National news - শাস্তি খালেদা জিয়াকে পেতেই হবে: প্রধানমন্ত্রী

শাস্তি খালেদা জিয়াকে পেতেই হবে: প্রধানমন্ত্রী
 
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, রাজনৈতিক উচ্চাভিলাষ চরিতার্থের লক্ষ্যে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া পুড়িয়ে মানুষ হত্যা করছেন। নারী-শিশু এমনকি অন্তঃসত্ত্বা মহিলাও তার নৃশংসতার হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না। পেট্রোল ঢেলে, ককটেল মেরে দেশের মানুষকে হত্যার অধিকার তাকে কে দিয়েছে?’ এটা কোনভাবেই সহ্য করা যায় না। খালেদা জিয়াকে তার নির্মম ও নৃশংস কর্মকাণ্ডের শাস্তি পেতেই হবে। মানুষ পুড়িয়ে হত্যার জন্য তার বিচার হবে। আন্দোলনের নামে বিএনপি জোটের নৃশংস কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ ও প্রতিরোধে সোচ্চার হতে তিনি নারী সমাজসহ দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।
 
রবিবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বিশ্ব নারী দিবস উপলক্ষে নারী ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। দিবসটির এ বছরের প্রতিপাদ্য হচ্ছে- ‘নারীর ক্ষমতায়ন : নারীর উন্নয়ন’।
 
শেখ হাসিনা বলেন, খালেদা জিয়া দাবি করেন যে, তিনি তিনবার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। কিন্তু পরিতাপের বিষয় যে, একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রী কিভাবে মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করতে পারেন? তিনি বলেন, রাজনীতি হচ্ছে মানুষের জন্য ও তাদের কল্যাণের জন্য, রাজনীতি মানুষ পুড়িয়ে হত্যার জন্য নয়। বিএনপি-জামায়াতের হরতাল-অবরোধের কড়া সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, খুব দুঃখ লাগে, যখন আমরা দেখি প্রতিটি ক্ষেত্রে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, উন্নত-সমৃদ্ধশালী হচ্ছে, সারা বিশ্বাব্যাপী বাংলাদেশ যখন সুনাম অর্জন করেছে-  ঠিক তখনই একসময়ের বিরোধী দলীয় নেত্রী, বর্তমানে না সংসদে না সরকারে, নিজের অফিসে বসে পেট্রোল বোমা মেরে মানুষ পুড়িয়ে মারছেন। এই ধরনের জঘণ্য ঘটনা বাংলাদেশে ঘটতে দেওয়া যায় না।
 
প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটা শ্রেণি ধর্মকে ব্যবহার করে নারীদের বন্দি করে রাখতে চায়। তবে এ ধরনের প্রতিকূলতা মোকাবেলা করেও নারীদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে। কারণ একমাত্র ইসলাম ধর্মই নারীদের অধিকার নিশ্চিত করেছে। এটা অনেকেই ভুলে যায়। তিনি বলেন, ইসলাম ধর্ম কখনও কোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেনি। কিন্তু যারা আজকে ইসলাম ধর্মের নাম করে নারীদের বাধা দিতে চায়, তারা আসলে সত্যিকারের ইসলাম ধর্ম ও ধর্মের অনুশাসন হয়তো দেখেও না দেখার চেষ্টা করেন।
 
প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রথম ইসলাম ধর্মগ্রহণ যিনি করেছিলেন, তিনিও একজন নারী ছিলেন। তিনি ছিলেন বিবি খাদিজা (রা.)। তিনি নিজে ব্যবসা-বাণিজ্য করতেন। ইসলামের জন্য প্রথম শহীদও হয়েছিলেন একজন নারী। তিনি বলেন, নারীর উন্নয়ন ছাড়া দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। একটি দেশকে এগিয়ে নিতে হলে নারী-পুরুষকে সমানভাবে উন্নত করতে হবে। এক অংশকে পেছনে ফেলে একটি সমাজ-একটি দেশ উন্নত হতে পারে না।
 
বাংলাদেশে নারীর উন্নয়ন ও অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা নারীর উন্নয়নে বাংলাদেশের প্রশংসা করছে। বাংলাদেশ সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এমডিজি) অর্জনে বিশ্বে প্রথম স্থান অধিকার করেছে। বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের গ্লোবাল জেন্ডার গ্যাপ রির্পোট ২০১৪ অনুযায়ী ১৪২টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৬৮তম। রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে নারীর অংশগ্রহণের মান হিসেবে বিশ্বের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান সপ্তম।
 
মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মন্ত্রণালয়ের সচিব তারিক-উল ইসলাম, জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ আর্জেন্টিনা মাতাভেল পিককিন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
 
অনুষ্ঠানে দেশের নারী সমাজের সার্বিক উন্নয়নের ওপর একটি প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শিত হয়। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নারীর উন্নয়ন-অগ্রগতির ভূয়সী প্রশংসা করেন ইউএনএফপিএ‘র প্রতিনিধি মাতাভেল পিকনিক।
-

Latest

Popular Posts

Popular Posts

Popular Posts