National news - বাছাই কমিটিতে মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি রাখা যাবে না

জেলা জজ ও অধস্তন আদালতে এবং জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেসি ও মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেসির আদালতগুলোতে কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ বিধিমালা সংশোধনের গেজেট অবৈধ ঘোষণা করে দেওয়া রায়ে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করেছেন আপিল বিভাগ। গতকাল বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এর ফলে ওই সংশোধনীর মাধ্যমে আনা অধস্তন আদালতে কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ কমিটিতে মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি থাকতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন রিট আবেদনকারী আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা। পরে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, পূর্ণাঙ্গ রায়ের অনুলিপি পেলে নিয়মিত আপিল করা হবে।
২০১০ সালের ১ নভেম্বর প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে জেলা জজ ও অধস্তন আদালত এবং বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতসমূহ (কর্মকর্তা-কর্মচারী) নিয়োগ বিধিমালা-১৯৮৯ এবং জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেসি ও মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেসির আদালতসমূহ (সহায়ক কর্মকর্তা ও কর্মচারী) নিয়োগ বিধিমালা-২০০৮ সংশোধন করা হয়। ১৯৮৯ সালের বিধিমালার দ্বিতীয় দফা ২(ঙ) এবং নিয়োগ বিধিমালায় দফা ২(ছ)-এ পরিবর্তন আনা হয়। প্রথম ক্ষেত্রে নিয়োগে ও পদোন্নতিতে ‘তিন সদস্যের বাছাই কমিটির’ সদস্যদের ব্যাখ্যা দেওয়া হয়। চেয়ারম্যান ও সদস্যসচিব হিসেবে বিচার বিভাগীয় দুজন কর্মকর্তার পাশাপাশি মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তাকে রাখার কথা বলা হয়। দ্বিতীয়টিতেও বাছাই কমিটিতে মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি রাখার কথা বলা হয়।
বিধিমালার প্রতিস্থাপিত দফা ২(ঙ) এবং দফা ২(ছ)-এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে মনজিল মোরসেদসহ তিন আইনজীবী ২০১২ সালে রিট আবেদন করেন। ওই বছরের ৬ মে হাইকোর্ট রুল দেন। রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে গত ১৬ নভেম্বর হাইকোর্ট কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগে বাছাই কমিটিতে প্রতিনিধি রাখাসংক্রান্ত দুটি বিধিমালা সংবিধানবহির্ভূত ঘোষণা করে রায় দেন। এতে স্থগিতাদেশ চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আবেদন করে। পরে চেম্বার বিচারপতি হাইকোর্টের রায়ে স্থগিতাদেশ দিয়ে শুনানির জন্য আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠান। রিট আবেদনকারী পক্ষ স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার চেয়ে আবেদন করে। শুনানি নিয়ে আদালত গতকাল আদেশ দেন।
-

Latest

Popular Posts

Popular Posts

Popular Posts