Media news - ঐশ্বরিক উপস্থিতি

ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন
‘প্রত্যাবর্তন? এ আবার কী জিনিস?’ অবাক প্রশ্ন ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চনের। তাঁর তো প্রস্থানই হয়নি। তিনি ছিলেন সব সময়। একটু আড়ালে, তবু ছিলেন। কারও কল্পনায়, কারও ভাবনায়, গুঞ্জনে কিংবা নিছকই কথায় কথায় ঐশ্বরিয়া বলিউডেই ছিলেন। তাই কেউ যখন তাঁর ফিরে আসার গল্প জানতে চায়, তখন ঐশ্বরিয়ার গোলাপরাঙা মুখটায় ভর করে আক্ষেপের ছাপ। ফিরে আসার গল্প শোনাতে চান না তিনি। ঐশ্বরিয়া বলতে চান তাঁর বদলে যাওয়ার আখ্যান। সময়ের ব্যবধানে কেমন করে মুম্বাই শহরের একটি মেয়ে বনে গেলেন বিশ্বের প্রভাবশালী সুন্দরীদের একজন। এর পাশাপাশি ঘর-সংসার সামলে দিব্যি লক্ষ্মী বউয়ের তকমাও জয় করে নিয়েছেন। তাই সর্বগুণসম্পন্না এ অভিনেত্রীকে নিয়ে বলার মতো তো কত গল্পই আছে। কোনটা রেখে কোনটা শুনবেন ভক্তরা, তা-ই চিন্তার বিষয়!
সত্যিই, ঐশ্বরিয়া কিন্তু কখনোই পর্দার আড়াল হননি। চলচ্চিত্রে লম্বা সময় ধরে অনুপস্থিত থাকলেও নিজেকে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে তিনি রেখেছেন সব সময়। আলোচনা, সমালোচনা, গুজব কিংবা বির্তক, যা-ই হোক না কেন, বলিউডে নিজের অস্তিত্বকে কখনোই বিলীন হতে দেননি বচ্চন-বধূ। মাতৃত্বকালীন ছুটির সময় নানাভাবে তিনি উঠে এসেছেন খবরের শিরোনামে। সন্তানের জন্ম, তাঁর নামকরণ, এরপর হঠাৎ মুটিয়ে যাওয়া—মোট কথা কাজে না থাকলেও কথায় কথায় ঐশ্বরিয়া নিজেকে সবার সামনে বারবার নিয়ে এসেছেন। চার বছরের বিরতিতেও ঐশ্বরিয়া-মোহ কাটতে না দেওয়ার যত ধরনের কৌশল আছে সবই খাটানো হয়েেছ। তবে এসব কিন্তু ঐশ্বরিয়ার আগ বাড়িয়ে করতে হয়নি। এ অভিনেত্রীর প্রতাপ এতই যে তাঁর প্রতিটি কর্মকাণ্ড যেন নিজ থেকেই উঠে এসেছে আলোচনায়। কখনো ‘সবচেয়ে আকর্ষণীয় তারকা মা’ কিংবা কখনো ‘সবচেয়ে প্রভাবশালী অভিনেত্রী’ আবার ‘লাভজনক পণ্য প্রচারদূত’ হিসেবে জরিপ তালিকায় শীর্ষে থেকে নিজের উপস্থিতিকে ক্ষণে ক্ষণে বিশ্ববাসীকে জানান দিয়েছেন তিনি।
২০১১ সালে জন্ম নেয় ঐশ্বরিয়া ও অভিষেকের মেয়ে আরাধ্য। সে সময় থেকেই মেয়ের জন্য ঐশ্বরিয়া তাঁর সব ব্যস্ততাকে ঝেড়ে ফেলেন। বারবার তাঁর ফিরে আসার খবর শোনা গেলেও ঐশ্বরিয়াকে শুধু কান চলচ্চিত্র উৎসব কিংবা দু-একটা বিজ্ঞাপনের দূতের ভূমিকাতেই দেখা যায়। তবে গত ফেব্রুয়ারি থেকে অভিনেত্রী ঐশ্বরিয়া শুরু করেছেন তাঁর ছবি জাজবার কাজ। এ বছর ৯ অক্টোবরে ছবিটি মুক্তি পাবে। তাই কাজ চলছে জোরেশোরে। মেয়েকে শ্বশুর-শাশুড়ির জিম্মায় রেখে অ্যাশ আটঘাট বেঁধে শুটিংয়ে নেমেছেন। তবে কাজে ব্যস্ত হয়েও ঘর-সংসারকে ভুলে যাননি অ্যাশ। ক্ষণে ক্ষণে মেয়ের খবর নিচ্ছেন। অমিতাভ সেদিনও এক সংবাদ সম্মেলনে ছেলের বউয়ের প্রশংসা করে বললেন, ‘আজ আরাধ্যকে আমি ওয়াকি-টকিতে কথা বলা শিখিয়েছি, এ খবরটাও ঐশ্বরিয়াকে ফোন করে তার শুটিংয়ের ফাঁকে জানাতে হয়েছে। মোট কথা, ঘরে কী ঘটছে, তার পুরোটাই ঐশ্বরিয়ার জানা চাই।’
বলিউড থেকে দূরে গিয়েও যেমন হারিয়ে যাননি অ্যাশ, তেমনি এখন বলিউডে ফিরেও ঘর আর সংসার থেকে দূরে সরে যাননি। তাল মিলিয়ে দিব্যি তিনি এগিয়ে চলছেন। ঐশ্বরিয়ার এমন ঘর-বাইরের ভারসাম্য দেখে যে কারোরই অবাক হওয়া যেন স্বাভাবিক।

-

Latest

Popular Posts

Popular Posts

Popular Posts