International news - উপহার দিয়ে যায় কাক

কাকের কাছ থেকে পাওয়া উপহারসামগ্রী দিয়ে একটি সংগ্রহশালা গড়ে তুলেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটলের আট বছর বয়সী গাবি মান। ছবি: বিবিসি ম্যাগাজিনের সৌজন্যে
কাকের কদর্য চেহারা ও কর্কশ কণ্ঠে অনেকেই বিরক্ত হয়। কাককে তাড়াতে লাঠি হাতে তেড়ে আসে কেউ কেউ। চেহারা ও কণ্ঠ খারাপ হলেও কাকের স্বভাব কিন্তু মন্দ নয়। বন্ধুবৎসল ও দারুণ কৃতজ্ঞ এই পাখি। মানুষের সঙ্গে কাকের বন্ধুত্ব ও কৃতজ্ঞতার বেশ কিছু প্রমাণ পাওয়া গেছে।
সম্প্রতি বিবিসি সাময়িকীতে কাকের সঙ্গে এক মার্কিন শিশুর বন্ধুত্বের কাহিনি প্রকাশ করা হয়েছে। সিয়াটলের আট বছর বয়সী গাবি মানের সঙ্গে ২০১১ সাল থেকে কাকের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কাককে নিয়মিত খাবার দেয় সে। বিনিময়ে কৃতজ্ঞ কাকের দল নিয়মিত তাকে নানা উপহারসামগ্রী দেয়।
কাকের কাছ থেকে পাওয়া উপহারসামগ্রী দিয়ে একটি সংগ্রহশালা গড়ে তুলেছে গাবি। এর মধ্যে রয়েছে সুদৃশ্য পাথর, রঙিন কাচ, বোতাম, গয়না, গুটি, ফোম, কাগজ, জেমস ক্লিপ, স্ক্রুসহ নানা ধরনের জিনিস।
এসব জিনিস হয়তো অনেকের কাছেই মূল্যহীন। কিন্তু গাবির কাছে তা সোনার চেয়েও মূল্যবান। কারণ কাকেরা তাকে এগুলো উপহার দিয়েছে। তাই এই উপহার সংরক্ষণের ব্যাপারে বেশ রক্ষণশীল গাবি।
সারা বিশ্বে বিবিসির পাঠকদের মধ্যে কাকের সঙ্গে মার্কিন শিশু গাবির সম্পর্কের কাহিনি সাড়া ফেলে দেয়। এ খবরে উৎসাহিত হয়ে অনেকেই কাকের সঙ্গে তাঁদের সম্পর্কের অজানা কাহিনির বিস্তারিত বিবরণ দিয়েছেন। ওই বিবরণ অনুসারে শুধু গাবি একা নয়, আরও অনেকেই কাকের কাছ থেকে কৃতজ্ঞতা হিসেবে নানা উপহার পান।
সিয়াটলের অ্যালিসন অ্যালকোবার ভাষ্য, তাঁর কাছেও কাকের কাছ থেকে পাওয়া উপহারের সংগ্রহশালা আছে। উপহারের অধিকাংশই খেলনা। তিনি কাকদের চীনাবাদাম খেতে দেন।
যুক্তরাষ্ট্রের লাইন হুইটির ভাষ্য, কাকের একটি আহত বাচ্চাকে যত্ন করে বড় করেন তিনি। উড়তে শেখার পর কাকটি তাঁকে নানা উপহার এনে দেয়। এর মধ্যে রয়েছে—বোতলের মুখ, স্ক্রু, মাছ ধরার টোপ, পাখির পালক ইত্যাদি। চেহারা ও কণ্ঠ খারাপ হলেও কাকের স্বভাব কিন্তু মন্দ নয়। মানুষের সঙ্গে কাকের বন্ধুত্ব ও কৃতজ্ঞতার বেশ কিছু প্রমাণ পাওয়া গেছে। ছবি: বিবিসি ম্যাগাজিনের সৌজন্যে
ওয়াশিংটনের ক্যাটি রসের ভাষ্য, তিনি প্রতিদিন তাঁদের উঠানে কাকদের খাবার দেন। খাবার পেয়ে কাকেরা খুব আনন্দিত হয়। কাকদের কাছ থেকে প্রায়ই উপহার পান তিনি।
নিউ ম্যাক্সিকোর আলেক্স ফিশার দাবি করেন, কয়েক বছর আগে তিনি নিয়মিত একটি দাঁড়কাককে খাবার দিতেন। একদিন কাকটি একটি কাঠের বাটালি নিয়ে আসে। বাটালিটি এখনো রেখে দিয়েছেন তিনি।
জার্মানির গুন্থার লেনস্কের ভাষ্য, ২০১৩ সালের মে থেকে ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত একটি কাকের বাচ্চাকে বড় করেন তিনি। কাকটির পাখার পালক ভাঙা ছিল। প্রায় এক বছরে পাখা ঠিক হয়। চলে যাওয়ার আগে শোবার কক্ষে কিছু পাথর রেখে যায় কাকটি।
নেপালের কিম্বারলি নিমাসেকের ভাষ্য, একদল কাকের বাচ্চা তাঁর বারান্দায় আসত। তিনি সময় সময় তাদের খাবার দিতেন। একসময় এটা নৈমিত্তিক ব্যাপারে পরিণত হয়। একদিন সকালে কাকের কাছ থেকে একটি কাচের চুড়ির অংশবিশেষ পান তিনি।
জার্মানির এডনা কিংয়ের ভাষ্য, এক সময় তাঁর সবজির বাগান করার শখ ছিল। সেখানে আসা একটি বড় কাককে খাবার দিতেন তিনি। এক সময় কাকটি তাঁর কাজে সাহায্য করতে শুরু করে
-

Latest

Popular Posts

Popular Posts

Popular Posts