Profession news - পণ্যের মোড়ক তৈরিতে জেডপ্যাক

পুরানা পল্টনে নিজের প্রতিষ্ঠানে কাজ করছেন মেসবাহ l ছবি: প্রথম আলো


    

স্বপ্ন ছিল নিজের সৃজনশীলতাকে কাজে লাগিয়ে নতুন কিছু করার। একজন ব্যাংকার বাবার সন্তান হিসেবে পরিবারের সবাই চাইতেন ছেলেও ব্যাংকেই ঢুকুক। কিন্তু মেসবাহ-উল-আলম হয়েছেন উদ্যোক্তা। তিনি ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ শেষ করার পর চাকরি শুরু করেন একটি প্যাকেজিং কোম্পানিতে। ওই প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন পণ্যের মোড়ক তৈরি করত। এই চাকরিই তাঁকে স্বপ্ন পূরণের পথ দেখায়। যেসব প্রতিষ্ঠানের মোড়ক তৈরির ব্যবস্থা নেই, তাদের কীভাবে সেবা দেওয়া যায়, সেই চিন্তা থেকে মেসবাহ নিজেই এ ধরনের একটি প্রতিষ্ঠান তৈরির কথা ভাবলেন। জন্ম হলো জেডপ্যাকের।

২০১২ সালের শেষ দিকে রাজধানীর পুরানা পল্টনে যাত্রা শুরু করে জেডপ্যাক, যেখানে পণ্যের মোড়কের ডিজাইন থেকে শুরু করে উৎপাদন পর্যন্ত সব কাজের ব্যবস্থা রাখা হয়। মেসবাহ শুরুতে পণ্যের মোড়ক তৈরি করতেন। তাঁর লক্ষ্য ছিল নতুন নতুন ধারণা নিয়ে কাজ করা এবং মান নিয়ন্ত্রণ ও সময়মতো সরবরাহ। এভাবে অল্প দিনের মধ্যে তাঁর প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের বড় বড় ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানি থেকে শুরু করে বিভিন্ন খাদ্য ও কৃষিনির্ভর প্রতিষ্ঠানের পণ্যের মোড়ক তৈরির কাজ শুরু করে। পণ্যের মান দিয়ে এসব প্রতিষ্ঠানে নিজের অবস্থান তৈরি করে নেন তিনি। এতে বেশি বেশি কাজের ফরমাশ আসতে থাকে।

মেসবাহ বলেন, ‘আমার প্রতিষ্ঠান সুনামের সঙ্গে স্কয়ার, এসকেএফ, এসিআই, প্রাণের মতো সুপ্রতিষ্ঠিত কোম্পানির সঙ্গে কাজ করছে।’ তিনি আরও বলেন, জেডপ্যাক প্রথমেই একজন গ্রহীতার কাছ থেকে তাঁর পণ্য সম্পর্কে জেনে নেয়। এরপর এখানে নিজস্ব দক্ষ কর্মীর মাধ্যমে ডিজাইন থেকে শুরু করে সৃজনশীল মোড়ক তৈরির পরিকল্পনা করে। এ ছাড়া গ্রাহকের চাহিদা অনুসারে এখানে আন্তর্জাতিক মানের পণ্যের মোড়ক তৈরির কাজ করা হয়। তাঁর প্রতিষ্ঠানের পরিকল্পনায় উৎপাদিত মোড়ক এখন ইতালি ও সৌদি আরবে রপ্তানি হচ্ছে। পুরানা পল্টনে মেসবাহর অফিসে কর্মসংস্থান হয়েছে সাতজনের। এ ছাড়া নারায়ণগঞ্জের মদনপুরে তাঁর মোড়ক বানানোর কারখানায় আরও ১০ জন কাজ করেন। একজন উদ্যোক্তা হওয়ার কথা বলতে গিয়ে মেসবাহ জানান, এই চিন্তার বাস্তবায়ন করতে তাঁকে সহায়তা করেছে ফেসবুকভিত্তিক গ্রুপ ‘চাকরি খুঁজব না, চাকরি দেব’। বর্তমানে তাঁর প্রতিষ্ঠান সরাসরি কাজের ফরমাশ নিলেও দেশের বিভিন্ন স্থানের কোম্পানির সঙ্গে কাজ করার জন্য অনলাইনেও যোগাযোগ করে যাচ্ছে। এর জন্য রয়েছে নিজস্ব ওয়েবসাইটমেসবাহ বলেন, বাংলাদেশ থেকে আন্তর্জাতিক মানের পণ্যের মোড়ক উৎপাদন করে আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজ করার স্বপ্ন আছে তাঁর মনে। আর সেই স্বপ্নকে সামনে রেখেই এগিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
-

Latest

Popular Posts

Popular Posts

Popular Posts