গতকাল মুক্তি পেয়েছে জিরো ডিগ্রী। ছবিতে দেখা গেল জয়া আহসানকে।
ছবি মুক্তির আগে মাত্র দিন কয়েকের ছুটিতে ঢাকায় এসেছিলেন তিনি। ছুটি
শেষে এ সপ্তাহেই উড়াল দেবেন ভারতের উদ্দেশে। কারণ, জয়ার এ সময়ের
ব্যস্ততার অনেকটাই ওপার বাংলার চলচ্চিত্র ঘিরে। সেই ব্যস্ততার বয়ান করলেন
তিনি—
ঢাকার দিনগুলো কেমন কাটছে?
কয় দিনেই হাঁপিয়ে উঠেছি। জিরো ডিগ্রীর প্রচারেই ছুটেই চলছি। ৩০ জানুয়ারি ঢাকায় ফিরেছি। এর পরদিন থেকেই শুরু করেছি প্রচারের কাজ। এমনকি প্রচার চলছে ছবি মুক্তির পরেও।
প্রচার শেষে কোন কাজে যোগ দেবেন?
এরপর শুরু করব ইন্দ্রনীল রায়চৌধুরীর একটি বাঙালি ভূতের গপ্পো ছবির কাজ। এর কিছুদিন পর শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ও নন্দিতা রায়ের পরিচালনায় কণ্ঠ ছবির শুটিং শুরু হবে। আর সম্প্রতি তো শেষ করলাম সৃজিতের রাজকাহিনীর শুটিং।
সব তো ওপার বাংলার ছবি। এ দেশে নতুন কোনো ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন?
বেশ কিছু ছবি নিয়ে কথা হচ্ছে। কিন্তু ওগুলো এখনো বলার মতো পর্যায়ে যায়নি। তবে পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেমকাহিনী ২ ছবির কিছুটা কাজ বাকি রয়েছে। নতুন দুটো ছবির ফাঁকেই শেষ হয়ে যাবে এর কাজ।
লাদেশের মূলধারার বাণিজ্যিক ছবিতে কাজ করেছেন। টালিউডের বাণিজ্যিক ছবিতেও কি দেখা যাবে আপনাকে?
টালিউডের বাণিজ্যিক ছবিতে আপাতত আগ্রহ নেই।
তাহলে আগ্রহ কিসে?
একেবারে আর্ট ফিল্মও নয়, আবার মূলধারার বাণিজ্যিক ছবিও নয়। এর মাঝামাঝি থেকে কিছু ছবি এখন তৈরি হচ্ছে টালিউডে। এ ছবিগুলো সেখানে এখন অনেক জনপ্রিয়। আমার পছন্দ সে ধরনের ছবি। তবে হ্যাঁ, মূলধারার বাণিজ্যিক ছবি কিন্তু চলচ্চিত্রশিল্পকে দাঁড় করানোর জন্য অনেক জরুরি। আমার ভাবনা দেশের শিল্পকে সামনে এগিয়ে নেওয়ার।