রাজধানীর কলতাবাজারের একটি বাসা থেকে
‘সাইকেলবোমা’ উদ্ধারের কথা জানিয়েছে র্যাব। আর চট্টগ্রামের পাহাড় থেকে
পুলিশ উদ্ধার করেছে পেট্রলবোমা ও ককটেল।
উদ্ধার হওয়া ‘সাইকেলবোমা’র সঙ্গে ছিল ৫৮টি ককটেল, ৪৮টি পেট্রলবোমা, ৫০০ গ্রাম সালফার পাউডার, পাইপবোমা, পাথরসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম। গতকাল রোববার শেরেবাংলা নগরে র্যাব-২-এর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।
র্যাব জানিয়েছে, কলতাবাজারের বাসা থেকে উদ্ধার করা সবুজ রঙের সাইকেলটির ফাঁপা কাঠামো (ফ্রেম) বিস্ফোরকে ভরা। চালকের আসনের নিচ দিয়ে বের হয়ে আছে দুটি সলতের মাথা। একটু আগুন ছোঁয়ালেই ঘটে যাবে বিকট বিস্ফোরণ। সাইকেলটিকে একটি চলন্ত বোমায় রূপান্তরিত করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান বলেন, গত শনিবার গভীর রাতে কাকরাইল এলাকা থেকে রাকিবুল ইসলাম মণ্ডল ওরফে রাকিব শশী (২৫) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর দেওয়া তথ্যে গতকাল ভোরে কলতাবাজারের ওই বাসা থেকে আমিনুল ইসলাম ওরফে রানা (৩০) ও রিয়াজুল ইসলামকে (২২) গ্রেপ্তার করে র্যাব। সেখান থেকেই সাইকেলবোমা, ককটেল, পেট্রলবোমাসহ অন্যান্য উপকরণ উদ্ধার করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার হওয়া তরুণেরা জানিয়েছেন, তাঁরা তিতুমির কলেজ ছাত্রদলের সঙ্গে জড়িত এবং ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আনিসুর রহমান ওরফে খোকনের অনুসারী। আনিসুর পলাতক রয়েছেন। তাঁর নির্দেশে গ্রেপ্তার তিনজন রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ককটেলের বিস্ফোরণ, যানবাহনে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর করেছেন বলে র্যাব দাবি করেছে। রাজধানীতেও বড় ধরনের নাশকতার পরিকল্পনা ছিল তাঁদের।
র্যাব-২-এর পরিচালক মাসুদ রানা প্রথম আলোকে জানান, একটি ককটেলে সাধারণ ২০ থেকে ৩০ গ্রাম বিস্ফোরক ব্যবহৃত হয়। সাইকেলের ভেতরে এক থেকে দেড় কেজি বিস্ফোরক ছিল।
র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক জিয়উল আহসান প্রথম আলোকে জানান, যশোর সীমান্ত থেকে লিটন নামে এক ব্যক্তি ওই সাইকেলটি সরবরাহ করেন। এ ধরনের আরও কিছু অভিনব বোমা তাঁরা তৈরি করেছেন বলে র্যাব জানতে পেরেছে।
চট্টগ্রামের পাহাড়ে আস্তানা: পুলিশের দাবি, সীতাকুণ্ডের মধ্যম এয়াকুবনগরের নুনাছড়া পাহাড়ি এলাকায় নাশকতাকারীদের ‘গোপন আস্তানার’ সন্ধান পাওয়া গেছে। গতকাল রোববার ভোরে ওই পাহাড়ি এলাকা থেকে ৬৯টি পেট্রলবোমা, ৫০টি ককটেল, চারটি এলজি, ১০টি কিরিচ ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড থানার ওসি ইফতেখার হাসান জানান, শনিবার সীতাকুণ্ডের বিভিন্ন এলাকা থেকে তিন ব্যক্তিকে আটক করা হয়। তাঁরা হলেন ফখরুল ইসলাম, মাজহারুল ইসলাম ও আবদুল আজিজ। তাঁদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ওই পাহাড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে বোমা ও অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এঁদের মধ্যে ফখরুল সীতাকুণ্ডের বাড়ককুণ্ড ইউনিয়ন বিএনপির ধর্মবিষয়ক সম্পাদক। বাকি দুজনকে শিবিরের ক্যাডার বলে পুলিশ দাবি করেছে।
চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার এ কে এম হাফিজ আক্তার দাবি করেছেন, সীতাকুণ্ডে বিএনপি-জামায়াত-শিবির নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছে। পুলিশ খবর পায়, নুনাছড়া পাহাড়ে নাশকতার আস্তানা রয়েছে। সেখানে পেট্রলবোমা ও ককটেল তৈরি করে চট্টগ্রামে সরবরাহ করা হয়। শনিবার রাত দেড়টা থেকে সকাল পর্যন্ত ওই পাহাড়ি এলাকায় অভিযান চালায় পুলিশ। পুলিশের অভিযানের কথা টের পেয়ে নাশকতাকারীরা পালিয়ে যায়।
