National news - পেট্রোলবোমা কমলেও বেড়েছে ককটেল সন্ত্রাস

পেট্রোলবোমা কমলেও বেড়েছে ককটেল সন্ত্রাস
বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের অবরোধ-হরতালে ভয়াবহ পেট্রোল বোমা হামলার ঘটনা অনেকটা কমেছে। তবে বেড়েছে ককটেল সন্ত্রাস। ককটেল সন্ত্রাসে শীর্ষে রয়েছে রাজধানী, দ্বিতীয় অবস্থানে চট্টগ্রাম। পাশাপাশি খুলনা, সিলেট, রংপুর, রাজশাহী, বরিশাল ও ঢাকা রেঞ্জে নাশকতা কমেছে। পুলিশ সদর দফতরের রেকর্ড থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, টানা অবরোধের গতকাল ছিল ৬৩তম দিন। মাঝে মাঝে দেয়া হচ্ছে হরতাল। এরমধ্যে গত দেড় মাসে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপের ঘটনা ছিল ১৯২টি; কিন্তু গত ১৫ দিনে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে ২১টি। তুলনামূলক ভাবে কমেছে বাসে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা। গত দেড় মাসে যানবাহনে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ছিল ৪৭২টি। সেখানে গত ১৫ দিনে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে ৬০টি।  তবে ভয়াবহ আকারে বেড়েছে ককটেল বিস্ফোরণ। আর এ ঘটনা বেশি ঘটছে রাজধানী ও চট্টগ্রামে। দেড় মাসে রাজধানীতে ককটেল বিস্ফোরণ ছিল ২৭৬টি, চট্টগ্রামে ১৮৩টি; কিন্তু গত পনের দিনে রাজধানীতে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে ২২৭টি। চট্টগ্রাম রেঞ্জে ৮০টি। খুলনা, সিলেট, রংপুর, রাজশাহী, বরিশাল, ঢাকা রেঞ্জে কিছুটা কমেছে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ ও ককটেল বিস্ফোরণ।
সূত্র জানায়, অবরোধ-হরতালে গত দুই মাসে পেট্রোল বোমায় নিহত হয়েছে ৬৪ জন। অগ্নিদগ্ধ ও ককটেল বিস্ফোরণে আহত হয় ৬৮৫ জন। অপর দিকে পুলিশ আহত হয়েছে ৩০৬ জন। তবে বেশি সংখ্যক পুলিশ আহত হয়েছে চট্টগ্রামে ১১৮ জন, ঢাকায় ৪৬ জন।
সূত্র জানায়, গত তিন দিনে রাজধানীতে ককটেল বোমায় আহত হয়েছেন একজন নারী চিকিত্সকসহ ৩৫ জন। সর্বশেষ গতকাল রবিবার দুপুরে রাজধানীর পল্টন ও তোপখানা এলাকায় পর পর ১০টি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। পুলিশ এ সময় ঘটনাস্থল থেকে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে চারজনকে গ্রেফতার করে।
পুলিশ সদর দফতরের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলেন, পুলিশের ব্যাপক তত্পরতা ও জনগণের সচেতনতার কারণে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপের ঘটনা কমেছে। দেশের যেসব এলাকায় নাশকতার মাত্রা বেশি ছিল সে সব এলাকায় পুলিশের বিশেষ অভিযানের ফলে বহু সংখ্যক নাশকতাকারীকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে। এ কারণেই পরিস্থিতি উন্নতি হয়েছে।
ককটেল বিস্ফোরণের ব্যাপারে পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, রাজধানীর জীবন-যাত্রা বরাবরই স্বাভাবিক। এ পরিপ্রেক্ষিতে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির জন্য ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ খুব কাছ থেকে করতে হয়। ফলে ধরা পড়ার ভয় থাকে; কিন্তু ককটেল বেশ দূরত্বে থেকেই ছোঁড়া যায়। এ কারণেই দৃর্বৃত্তরা তাদের কৌশল বদলে ককটেল নিক্ষেপের উপর বেশি জোর দিয়েছে। তবে পুলিশের এ কর্মকর্তা আশাবাদী- খুব শিগগিরই ককটেল নিক্ষেপকারীদেরও নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, পেট্রোল বোমা নিক্ষেপকারীরা অনেকেই গ্রেফতার হয়েছে। অনেকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এ কারণে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপের ঘটনা কমেছে। তবে পুলিশের এ কর্মকর্তা ককটেল বিস্ফোরণ বৃদ্ধির ব্যাপারে দ্বি-মত পোষণ করে বলেন, ককটেল আগেও বিস্ফোরিত হয়েছে। খুব বেশি বেড়েছে এটা বলা যাবে না। তিনি আরো বলেন, অবরোধ-হরতালে রাজধানীর জীবন-যাত্রা স্বাভাবিক। এ অবস্থায় আতঙ্ক সৃষ্টির জন্যই দৃর্বৃত্তরা সুযোগ বুঝে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটাচ্ছে।
-

Latest

Popular Posts

Popular Posts

Popular Posts