ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ভ্যাটমুক্ত বার্ষিক টার্নওভার সীমা বাড়ানোর আহ্বান
জানিয়েছে ব্যাবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই। বিদ্যমান আইন অনুযায়ী
বার্ষিক টার্নওভারের পরিমাণ ২৪ লাখ টাকা পর্যন্ত মূল্য সংযোজন কর বা
ভ্যাটের আওতামুক্ত ছিল। এখন সেটা বাড়িয়ে ৩৬ লাখ টাকা নির্ধারণ করার দাবি
জানানো হয়েছে। রবিবার অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতের সঙ্গে বৈঠক শেষে
এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘ভ্যাট
আইনের সংশোধন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বৈঠকে নতুন ভ্যাট আইন নিয়ে পূর্বের
সুপারিশকৃত ১০টি বিষয়ে কথা হয়েছে। সবগুলো একবারে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে
না। ধাপে ধাপে বাজেটের মাধ্যমে এগুলো সমন্বয় করা হবে।’
অর্থমন্ত্রী ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের সুবিধার জন্য বার্ষিক টার্নওভারের সীমা ২৪
লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩৬ লাখ টাকা নির্ধারণের বিষয়টি তিনি মেনে নিয়েছেন।
তিনি জানান—আগামী বাজেটে এটি সংশোধন করা হবে। এ ছাড়া, মাল্টিপল ভ্যাট ও
ঢালাওভাবে ১৫ শতাংশ ভ্যাটের পরিবর্তে ভিন্ন ভিন্ন খাতে ভিন্ন ভিন্ন ভ্যাট
হার নির্ধারণের বিষয়টি নিয়েও কথা হয়েছে।
উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক
মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ১০০ কোটি ডলারের ‘বর্ধিত ঋণ সহায়তা’র শর্ত হিসেবে
‘ভ্যাট আইন-২০১২’ প্রণয়ন করে সরকার। ২০১৪ সালে জুলাই থেকে এটি পূর্ণাঙ্গ
বাস্তবায়নের কথা ছিল। কিন্তু ভ্যাট আইন সংশোধনের জন্য ব্যবসায়ীদের প্রবল
আপত্তির মুখে এটি বাস্তবায়নের তারিখ এক বছর পিছিয়ে ২০১৫ সালের ১ জুলাই
নির্ধারণ করা হয়। বর্তমানে আইএমএফ মিশনের একটি প্রতিনিধি দল ঢাকা সফর করছে।
সোমবার প্রতিনিধি দলটি অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাত্ করবে। এ কারণে
এফবিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে ভ্যাট আইনের সংশোধন নিয়ে অর্থমন্ত্রীর সাথে বৈঠক
হয়।
আইএমএফের শর্ত প্রসঙ্গে কাজী আকরম উদ্দিন বলেন, ‘তাদের সব
শর্তই যে মেনে নিতে হবে, তা নয়। দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা আইএমএফকে বোঝানো
হবে। এমন ভ্যাট আইন করা হবে, যাতে সরকার ট্যাক্স পায় এবং ব্যবসায়ীরাও যাতে
সহজে ভ্যাট দিতে পারেন।