ভারতের
অর্থনীতির যে ছবিটা কেন্দ্রীয় বাজেট পেশের আগের দিন প্রকাশিত হলো, তা
বুঝিয়ে দিচ্ছে, অর্থনৈতিক সংস্কারের বকেয়া কাজগুলো অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি
সেরে ফেলতে উদ্যোগী হবেন। আজ শনিবার লোকসভায় বাজেট পেশ করবেন জেটলি। তার
আগের দিন গতকাল শুক্রবার দেশের অর্থনৈতিক সমীক্ষায় বলা হচ্ছে, সবকিছু
ঠিকঠাক চললে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ভারতের প্রবৃদ্ধির হার হবে ৮ দশমিক ১ থেকে ৮
দশমিক ৫ শতাংশ। প্রতিবেদনে এ কথাও বলা হয়েছে, প্রবৃদ্ধির হার ঊর্ধ্বমুখী
থাকবে এবং তা ১০ শতাংশেও নিয়ে যাওয়া সম্ভব।
কংগ্রেস আমলের দ্বিতীয় ভাগে দেশের প্রবৃদ্ধির হার কমে গিয়েছিল। জোট সরকারের বাধ্যবাধকতা ও আন্তর্জাতিক মন্দাই ছিল তার কারণ। সেই অবস্থার অবসান ঘটেছে। আন্তর্জাতিক বাজারে অশোধিত তেলের দাম ব্যাপকভাবে কমে যাওয়া ভারতের অর্থনীতিকে চাঙা হতে সাহায্য করেছে। সমীক্ষায় বলা হয়েছে, ২০১৩ সালের তুলনায় মুদ্রাস্ফীতি ৬ শতাংশের বেশি কমেছে, বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয় বেড়েছে, বেড়েছে রপ্তানির পরিমাণ এবং শিল্পোৎপাদন। পরিষেবা খাতে প্রবৃদ্ধি ঘটেছে ১০ শতাংশের বেশি।
সবচেয়ে ইতিবাচক বিষয় খাদ্যশস্যের উৎপাদন বৃদ্ধি। চলতি আর্থিক বছরে ভারতে মোট খাদ্যশস্য উৎপাদনের পরিমাণ ২৫ কোটি ৭০ লাখ টনের বেশি হবে। গত বছরের তুলনায় তা প্রায় ৮৫ লাখ টন বেশি। কৃষিক্ষেত্রে উৎপাদন বৃদ্ধি প্রবৃদ্ধির হার ৮ শতাংশের কোঠা ছোঁয়ার সম্ভাবনার একটি প্রধান কারণ।
ভারতে প্রতিবছরই দেখা যায়, বাজেট রচনার সময় কোষাগার ঘাটতির পরিমাণ যত ধরা হয়, ঘাটতি কার্যত তার বেশি হয়ে যায়। চলতি বছরের ধার্য ৪ দশমিক ১ শতাংশ ঘাটতির হার বজায় রাখা সম্ভব হবে বলে মনে করা হচ্ছে। এ জন্য ভর্তুকির পরিমাণ ও প্রবণতা কমানোর দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। দেশের অভ্যন্তরীণ অবস্থা ও বৈদেশিক বিষয়গুলোর স্থিতিশীলতার কারণে অর্থনৈতিক সংস্কারের ওপর জোর দেওয়ার রাস্তায় হাঁটছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বৃহস্পতিবার রেল বাজেটে তার প্রতিফলন ঘটেছে। আজ পেশ হতে যাওয়া সাধারণ বাজেটেও তার ইঙ্গিত থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সমীক্ষা অনুযায়ী প্রত্যাশিত সংস্কারের পথে এগোনোর এটাই উপযুক্ত সময়। যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় রাজ্যগুলোর হাতে আরও বেশি অর্থ দেওয়ার সুপারিশ মেনে মোদি রাজ্যগুলোর প্রাপ্ত হার ১০ শতাংশ বৃদ্ধি করেছেন। জনপ্রিয় ধারণা, আয়করে ছাড়, সঞ্চয় বাড়াতে বাড়তি উদ্যোগ এবং চাকরিজীবী মধ্যবিত্তদের সুবিধা দেওয়ার পাশাপাশি অর্থমন্ত্রী প্রত্যাশিত সংস্কারের পথে এগোবেন। অর্থনৈতিক সমীক্ষার ইঙ্গিতও তেমনই।
