সমস্যা
২০০৯ সাল থেকে একটি মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক আমার। মেয়েটির সঙ্গে প্রেম করছিলাম আসলে আমার এক বন্ধুর সঙ্গে ওর প্রেম করানোর জন্য। মেয়েটিকে আমার পছন্দ না। সম্পর্ক করার সময় বলেছি, তোমাকে আমার পছন্দ। সম্পর্কের এক বছর পর আমি বলেছি, তোমাকে আমার পছন্দ না। এসএসসি পড়ার পর আমার পড়া বন্ধ হয়ে গেছে। এখন ঢাকায় একটা ছোট চাকরি করি। আমার বাড়ির সবাই সম্পর্কটার কথা জেনে গেছে। আমি ওর কথা কম বলি, সে কারণে মেয়েটি কান্নাকাটি করে। আমাকে না পেলে অন্য কেউ নাকি তাকে কখনো পাবে না। মেয়েটি কলেজে পড়ে, তাদের বাড়ির অবস্থা আমাদের চেয়ে ভালো। আমি তার সঙ্গে সম্পর্ক ভাঙার কথা বললে সে বলে, তুমি যেদিন অন্য কাউকে বিয়ে করবে সেদিন আমি আর কথা বলব না। আমি কথা না বললে সে ঠিকমতো খাওয়া-দাওয়া করে না। কলেজে যায় না, ঘুমের ট্যাবলেট খায়। কোনো কিছু হওয়ার আগে দুজন আলাদা হয়ে যেতে চাই।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, ঢাকা ।
পরামর্শ
মেয়েটির সঙ্গে তুমি এবং তোমার বন্ধু বড় অন্যায় করেছ। তোমার বন্ধু কি তোমাকে এ ধরনের একটি নিষ্ঠুর অভিনয় করতে বলেছিল? যদি তাই করে থাকে তাহলে তোমার বিবেক কি তোমাকে বাধা দেয়নি? মেয়েটি তো কোনো দোষ করেনি, তাই না? অন্য একটি মানুষের মন নিয়ে এভাবে খেলা করার অধিকার তো আমাদের কারও নেই।
মেয়েটির মানসিক অবস্থার কথা জেনে মনে হচ্ছে, ও তোমার ওপর খুব নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। তুমি যখন বলছ, তোমার ওকে আর পছন্দ হচ্ছে না, তখন সে বিষণ্নতায় ভুগছে। ওর আত্মসম্মানেও খুব আঘাত লাগছে।
তবে তুমি যে এখন ভুল বুঝতে পারছ এবং ওর প্রতি সহমর্মী হচ্ছো সে জন্য তোমাকে ধন্যবাদ। তুমি যখন নিশ্চিতভাবে জানো এই সম্পর্ক আর চালিয়ে যেতে চাও না, তখন মেয়েটিকে আর অলীক প্রত্যাশায় রেখো না।
তুমি ওর প্রতি পরিপূর্ণ শ্রদ্ধা ও সহমর্মিতা রেখে নিজের এই ভুলটির দায়িত্ব নাও।
ওর কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করে বলো, ওর প্রতি তুমি সারা জীবন শ্রদ্ধাশীল ও কৃতজ্ঞ থাকবে। তুমি ওকে জীবনসঙ্গী না করতে পারলেও ওর জীবনের অনেক মূল্য আছে। ভবিষ্যতে ওকে সঠিকভাবে মূল্যায়ন ও সম্মান করতে পারবে এমন কেউ ওর জীবনে এলে অবশ্যই সে সুখী হতে পারবে, এই আশ্বাসটুকু ওকে দাও।
২০০৯ সাল থেকে একটি মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক আমার। মেয়েটির সঙ্গে প্রেম করছিলাম আসলে আমার এক বন্ধুর সঙ্গে ওর প্রেম করানোর জন্য। মেয়েটিকে আমার পছন্দ না। সম্পর্ক করার সময় বলেছি, তোমাকে আমার পছন্দ। সম্পর্কের এক বছর পর আমি বলেছি, তোমাকে আমার পছন্দ না। এসএসসি পড়ার পর আমার পড়া বন্ধ হয়ে গেছে। এখন ঢাকায় একটা ছোট চাকরি করি। আমার বাড়ির সবাই সম্পর্কটার কথা জেনে গেছে। আমি ওর কথা কম বলি, সে কারণে মেয়েটি কান্নাকাটি করে। আমাকে না পেলে অন্য কেউ নাকি তাকে কখনো পাবে না। মেয়েটি কলেজে পড়ে, তাদের বাড়ির অবস্থা আমাদের চেয়ে ভালো। আমি তার সঙ্গে সম্পর্ক ভাঙার কথা বললে সে বলে, তুমি যেদিন অন্য কাউকে বিয়ে করবে সেদিন আমি আর কথা বলব না। আমি কথা না বললে সে ঠিকমতো খাওয়া-দাওয়া করে না। কলেজে যায় না, ঘুমের ট্যাবলেট খায়। কোনো কিছু হওয়ার আগে দুজন আলাদা হয়ে যেতে চাই।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, ঢাকা ।
পরামর্শ
মেয়েটির সঙ্গে তুমি এবং তোমার বন্ধু বড় অন্যায় করেছ। তোমার বন্ধু কি তোমাকে এ ধরনের একটি নিষ্ঠুর অভিনয় করতে বলেছিল? যদি তাই করে থাকে তাহলে তোমার বিবেক কি তোমাকে বাধা দেয়নি? মেয়েটি তো কোনো দোষ করেনি, তাই না? অন্য একটি মানুষের মন নিয়ে এভাবে খেলা করার অধিকার তো আমাদের কারও নেই।
মেয়েটির মানসিক অবস্থার কথা জেনে মনে হচ্ছে, ও তোমার ওপর খুব নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। তুমি যখন বলছ, তোমার ওকে আর পছন্দ হচ্ছে না, তখন সে বিষণ্নতায় ভুগছে। ওর আত্মসম্মানেও খুব আঘাত লাগছে।
তবে তুমি যে এখন ভুল বুঝতে পারছ এবং ওর প্রতি সহমর্মী হচ্ছো সে জন্য তোমাকে ধন্যবাদ। তুমি যখন নিশ্চিতভাবে জানো এই সম্পর্ক আর চালিয়ে যেতে চাও না, তখন মেয়েটিকে আর অলীক প্রত্যাশায় রেখো না।
তুমি ওর প্রতি পরিপূর্ণ শ্রদ্ধা ও সহমর্মিতা রেখে নিজের এই ভুলটির দায়িত্ব নাও।
ওর কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করে বলো, ওর প্রতি তুমি সারা জীবন শ্রদ্ধাশীল ও কৃতজ্ঞ থাকবে। তুমি ওকে জীবনসঙ্গী না করতে পারলেও ওর জীবনের অনেক মূল্য আছে। ভবিষ্যতে ওকে সঠিকভাবে মূল্যায়ন ও সম্মান করতে পারবে এমন কেউ ওর জীবনে এলে অবশ্যই সে সুখী হতে পারবে, এই আশ্বাসটুকু ওকে দাও।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এডুকেশনাল অ্যান্ড কাউন্সেলিং সাইকোলজি বিভাগের অধ্যাপক মেহতাব খানম। তিনি আপনার মানসিক বিভিন্ন সমস্যার সম্ভাব্য সমাধান দেবেন। অল্প কথায় আপনার সমস্যা তুলে ধরুন।