মক্তবে
পড়ার জন্য পুকুরে অজু করতে গিয়েছিল তিন বোন। অজু করে ফেরার সময়
নারকেলগাছে লাল বলের মতো বস্তু দেখতে পায় তারা। একপর্যায়ে সেটি নামানোর
জন্য লাঠি দিয়ে খোঁচা দেয়। বস্তুটি মাটিতে পড়তেই বিস্ফোরণ ঘটে। এতে তিন
বোনই আহত হয়।
গতকাল রোববার ভোরে ভোলা সদর উপজেলার পৌর চরজংলার একটি বাড়ির পেছনে এ ঘটনা ঘটে। আহত তিন বোনকে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে একটি তাজা ককটেল উদ্ধার করেছে।
আহত তিন বোন হলো জান্নাত বেগম (১২), সুফিয়া বেগম (৭) ও ফাতেমা বেগম (৫)। তারা রংমিস্ত্রি মোস্তফা কামালের মেয়ে। শিশুদের মা ফাতেমা বেগম বলেন, ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে তাঁর তিন মেয়ে অজু করে বাড়ি ফিরছিল। ঘাটের কাছে নারকেলগাছে বলের মতো বস্তু দেখতে পেয়ে লাঠি দিয়ে নামানোর চেষ্টা করে। গাছ থেকে একটি বস্তু নিচে পড়েই বিস্ফোরিত হয়। এতে তিন বোনের পাঁচ পা জখম হয়। তাৎক্ষণিকভাবে তিনজনকে রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হয়।
হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, আহত তিন বোন যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে। তাদের সঙ্গে মা-বাবা ও স্বজনেরা কান্নাকাটি করছেন।
মোস্তফা কামাল বলেন, খালের পাড়ে অন্যের জমিতে ঘর তুলে তিনি পরিবার নিয়ে বসবাস করেন। নুন আনতে পান্তা ফুরায় অবস্থা তাঁর। আহত তিন মেয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ে। তাদের চিকিৎসা করার মতো সামর্থ্য তাঁর নেই। কীভাবে তাদের চিকিৎসা করাবেন, তা নিয়ে তিনি দুশ্চিন্তায় আছেন।
গতকাল রোববার ভোরে ভোলা সদর উপজেলার পৌর চরজংলার একটি বাড়ির পেছনে এ ঘটনা ঘটে। আহত তিন বোনকে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে একটি তাজা ককটেল উদ্ধার করেছে।
আহত তিন বোন হলো জান্নাত বেগম (১২), সুফিয়া বেগম (৭) ও ফাতেমা বেগম (৫)। তারা রংমিস্ত্রি মোস্তফা কামালের মেয়ে। শিশুদের মা ফাতেমা বেগম বলেন, ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে তাঁর তিন মেয়ে অজু করে বাড়ি ফিরছিল। ঘাটের কাছে নারকেলগাছে বলের মতো বস্তু দেখতে পেয়ে লাঠি দিয়ে নামানোর চেষ্টা করে। গাছ থেকে একটি বস্তু নিচে পড়েই বিস্ফোরিত হয়। এতে তিন বোনের পাঁচ পা জখম হয়। তাৎক্ষণিকভাবে তিনজনকে রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হয়।
হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, আহত তিন বোন যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে। তাদের সঙ্গে মা-বাবা ও স্বজনেরা কান্নাকাটি করছেন।
মোস্তফা কামাল বলেন, খালের পাড়ে অন্যের জমিতে ঘর তুলে তিনি পরিবার নিয়ে বসবাস করেন। নুন আনতে পান্তা ফুরায় অবস্থা তাঁর। আহত তিন মেয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ে। তাদের চিকিৎসা করার মতো সামর্থ্য তাঁর নেই। কীভাবে তাদের চিকিৎসা করাবেন, তা নিয়ে তিনি দুশ্চিন্তায় আছেন।
মোস্তফা বলেন, হরতাল-অবরোধে এমনিতেই কাজকর্ম নেই। দুই মাস ধরে বেশির ভাগ দিন বেকার থেকে ঋণ করে সংসার চালিয়েছেন।
হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা কুমার বিশ্বজিৎ পাল বলেন, তিন বোনের উন্নত চিকিৎসা দরকার।
ভোলা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোবাশ্বের আলী
বলেন, তাঁরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে একটি তাজা ককটেল উদ্ধার করেছেন। আহত
শিশুদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।