কংগ্রেস আমলের দ্বিতীয় ভাগে দেশের প্রবৃদ্ধির হার কমে গিয়েছিল। জোট সরকারের বাধ্যবাধকতা ও আন্তর্জাতিক মন্দাই ছিল তার কারণ। সেই অবস্থার অবসান ঘটেছে। আন্তর্জাতিক বাজারে অশোধিত তেলের দাম ব্যাপকভাবে কমে যাওয়া ভারতের অর্থনীতিকে চাঙা হতে সাহায্য করেছে। সমীক্ষায় বলা হয়েছে, ২০১৩ সালের তুলনায় মুদ্রাস্ফীতি ৬ শতাংশের বেশি কমেছে, বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয় বেড়েছে, বেড়েছে রপ্তানির পরিমাণ এবং শিল্পোৎপাদন। পরিষেবা খাতে প্রবৃদ্ধি ঘটেছে ১০ শতাংশের বেশি।
সবচেয়ে ইতিবাচক বিষয় খাদ্যশস্যের উৎপাদন বৃদ্ধি। চলতি আর্থিক বছরে ভারতে মোট খাদ্যশস্য উৎপাদনের পরিমাণ ২৫ কোটি ৭০ লাখ টনের বেশি হবে। গত বছরের তুলনায় তা প্রায় ৮৫ লাখ টন বেশি। কৃষিক্ষেত্রে উৎপাদন বৃদ্ধি প্রবৃদ্ধির হার ৮ শতাংশের কোঠা ছোঁয়ার সম্ভাবনার একটি প্রধান কারণ।
ভারতে প্রতিবছরই দেখা যায়, বাজেট রচনার সময় কোষাগার ঘাটতির পরিমাণ যত ধরা হয়, ঘাটতি কার্যত তার বেশি হয়ে যায়। চলতি বছরের ধার্য ৪ দশমিক ১ শতাংশ ঘাটতির হার বজায় রাখা সম্ভব হবে বলে মনে করা হচ্ছে। এ জন্য ভর্তুকির পরিমাণ ও প্রবণতা কমানোর দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। দেশের অভ্যন্তরীণ অবস্থা ও বৈদেশিক বিষয়গুলোর স্থিতিশীলতার কারণে অর্থনৈতিক সংস্কারের ওপর জোর দেওয়ার রাস্তায় হাঁটছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বৃহস্পতিবার রেল বাজেটে তার প্রতিফলন ঘটেছে। আজ পেশ হতে যাওয়া সাধারণ বাজেটেও তার ইঙ্গিত থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সমীক্ষা অনুযায়ী প্রত্যাশিত সংস্কারের পথে এগোনোর এটাই উপযুক্ত সময়। যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় রাজ্যগুলোর হাতে আরও বেশি অর্থ দেওয়ার সুপারিশ মেনে মোদি রাজ্যগুলোর প্রাপ্ত হার ১০ শতাংশ বৃদ্ধি করেছেন। জনপ্রিয় ধারণা, আয়করে ছাড়, সঞ্চয় বাড়াতে বাড়তি উদ্যোগ এবং চাকরিজীবী মধ্যবিত্তদের সুবিধা দেওয়ার পাশাপাশি অর্থমন্ত্রী প্রত্যাশিত সংস্কারের পথে এগোবেন। অর্থনৈতিক সমীক্ষার ইঙ্গিতও তেমনই।