উদ্ভট
সব কীর্তিকলাপ ঘটিয়ে ‘ব্যাডবয়’ তকমা পেয়েছেন বলিউডের অন্যতম প্রভাবশালী
অভিনেতা সালমান খান। গাড়িচাপা দিয়ে মানুষ হত্যা থেকে শুরু করে বিরল
প্রজাতির প্রাণী হত্যা, সাবেক প্রেমিকা ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চনের গায়ে হাত
তোলাসহ আরও অনেক অঘটনের জন্ম দিয়ে বহুবার মুখরোচক খবরের জোগান দিয়েছেন ৪৯
বছর বয়সী এ তারকা অভিনেতা। সম্প্রতি সালমানের বিতর্কিত নানা কর্মকাণ্ড
নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে হিন্দুস্তান টাইমস।
সালমান প্রথম বিতর্কের জন্ম দেন ১৯৯৮ সালে। সে বছরের ১ অক্টোবর গভীর রাতে যোধপুরের কানকানি গ্রামে বিরল প্রজাতির দুটি ব্ল্যাকবাক হরিণ শিকার করেন সালমান। এ জন্য বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে মামলা হয় তাঁর বিরুদ্ধে। ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’ ছবির শুটিংয়ের সময় ব্ল্যাকবাক হরিণ শিকারের মামলায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল সালমানকে। যোধপুর কারাগারে অল্প সময়ের জন্য দুবার জেলও খাটতে হয়েছে তাঁকে। বর্তমানে এই মামলায় জামিনে মুক্ত আছেন তিনি। হরিণ শিকারের পর সালমানের রাইফেল ও রিভলবার জব্দ করা হয়েছিল। পরে জানা যায়, আগ্নেয়াস্ত্রগুলোর লাইসেন্সের মেয়াদ পার হয়ে গিয়েছিল। এ জন্য অবৈধ অস্ত্র বহনের অভিযোগেও মামলা হয় সালমানের বিরুদ্ধে। যোধপুর আদালতে সালমানের উপস্থিতিতে অস্ত্র মামলাটির চূড়ান্ত রায় হওয়ার কথা ছিল গতকাল বুধবার। তবে মামলার কার্যক্রম ৩ মার্চ পর্যন্ত মুলতবি ঘোষণা করেছেন যোধপুর আদালত। সালমানের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ৩ মার্চ তাঁকে আদালতে হাজিরা প্রদান করা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার বিষয়টিও বিবেচনায় নিয়েছেন আদালত।
সালমান মদ্যপ অবস্থায় দ্বিতীয় অঘটন ঘটান ২০০২ সালে। সে বছরের ২৮ সেপ্টেম্বর ভোররাতে বান্দ্রায় একটি বেকারির সামনে ফুটপাতে ঘুমিয়ে ছিলেন পাঁচজন হতদরিদ্র মানুষ। সে সময় সালমানের টয়োটা ল্যান্ড ক্রুজার গাড়িটি তাঁদের চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। মর্মান্তিক সেই দুর্ঘটনায় একজন নিহত ও চারজন আহত হন। দুর্ঘটনার সময় সালমানের সঙ্গেই গাড়িতে ছিলেন পুলিশ দেহরক্ষী প্রয়াত রবীন্দ্র পাতিল। তিনি বারবার সালমানকে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি না চালাতে অনুরোধ করলেও, তা শোনেননি মাতাল সালমান। তিনি ঘণ্টায় প্রায় ১০০ কিলোমিটার গতিবেগে গাড়ি চালাচ্ছিলেন। একপর্যায়ে গাড়ির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফুটপাতের ওপর ঘুমিয়ে থাকা মানুষদের চাপা দিলে হতাহতের ঘটনা ঘটে। ২০০৫ সালে সালমানের বিচারকার্যক্রম শুরু হয়। তাঁর প্রতি নমনীয় আচরণ করেন আদালত। বেপরোয়া ও অসতর্কভাবে গাড়ি চালানোর কারণে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে বলে রায় দেওয়া হয়। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৪ (১) ধারায় এ ধরনের অপরাধের সর্বোচ্চ সাজা মাত্র দুই বছরের কারাদণ্ড। পরবর্তী সময়ে ২০১১ সালে সালমানকে কঠোর সাজা প্রদানের দাবি তোলা হয় মুম্বাই পুলিশের পক্ষ থেকে। পরে মামলাটির বিচারকার্যক্রম আবার শুরু হয়। যথেষ্ট সাক্ষ্য-প্রমাণ পাওয়ার পর ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৪ (২) ধারায় সালমানের বিচারকার্যক্রম চালানোর নির্দেশ দেন মুম্বাই সেশন কোর্টের বিচারক ইউবি হেজিব। এখনো সেই মামলার চূড়ান্ত রায় হয়নি। দোষী সাব্যস্ত হলে ১০ বছরের জেলের ঘানি টানতে হতে পারে সালমানকে।
