ক্রিকেটে
স্লেজিং একটি নিত্য বিষয় হলেও এবার বিশ্বকাপে এ ব্যাপারে বেশ কঠোর হতে
যাচ্ছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল। ম্যাচের স্বাভাবিক ধারা বজায় রাখার
লক্ষ্যে বিশ্বকাপে স্লেজিং করার অভিযোগে শাস্তির বিধান রাখার সিদ্ধান্ত
নিয়েছে আইসিসি। প্রথমবার স্লেজিং করার অপরাধে বড় অঙ্কের জরিমানা ও একই
খেলোয়াড় যদি ঐ ম্যাচেই আবারো একই ঘটনা ঘটায় তবে ম্যাচ বহিষ্কারের মতো কঠিন
শাস্তির মুখে তাকে পড়তে হতে পারে।
বিষয়টি
নিশ্চিত করে আইসিসির প্রধান নির্বাহী ডেভিড রিচার্ড বলেছেন, যে সমস্ত
খেলোয়াড়ের ইতোমধ্যেই মাঠের মধ্যে বাজে আচরণের রেকর্ড রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে
প্রথমবার অভিযোগ প্রমাণ হলেই ম্যাচ বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিবে সংশ্লিষ্টরা।
মেলবোর্নে স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে রিচার্ডসন মঙ্গলবার বলেছেন, ‘এই
বিষয়টি প্রাক ম্যাচ দলীয় মিটিংয়ে সংশ্লিষ্ট সবাইকে জানিয়ে দেয়া হয়েছে।
বিশ্বকাপ শুরুর আগেই বেশ কয়েকটি দলের কিছু কিছু খেলোয়াড়েরর আচরণ নিয়ে
আমাদের কাছে রিপোর্ট আছে যা কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না। বিশেষ করে তরুণ
সমর্থক যারা ক্রিকেট উপভোগের জন্য মাঠে আসে তাদের কাছে এই বিষয়টি ভাল কোন
উদাহরণ হতে পারে না। গত কয়েক মাসে দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন সিরিজে আইসিসি কোড
অব কন্ডাক্টের ১২-১৩ ধারায় বিষয়টি নিয়ে কাজ করা হয়েছে। তাই আমি বলবো
ইতোমধ্যেই এই আইনের কার্যকারীতা শুরু হয়ে গেছে। দলগুলোকে ইতোমধ্যেই জানিয়ে
দেয়া হয়েছে এই ধরনের ঘটনায় আম্পায়ারদের আগের থেকে কঠোর মনোভাব পোষন করার
নির্দেশ রয়েছে। ম্যাচ রেফারির দেয়া জরিমানার অঙ্কও আগের থেকে কয়েকগুন
বাড়ানো হয়েছে।’
আইসিসির
নতুন এই আইনে অনেকটা হুমকির মুখে পড়তে পারেন স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ার
উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান ডেভিড ওয়ার্নার। গত দুই মাচে দুইবার কোড অব কন্ডাক্ট
ভঙ্গের দায়ে তাকে অভিযুক্ত করে শাস্তি প্রদান করা হয়েছে। এই তালিকায় আরো
রয়েছেন ভারতীয় ব্যাটসম্যান শিখর ধাওয়ান এবং বিরাট কোহলি। গত ডিসেম্বরে
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে এই দুজনকে জরিমানা করা হয়েছিল।