ভারতের রাজধানী দিল্লির কাছাকাছি একটি শহরে
মানসিক প্রতিবন্ধী এক মহিলাকে গণধর্ষণ করে হত্যা করেছে কতিপয় পাষণ্ড। ওই
মহিলার হূদপিণ্ড এবং ফুঁসফুঁস পর্যন্ত পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন
চিকিত্সকরা। পুলিশ নৃশংস এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আটজনকে গ্রেপ্তার
করেছে। এদিকে রবিবার জয়পুরে এক জাপানি নারী পর্যটককে ধর্ষণ করেছে তার
গাইড। এসব ঘটনায় ভারতজুড়ে ব্যাপক প্রতিবাদ বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। খবর
বিবিসি ও এনডিটিভি’র।
রবিবার বহু মহিলাসহ শত শত মানুষ রোতাক নামে
শহরটির পাশে দিল্লিমুখী একটি মহাসড়ক অবরোধ করার পর হরিয়ানা রাজ্যের পুলিশ
নড়েচড়ে বসে। ২৮ বছর বয়সী ওই মহিলাকে পহেলা ফেব্রুয়ারি থেকে পাওয়া যাচ্ছিল
না। এরপর গত বুধবার আকবরপুর গ্রামের একটি খোলা মাঠে তার ছিন্নভিন্ন দেহ
খুঁজে পাওয়া যায়। ময়নাতদন্তে নিশ্চিত করা হয়, মৃত্যুর আগে ওই মহিলা ধর্ষণের
শিকার হন। ড. এস কে টাটারাওয়াল নামের যে চিকিত্সক ময়না তদন্ত করেছেন,
তিনি জানিয়েছেন মহিলার ওপর অমানবিক নির্যাতন চালানো হয়। তার স্পর্শকাতর
স্থানে ব্যাপক নির্যাতন করা হয়েছে। এমনকি তার হূদপিণ্ড এবং ফুঁসফুঁস
পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। তিনি বলেন, আমার ৩০ বছরের চাকরি জীবনে এত নৃশংস ঘটনা
প্রত্যক্ষ করিনি। স্থানীয় একজন সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তা শশাঙ্ক আনন্দ
বলেছেন, প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে এটা ধর্ষণ এবং হত্যার ঘটনা। জানা
গেছে, কয়েক মাস আগে নেপাল থেকে মহিলাটি রোতাকে এসে তার বোনের কাছে ওঠে।
স্থানীয় একটি হাসপাতালে তার চিকিত্সা হচ্ছিলো। পুলিশ জানিয়েছে, নিখোঁজ
হওয়ার চারদিন পর তার বোনের বাড়ি থেকে ১৮ কি.মি দূরে তার মৃতদেহ পাওয়া যায়।
পুলিশ যথেষ্ট তত্পর নয় বলে জানিয়েছে নিহত মহিলার বোন। পুলিশ আটজনকে
গ্রেপ্তার করেছে এবং অন্য একজনকে খুঁজছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে এ ঘটনায়
বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। ২০১২ সালে দিল্লিতে চলন্ত বাসে এক মহিলাকে গণধর্ষণ
করে হত্যার পর সারা ভারতে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। সংবাদদাতারা বলছেন, ওই ঘটনার
পর আইন অনেক শক্ত করা হলেও দিল্লিতে ধর্ষণের ঘটনা কমার তেমন কোনো লক্ষণ
এখনো দেখা যায়নি।