তবে আটক ফখরুল ইসলামের বাবা নূর সোলেমান জানান, বাড়বকুণ্ড জামে মসজিদের পাশে তাঁর ছেলের দোকান রয়েছে। পুলিশ শনিবার বিকেলে দোকান থেকে তাঁর ছেলেকে ধরে নিয়ে যায় বলে দাবি করেছেন তিনি।
এদিকে গতকাল দুপুরে নুনাছড়া পাহাড়ি এলাকায় গেলে স্থানীয় লোকজন জানান, সকালে এয়াকুবনগর এলাকা থেকে জাফর উল্লাহ, শাকিব, সাইফুল ইসলাম, মদিন উল্লাহ ও সিরাজ (শ্রবণপ্রতিবন্ধী) নামের আরও পাঁচ ব্যক্তিকে পুলিশ আটক করেছে। তাঁদের চা-দোকান থেকে পুলিশ ধরে নিয়ে যায় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা প্রথম আলোকে জানিয়েছেন।
স্থানীয় চা-দোকানদার রুবেল জানান, সকাল সাতটা ১০ মিনিটের দিকে তাঁর দোকান থেকে চা খেয়ে বের হচ্ছিলেন জাফর উল্লাহ (৩২)। তিনি এয়াকুবনগর এলাকার সর্দারবাড়ির শরিয়ত উল্লাহর ছেলে। তাঁকে পুলিশ গাড়িতে উঠতে বলে। ভয়ে তাঁরা কেউ প্রতিবাদ করেননি।
আটক জাফর উল্লাহর মেজভাই পরিচয় দিয়ে একজন জানান, তাঁর ভাই দুই মাস আগে সৌদি আরব থেকে দেশে আসেন। সকালে দোকানে চা খেতে যান। সেখান থেকে পুলিশ তাঁর ভাইকে ধরে নিয়ে যায়।
রুবেলের চা-দোকানের পাশে ওষুধের ফার্মেসি রয়েছে পুলিশের হাতে আটক শাকিবের। তাঁর বড় ভাবি হালিমা বেগম বলেন, সকাল সাতটা ২০ মিনিটের দিকে দোকান খুলতে যান তাঁর দেবর। দোকান খোলার আগেই পুলিশ তাঁকে ধরে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার হাফিজ আক্তার বলেন, সন্দেহজনকভাবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অনেককেই পুলিশ আটক করতে পারে।
আটক হওয়া ব্যক্তিদের পরিবার তাঁদের নিরীহ বলছে। তবু তাঁদের কেন আটক করা হলো জানতে চাইলে পুলিশ সুপার বলেন, তদন্তের স্বার্থে এখন কিছু বলা যাচ্ছে না।
উদ্ধার হওয়া ‘সাইকেলবোমা’র সঙ্গে ছিল ৫৮টি ককটেল, ৪৮টি পেট্রলবোমা, ৫০০ গ্রাম সালফার পাউডার, পাইপবোমা, পাথরসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম। গতকাল রোববার শেরেবাংলা নগরে র্যাব-২-এর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।
র্যাব জানিয়েছে, কলতাবাজারের বাসা থেকে উদ্ধার করা সবুজ রঙের সাইকেলটির ফাঁপা কাঠামো (ফ্রেম) বিস্ফোরকে ভরা। চালকের আসনের নিচ দিয়ে বের হয়ে আছে দুটি সলতের মাথা। একটু আগুন ছোঁয়ালেই ঘটে যাবে বিকট বিস্ফোরণ। সাইকেলটিকে একটি চলন্ত বোমায় রূপান্তরিত করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান বলেন, গত শনিবার গভীর রাতে কাকরাইল এলাকা থেকে রাকিবুল ইসলাম মণ্ডল ওরফে রাকিব শশী (২৫) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর দেওয়া তথ্যে গতকাল ভোরে কলতাবাজারের ওই বাসা থেকে আমিনুল ইসলাম ওরফে রানা (৩০) ও রিয়াজুল ইসলামকে (২২) গ্রেপ্তার করে র্যাব। সেখান থেকেই সাইকেলবোমা, ককটেল, পেট্রলবোমাসহ অন্যান্য উপকরণ উদ্ধার করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার হওয়া তরুণেরা জানিয়েছেন, তাঁরা তিতুমির কলেজ ছাত্রদলের সঙ্গে জড়িত এবং ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আনিসুর রহমান ওরফে খোকনের অনুসারী। আনিসুর পলাতক রয়েছেন। তাঁর নির্দেশে গ্রেপ্তার তিনজন রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ককটেলের বিস্ফোরণ, যানবাহনে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর করেছেন বলে র্যাব দাবি করেছে। রাজধানীতেও বড় ধরনের নাশকতার পরিকল্পনা ছিল তাঁদের।