২০০২ সালেই আবার অসংযত আচরণের প্রমাণ দেন সালমান। সে বছর সালমানকে ছেড়ে চলে যান তাঁর সাবেক প্রেমিকা ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন। সালমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ, মাতাল অবস্থায় ঐশ্বরিয়ার গায়ে হাত তুলেছিলেন তিনি। পরের বছর বলিউডের অভিনেতা বিবেক ওবেরয়ের সঙ্গে ঐশ্বরিয়ার প্রেমের খবর চাউর হয়। বিষয়টিকে ঠিক হজম করতে পারেননি খান সাহেব। এক সংবাদ সম্মেলনে বিবেক দাবি করেন, সালমান এসএমএস পাঠিয়ে তাঁকে হুমকি দিয়েছেন।
ঐশ্বরিয়াকে হারানোর পর পরবর্তী কয়েক বছর তেমন কোনো অঘটন ঘটাননি সালমান। ২০০৮ সালে আবার নেতিবাচক খবরের শিরোনাম হন সালমান। সে বছর মুম্বাইয়ে নিজের বাড়িতে গণেশ পূজার আয়োজন করায় সালমানের বিরুদ্ধে ফতোয়া জারি করে কয়েকটি ধর্মীয় সংগঠন। একই বছর সাবেক প্রেমিকা ক্যাটরিনা কাইফের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে ‘বলিউড বাদশাহ’ শাহরুখ খানের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে হইচই ফেলে দেন সালমান। একটা সময়ে শাহরুখ ও সালমানের ভেতর দারুণ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। কিন্তু তাঁদের সেই বন্ধুত্বে ফাটল ধরে ২০০৮ সালের ১৬ জুলাই। সেদিন ক্যাটরিনার জন্মদিনের অনুষ্ঠানে ক্যাটকে নিয়ে কৌতুক করেছিলেন শাহরুখ। কিন্তু তা সহ্য করতে না পেরে শাহরুখের সঙ্গে তুমুল বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন সালমান। সেই থেকে তাঁদের মধ্যে দূরত্ব ক্রমেই বাড়তে থাকে। তাঁরা বছরের পর বছর কথা বলেননি। শুধু তা-ই নয়, একে অপরের ছায়াও মাড়াতেন না। সুযোগ পেলেই কথার মারপ্যাঁচে একে অন্যকে ঘায়েল করার চেষ্টা করতেন। এভাবে বলিউডের চিরশত্রু দুই তারকায় পরিণত হন তাঁরা। তবে ২০১৩ সালের রমজান মাসে এক ইফতার অনুষ্ঠানে একে অপরকে আলিঙ্গন করে পাঁচ বছরের দ্বন্দ্বের অবসান ঘটান শাহরুখ-সালমান।
২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর মুম্বাইয়ে পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তাইয়েবার ভয়াবহ হামলায় প্রায় ১৬৪ জন নিহত ও ৩০৮ জন আহত হন। ওই ঘটনার দুই বছর পর ২০১০ সালে পাকিস্তানি একটি চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বেফাঁস মন্তব্য করায় তীব্র সমালোচনার মুখে পড়তে হয় সালমানকে। তিনি মন্তব্য করেছিলেন, সমাজের উঁচু শ্রেণির মানুষদের লক্ষ্য করে ওই হামলা হওয়ায় তা নিয়ে বেশি মাতামাতি হয়েছে।
গত বছর তিনটি অঘটনের জন্ম দিয়েছেন সালমান খান। উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদবের সাইফাই মহোৎসবে মঞ্চ পরিবেশনায় অংশ নিয়ে গত বছর প্রথম বিতর্কের জন্ম দেন সালমান। উৎসবের কাছাকাছি সময়ে উত্তর প্রদেশের মুজাফফরনগরে একটি ত্রাণশিবিরে চিকিৎসার অভাবে শিশুমৃত্যুর ঘটনা ঘটায় অনেকেই চেয়েছিলেন, সালমান যেন সাইফাই মহোৎসবে অংশ না নেন। কিন্তু চাপ সত্ত্বেও মঞ্চ পরিবেশনা বাতিল করেননি সালমান। এরপর মকরসংক্রান্তি উৎসবের সময় আহমেদাবাদে নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে ঘুড়ি উৎসবে অংশ নিয়ে বিতর্কের জন্ম দেন খান সাহেব। সালমান সর্বশেষ বিতর্কের জন্ম দেন শ্রীলঙ্কা সফরে গিয়ে। সেখানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগ মুহূর্তে মাহিন্দা রাজাপক্ষের হয়ে একটি নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেওয়ায় সমালোচনার মুখে পড়তে হয় সালমানকে।
