এবার পদ্মায় মার্চ-এপ্রিলে পানি প্রবাহ বেড়েছে। হার্ডিঞ্জ সেতু পয়েন্টে গত
বৃহস্পতিবার পানি প্রবাহের পরিমাণ ছিল ৮৩ হাজার কিউসেক। সেখানে পানির
উচ্চতা বেড়েছে। এদিকে পদ্মায় পানি প্রবাহ বৃদ্ধির কারণে এবার গড়াই নদীতেও
পানি প্রবাহ বেড়েছে। ফলে পানির উচ্চতাও বৃদ্ধি পেয়েছে।
পানি
উন্নয়ন বোর্ডের হাইড্রোলজি শাখার এক সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের জানুয়ারি
মাসের প্রথম ১০ দিন হার্ডিঞ্জ সেতু পয়েন্টে পানি প্রবাহের পরিমাণ ছিল ৯০
হাজার কিউসেক। কিন্তু চুক্তির চেয়ে বাংলাদেশ বেশি পরিমাণ পানি পায়। এরপর
থেকে পানি প্রবাহের পরিমাণ ও পানির উচ্চতা কমতে থাকে। ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ
৮ দিন পানি প্রবাহ কমে ৫০ হাজার কিউসেকে নেমে আসে। মার্চ মাসের প্রথম ১০
দিনও বাংলাদেশ ৫০ হাজার কিউসেক পানি পায়। এরপর পানি প্রবাহ বাড়তে থাকে।
মার্চের দ্বিতীয় ১০ দিন বাংলাদেশ ৫৪ হাজার কিউসেক পানি পায়। শেষ ১০ দিন তা
বেড়ে হয় ৬০ হাজার কিউসেক। এরপর থেকে ক্রমাগত বাড়ছে পানির প্রবাহ। হার্ডিঞ্জ
সেতু পয়েন্টে গতকাল পদ্মায় পানি প্রবাহের পরিমাণ ছিল ৮৩ হাজার কিউসেক।
পানি প্রবাহের পাশাপাশি পানির উচ্চতাও বেড়েছে। ৮ এপ্রিল হার্ডিঞ্জ সেতু
পয়েন্টে পানির উচ্চতা ছিল ৫ দশমিক ৮৯ মিটার।
পূর্বে দেখা গেছে,
মার্চ থেকে পদ্মায় পানি প্রবাহ বেশি কমতে থাকে। এপ্রিলের মাঝামাঝি থেকে
একটু একটু করে বাড়তে থাকে। ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ মে পর্যন্ত শুষ্ক মৌসুম ধরা
হয়। গঙ্গার পানি চুক্তি অনুযায়ী যৌথ নদী কমিশনের টিম হার্ডিঞ্জ সেতু
পয়েন্টে পানির উচ্চতা ও মোট প্রবাহের পর্যবেক্ষণ করে থাকে। এ টিমে বাংলাদেশ
ও ভারতের প্রতিনিধিরা থাকেন। প্রতিদিন রিডিং নিয়ে নিজ নিজ দেশের সরকারের
কাছে রিপোর্ট পাঠান তারা। একইভাবে ভারতের ফারাক্কা পয়েন্টে অনুরূপ একটি টিম
প্রতিদিন পানি প্রবাহ ও পানির উচ্চতার রিডিং নিয়ে থাকেন। তারাও নিজ নিজ
সরকারের কাছে রিপোর্ট দিয়ে থাকেন। উল্লেখ্য, গঙ্গার পানি চুক্তি অনুযায়ী
বাংলাদেশ শুষ্ক মৌসুমে ৩৫ হাজার কিউসেক পানি পাবে।