International news - কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে এবার ‘সাংসদ কেনার’ চেষ্টার অভিযোগ

... , অভিযোগ কেজরিওয়ালেরআম আদমি পার্টির (এএপি) প্রধান দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে ‘সাংসদ কেনার’ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। বলা হচ্ছে, ২০১৪ সালে দিল্লিতে নতুন করে সরকার গঠনের জন্য তিনি কংগ্রেসের বিধায়কদের ভাগিয়ে আনার চেষ্টা করেছিলেন। তবে এএপি বলছে, সেটা ছিল রাজনৈতিক সমঝোতা, সাংসদ কেনার চেষ্টা বলা ঠিক নয়। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার।
সাংসদ কেনার অভিযোগটি তুলেছেন স্বয়ং এএপিরই সাবেক বিধায়ক রাজেশ গার্গ। তিনি তাঁর দাবির পক্ষে একটি ফোনালাপের অডিওটেপ প্রকাশ করেছেন। সেই অডিওতে যে দুজনের কণ্ঠ রয়েছে, তার একটি রাজেশ গার্গেরই। তাঁর দাবি অন্যটি কেজরিওয়ালের।
দুর্নীতিবিরোধী সামাজিক আন্দোলন থেকে জন্ম নেওয়া রাজনৈতিক দল এএপি ভারতের রাজনীতিকে ‘কলুষমুক্ত’ করা নিয়ে সরব। সেই দলের বিরুদ্ধেই এ ধরনের অভিযোগ ভারতের রাজনীতিতে ঢেউ তুলেছে।
রাজেশ গার্গের ভাষ্যমতে, ওই ফোনালাপটি রেকর্ড করা হয় ২০১৪ সালের আগস্ট মাসে। এএপি প্রথম দফা দিল্লি বিধানসভার ক্ষমতায় আসার পর মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে কেজরিওয়াল পদত্যাগ করলেও তখনো বিধানসভা বিলুপ্ত হয়নি।
অডিওটিতে শোনা যাচ্ছে, কেজরিওয়াল কংগ্রেসের তখনকার আট বিধায়কের মধ্যে ছয়জনকে ভাগিয়ে আনার চেষ্টার ইঙ্গিত দিচ্ছেন। সেটা হলে তিনি নিরঙ্কুশ সমর্থন নিয়ে দিল্লিতে আবার সরকার গঠন করতে পারতেন।
কেজরিওয়াল চিকিৎসা নিতে ছুটি নিয়ে ১০ দিনের জন্য বেঙ্গালুরুতে রয়েছেন। অভিযোগের বিষয়ে তাঁর কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে অডিওটির সত্যতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন এএপির নেতা আশীষ খেতান। তিনি বলেন, ‘অডিওটি যদি সত্য বলেও ধরে নেওয়া হয়, সাংসদ কেনা খুবই কঠিন ভাষা হবে। আমরা আসন নিয়ে ব্যবসা করি না।’
গত মাসে অনুষ্ঠিত দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে রাজেশ গার্গকে দল টিকিট দেয়নি বলে ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি ওই অডিও প্রকাশ করেছেন বলে দাবি করেন আশীষ খেতান।
গত মাসের দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে এএপি মোট ৭০ আসনের মধ্যে ৬৭টিই জিতে ইতিহাস সৃষ্টি করে। তবে এর কয়েক সপ্তাহের মাথায়ই দলটিতে অভ্যন্তরীণ সংকট শুরু হয়। কেজরিওয়ালের ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিরা দল থেকে দুজন প্রতিষ্ঠাতা সদস্যকে বিতাড়িত করার চেষ্টা করেন
-

Latest

Popular Posts

Popular Posts

Popular Posts