র্যাব-২-এর পরিচালক মাসুদ রানা প্রথম আলোকে জানান, একটি ককটেলে সাধারণ ২০ থেকে ৩০ গ্রাম বিস্ফোরক ব্যবহৃত হয়। সাইকেলের ভেতরে এক থেকে দেড় কেজি বিস্ফোরক ছিল।
র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক জিয়উল আহসান প্রথম আলোকে জানান, যশোর সীমান্ত থেকে লিটন নামে এক ব্যক্তি ওই সাইকেলটি সরবরাহ করেন। এ ধরনের আরও কিছু অভিনব বোমা তাঁরা তৈরি করেছেন বলে র্যাব জানতে পেরেছে।
চট্টগ্রামের পাহাড়ে আস্তানা: পুলিশের দাবি, সীতাকুণ্ডের মধ্যম এয়াকুবনগরের নুনাছড়া পাহাড়ি এলাকায় নাশকতাকারীদের ‘গোপন আস্তানার’ সন্ধান পাওয়া গেছে। গতকাল রোববার ভোরে ওই পাহাড়ি এলাকা থেকে ৬৯টি পেট্রলবোমা, ৫০টি ককটেল, চারটি এলজি, ১০টি কিরিচ ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড থানার ওসি ইফতেখার হাসান জানান, শনিবার সীতাকুণ্ডের বিভিন্ন এলাকা থেকে তিন ব্যক্তিকে আটক করা হয়। তাঁরা হলেন ফখরুল ইসলাম, মাজহারুল ইসলাম ও আবদুল আজিজ। তাঁদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ওই পাহাড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে বোমা ও অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এঁদের মধ্যে ফখরুল সীতাকুণ্ডের বাড়ককুণ্ড ইউনিয়ন বিএনপির ধর্মবিষয়ক সম্পাদক। বাকি দুজনকে শিবিরের ক্যাডার বলে পুলিশ দাবি করেছে।
চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার এ কে এম হাফিজ আক্তার দাবি করেছেন, সীতাকুণ্ডে বিএনপি-জামায়াত-শিবির নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছে। পুলিশ খবর পায়, নুনাছড়া পাহাড়ে নাশকতার আস্তানা রয়েছে। সেখানে পেট্রলবোমা ও ককটেল তৈরি করে চট্টগ্রামে সরবরাহ করা হয়। শনিবার রাত দেড়টা থেকে সকাল পর্যন্ত ওই পাহাড়ি এলাকায় অভিযান চালায় পুলিশ। পুলিশের অভিযানের কথা টের পেয়ে নাশকতাকারীরা পালিয়ে যায়।
তবে আটক ফখরুল ইসলামের বাবা নূর সোলেমান জানান, বাড়বকুণ্ড জামে মসজিদের পাশে তাঁর ছেলের দোকান রয়েছে। পুলিশ শনিবার বিকেলে দোকান থেকে তাঁর ছেলেকে ধরে নিয়ে যায় বলে দাবি করেছেন তিনি।
এদিকে গতকাল দুপুরে নুনাছড়া পাহাড়ি এলাকায় গেলে স্থানীয় লোকজন জানান, সকালে এয়াকুবনগর এলাকা থেকে জাফর উল্লাহ, শাকিব, সাইফুল ইসলাম, মদিন উল্লাহ ও সিরাজ (শ্রবণপ্রতিবন্ধী) নামের আরও পাঁচ ব্যক্তিকে পুলিশ আটক করেছে। তাঁদের চা-দোকান থেকে পুলিশ ধরে নিয়ে যায় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা প্রথম আলোকে জানিয়েছেন।
স্থানীয় চা-দোকানদার রুবেল জানান, সকাল সাতটা ১০ মিনিটের দিকে তাঁর দোকান থেকে চা খেয়ে বের হচ্ছিলেন জাফর উল্লাহ (৩২)। তিনি এয়াকুবনগর এলাকার সর্দারবাড়ির শরিয়ত উল্লাহর ছেলে। তাঁকে পুলিশ গাড়িতে উঠতে বলে। ভয়ে তাঁরা কেউ প্রতিবাদ করেননি।
আটক জাফর উল্লাহর মেজভাই পরিচয় দিয়ে একজন জানান, তাঁর ভাই দুই মাস আগে সৌদি আরব থেকে দেশে আসেন। সকালে দোকানে চা খেতে যান। সেখান থেকে পুলিশ তাঁর ভাইকে ধরে নিয়ে যায়।
রুবেলের চা-দোকানের পাশে ওষুধের ফার্মেসি রয়েছে পুলিশের হাতে আটক শাকিবের। তাঁর বড় ভাবি হালিমা বেগম বলেন, সকাল সাতটা ২০ মিনিটের দিকে দোকান খুলতে যান তাঁর দেবর। দোকান খোলার আগেই পুলিশ তাঁকে ধরে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার হাফিজ আক্তার বলেন, সন্দেহজনকভাবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অনেককেই পুলিশ আটক করতে পারে।
আটক হওয়া ব্যক্তিদের পরিবার তাঁদের নিরীহ বলছে। তবু তাঁদের কেন আটক করা হলো জানতে চাইলে পুলিশ সুপার বলেন, তদন্তের স্বার্থে এখন কিছু বলা যাচ্ছে না।