সালমান প্রথম বিতর্কের জন্ম দেন ১৯৯৮ সালে। সে বছরের ১ অক্টোবর গভীর রাতে যোধপুরের কানকানি গ্রামে বিরল প্রজাতির দুটি ব্ল্যাকবাক হরিণ শিকার করেন সালমান। এ জন্য বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে মামলা হয় তাঁর বিরুদ্ধে। ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’ ছবির শুটিংয়ের সময় ব্ল্যাকবাক হরিণ শিকারের মামলায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল সালমানকে। যোধপুর কারাগারে অল্প সময়ের জন্য দুবার জেলও খাটতে হয়েছে তাঁকে। বর্তমানে এই মামলায় জামিনে মুক্ত আছেন তিনি। হরিণ শিকারের পর সালমানের রাইফেল ও রিভলবার জব্দ করা হয়েছিল। পরে জানা যায়, আগ্নেয়াস্ত্রগুলোর লাইসেন্সের মেয়াদ পার হয়ে গিয়েছিল। এ জন্য অবৈধ অস্ত্র বহনের অভিযোগেও মামলা হয় সালমানের বিরুদ্ধে। যোধপুর আদালতে সালমানের উপস্থিতিতে অস্ত্র মামলাটির চূড়ান্ত রায় হওয়ার কথা ছিল গতকাল বুধবার। তবে মামলার কার্যক্রম ৩ মার্চ পর্যন্ত মুলতবি ঘোষণা করেছেন যোধপুর আদালত। সালমানের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ৩ মার্চ তাঁকে আদালতে হাজিরা প্রদান করা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার বিষয়টিও বিবেচনায় নিয়েছেন আদালত।
সালমান মদ্যপ অবস্থায় দ্বিতীয় অঘটন ঘটান ২০০২ সালে। সে বছরের ২৮ সেপ্টেম্বর ভোররাতে বান্দ্রায় একটি বেকারির সামনে ফুটপাতে ঘুমিয়ে ছিলেন পাঁচজন হতদরিদ্র মানুষ। সে সময় সালমানের টয়োটা ল্যান্ড ক্রুজার গাড়িটি তাঁদের চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। মর্মান্তিক সেই দুর্ঘটনায় একজন নিহত ও চারজন আহত হন। দুর্ঘটনার সময় সালমানের সঙ্গেই গাড়িতে ছিলেন পুলিশ দেহরক্ষী প্রয়াত রবীন্দ্র পাতিল। তিনি বারবার সালমানকে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি না চালাতে অনুরোধ করলেও, তা শোনেননি মাতাল সালমান। তিনি ঘণ্টায় প্রায় ১০০ কিলোমিটার গতিবেগে গাড়ি চালাচ্ছিলেন। একপর্যায়ে গাড়ির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফুটপাতের ওপর ঘুমিয়ে থাকা মানুষদের চাপা দিলে হতাহতের ঘটনা ঘটে। ২০০৫ সালে সালমানের বিচারকার্যক্রম শুরু হয়। তাঁর প্রতি নমনীয় আচরণ করেন আদালত। বেপরোয়া ও অসতর্কভাবে গাড়ি চালানোর কারণে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে বলে রায় দেওয়া হয়। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৪ (১) ধারায় এ ধরনের অপরাধের সর্বোচ্চ সাজা মাত্র দুই বছরের কারাদণ্ড। পরবর্তী সময়ে ২০১১ সালে সালমানকে কঠোর সাজা প্রদানের দাবি তোলা হয় মুম্বাই পুলিশের পক্ষ থেকে। পরে মামলাটির বিচারকার্যক্রম আবার শুরু হয়। যথেষ্ট সাক্ষ্য-প্রমাণ পাওয়ার পর ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৪ (২) ধারায় সালমানের বিচারকার্যক্রম চালানোর নির্দেশ দেন মুম্বাই সেশন কোর্টের বিচারক ইউবি হেজিব। এখনো সেই মামলার চূড়ান্ত রায় হয়নি। দোষী সাব্যস্ত হলে ১০ বছরের জেলের ঘানি টানতে হতে পারে সালমানকে।
