেয়েটির নাম। সে বছরই বেরিয়েছিল তাঁর প্রথম একক অ্যালবাম পিয়োর হিরোইন। ‘বিলবোর্ড হট হান্ড্রেড’ তালিকায় নাম ওঠানো সর্বকনিষ্ঠ সংগীতশিল্পীও তিনি। নিউজিল্যান্ডের এই গায়িকা হঠাৎ করেই খ্যাতি পেয়েছেন তাঁর প্রথম একক গান ‘রয়্যালস’ দিয়ে। মজার ব্যাপার হলো, ২০১২ সালে গানটি প্রথম আপলোড করা হয়েছিল লর্ডের সাউন্ডক্লাউড অ্যাকাউন্টে। শ্রোতারা যেন মুফতে তাঁর শুনতে পারে, সে জন্যই এই ব্যবস্থা। বছর না পেরোতেই গানটা যখন প্রায় ৬০ হাজার বার ডাউনলোড করা হয়ে গেল, লর্ড বুঝলেন, এবার বাণিজ্যিকভাবে মাঠে নামার সময় হয়েছে! এই এক গান দিয়েই ব্রুনো মারস, কেটি পেরিদের পেছনে ফেলে ২০১৪ সালে ‘সেরা পপ একক’ ক্যাটাগরিতে গ্র্যামি জিতে নিয়েছেন ১৮ বছর বয়সী তারকা।
গ্র্যামির অনুষ্ঠানে গিয়েও ঘটেছে এক মজার কাণ্ড। প্রথমবার এত বড় আসরে গিয়ে ভড়কে গিয়েছিলেন লর্ড। বড় বড় তারকাকে দেখছিলেন বিস্মিত চোখে। তাঁর ইতিউতি চাহনি দেখেই এগিয়ে আসেন টেইলর সুইফট। অপরিচিত কিশোরীটির সঙ্গে টেইলরের আন্তরিক আড্ডা দেখে আড়চোখে তাকাচ্ছিলেন অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিরা। একজন তো বলেই বসেছেন, ‘মেয়েটা কি তোমার ম্যানেজার?’ মজা করে টেইলর সুইফট বলেন, ‘হ্যাঁ, কেন?’ সেবার গ্র্যামির মঞ্চে গান করেছেন, এমনকি পুরস্কারও জিতেছেন লর্ড। পরে সাক্ষাৎকারে হাসতে হাসতে সাংবাদিকদের বলেন, ‘সেই লোক নিশ্চয়ই মঞ্চে আমাকে দেখে ভেবেছে, বাহ্, টেইলর সুইফটের ম্যানেজার তো দারুণ প্রতিভাবান!’
গত বছর দ্য হাঙ্গার গেমস মকিংজে -পার্ট ওয়ান ছবির ‘ইয়েলো ফ্লিকার বিট’ গানটি দিয়ে আবারও আলোচনায় উঠে এসেছেন লর্ড। এ ছাড়া সাদামাটা সাজেই বিভিন্ন বড় কনসার্টের আসর মাতিয়ে বেড়াচ্ছেন তিনি।

-

Latest

Popular Posts

Popular Posts

Popular Posts