সাম্প্রতিক হরতাল-অবরোধের মধ্যে নাশকতা চালাতে
কেউ যেন ব্যাংকিং চ্যানেল ব্যবহার করে অর্থ যোগান দিতে না পারে সে বিষয়ে
ব্যাংকগুলোকে বিশেষ সতর্কতার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এছাড়া
সন্ত্রাসী তত্পরতার ঝুঁকিপর্ণ
জেলাগুলোর ব্যাংক গ্রাহকদের গত ছয় মাসের লেনদেনের তথ্য পাঠাতে বলা হয়েছে। এ নির্দেশনা প্রতিটি শাখার সব কর্মকর্তাকে আজ বুধবারের মধ্যে অবহিত করতে হবে। গতকাল সব ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ পরিপালন কর্মকর্তাদের (ক্যামেলকো) নিয়ে অনুষ্ঠিত এক জরুরি বৈঠকে এ সতর্কতা দেয়া হয়।
জেলাগুলোর ব্যাংক গ্রাহকদের গত ছয় মাসের লেনদেনের তথ্য পাঠাতে বলা হয়েছে। এ নির্দেশনা প্রতিটি শাখার সব কর্মকর্তাকে আজ বুধবারের মধ্যে অবহিত করতে হবে। গতকাল সব ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ পরিপালন কর্মকর্তাদের (ক্যামেলকো) নিয়ে অনুষ্ঠিত এক জরুরি বৈঠকে এ সতর্কতা দেয়া হয়।
বৈঠকে বলা হয়,
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনার আলোকে ব্যাংকগুলোকে সন্দেহজনক লেনদেন
কঠোরভাবে তদারক করতে হবে। আর এ বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে ব্যাংকের প্রধান
মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ কর্মকর্তাকে। আর তারা সেটি বিশেষভাবে তদারক করছে
কিনা তা যাচাই করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। বাংলাদেশ আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিটের
(বিএফআইইউ) উদ্যোগে এ জরুরি বৈঠকের আয়োজন করা হয়। মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে
অর্থায়ন প্রতিরোধে এ ইউনিট কাজ করে। গত ৫ ফেব্রুয়ারি অর্থ মন্ত্রণালয়
পরিদর্শনে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্যাংকিং চ্যানেল ব্যবহার করে
জঙ্গি ও নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে যেন অর্থায়ন না হয় সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে
সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছিলেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর
ও বিএফআইইউর প্রধান আবু হেনা মো. রাজী হাসানের সভাপতিত্বে গতকালের বৈঠকটি
অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে ‘মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ বিষয়ে
ব্যাংকারের দায়িত্ব কর্তব্য’ বিষয়ে বিএফআইইউর উপ-প্রধান ও নির্বাহী পরিচালক
ম. মাহফুজুর রহমান বক্তব্য দেন। এসময় সংশ্লিষ্ট বিভাগের বিভিন্ন পর্যায়ের
কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।