২০০২ সালেই আবার অসংযত আচরণের প্রমাণ দেন সালমান। সে বছর সালমানকে ছেড়ে চলে যান তাঁর সাবেক প্রেমিকা ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন। সালমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ, মাতাল অবস্থায় ঐশ্বরিয়ার গায়ে হাত তুলেছিলেন তিনি। পরের বছর বলিউডের অভিনেতা বিবেক ওবেরয়ের সঙ্গে ঐশ্বরিয়ার প্রেমের খবর চাউর হয়। বিষয়টিকে ঠিক হজম করতে পারেননি খান সাহেব। এক সংবাদ সম্মেলনে বিবেক দাবি করেন, সালমান এসএমএস পাঠিয়ে তাঁকে হুমকি দিয়েছেন।
ঐশ্বরিয়াকে হারানোর পর পরবর্তী কয়েক বছর তেমন কোনো অঘটন ঘটাননি সালমান। ২০০৮ সালে আবার নেতিবাচক খবরের শিরোনাম হন সালমান। সে বছর মুম্বাইয়ে নিজের বাড়িতে গণেশ পূজার আয়োজন করায় সালমানের বিরুদ্ধে ফতোয়া জারি করে কয়েকটি ধর্মীয় সংগঠন। একই বছর সাবেক প্রেমিকা ক্যাটরিনা কাইফের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে ‘বলিউড বাদশাহ’ শাহরুখ খানের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে হইচই ফেলে দেন সালমান। একটা সময়ে শাহরুখ ও সালমানের ভেতর দারুণ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। কিন্তু তাঁদের সেই বন্ধুত্বে ফাটল ধরে ২০০৮ সালের ১৬ জুলাই। সেদিন ক্যাটরিনার জন্মদিনের অনুষ্ঠানে ক্যাটকে নিয়ে কৌতুক করেছিলেন শাহরুখ। কিন্তু তা সহ্য করতে না পেরে শাহরুখের সঙ্গে তুমুল বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন সালমান। সেই থেকে তাঁদের মধ্যে দূরত্ব ক্রমেই বাড়তে থাকে। তাঁরা বছরের পর বছর কথা বলেননি। শুধু তা-ই নয়, একে অপরের ছায়াও মাড়াতেন না। সুযোগ পেলেই কথার মারপ্যাঁচে একে অন্যকে ঘায়েল করার চেষ্টা করতেন। এভাবে বলিউডের চিরশত্রু দুই তারকায় পরিণত হন তাঁরা। তবে ২০১৩ সালের রমজান মাসে এক ইফতার অনুষ্ঠানে একে অপরকে আলিঙ্গন করে পাঁচ বছরের দ্বন্দ্বের অবসান ঘটান শাহরুখ-সালমান।
২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর মুম্বাইয়ে পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তাইয়েবার ভয়াবহ হামলায় প্রায় ১৬৪ জন নিহত ও ৩০৮ জন আহত হন। ওই ঘটনার দুই বছর পর ২০১০ সালে পাকিস্তানি একটি চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বেফাঁস মন্তব্য করায় তীব্র সমালোচনার মুখে পড়তে হয় সালমানকে। তিনি মন্তব্য করেছিলেন, সমাজের উঁচু শ্রেণির মানুষদের লক্ষ্য করে ওই হামলা হওয়ায় তা নিয়ে বেশি মাতামাতি হয়েছে।
গত বছর তিনটি অঘটনের জন্ম দিয়েছেন সালমান খান। উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদবের সাইফাই মহোৎসবে মঞ্চ পরিবেশনায় অংশ নিয়ে গত বছর প্রথম বিতর্কের জন্ম দেন সালমান। উৎসবের কাছাকাছি সময়ে উত্তর প্রদেশের মুজাফফরনগরে একটি ত্রাণশিবিরে চিকিৎসার অভাবে শিশুমৃত্যুর ঘটনা ঘটায় অনেকেই চেয়েছিলেন, সালমান যেন সাইফাই মহোৎসবে অংশ না নেন। কিন্তু চাপ সত্ত্বেও মঞ্চ পরিবেশনা বাতিল করেননি সালমান। এরপর মকরসংক্রান্তি উৎসবের সময় আহমেদাবাদে নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে ঘুড়ি উৎসবে অংশ নিয়ে বিতর্কের জন্ম দেন খান সাহেব। সালমান সর্বশেষ বিতর্কের জন্ম দেন শ্রীলঙ্কা সফরে গিয়ে। সেখানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগ মুহূর্তে মাহিন্দা রাজাপক্ষের হয়ে একটি নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেওয়ায় সমালোচনার মুখে পড়তে হয় সালমানকে।