Lifestyle news - যন্ত্রে গান শুনে কান খারাপ!

দুনিয়াজুড়ে ১২ থেকে ৩৫ বছর বয়সী ৪ কোটি ৩০ লাখ কিশোর-কিশোরী ও তরুণ-তরুণী ইতিমধ্যেই শ্রবণশক্তির সমস্যায় আক্রান্ত হয়েছে। প্রতীকী ছবি।   শ্রবণশক্তি ঠিকঠাক রাখতে হলে দিনে এক ঘণ্টার বেশি যন্ত্রে গান বাজিয়ে না শোনারই পরামর্শ দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। উচ্চ শব্দে, বেশি বেশি গান শুনে দুনিয়ার প্রায় ১১০ কোটি কিশোর-কিশোরী ও তরুণ-তরুণী ইতিমধ্যেই কানের বারোটা বাজানোর ঝুঁকিতে আছে বলেও এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে জাতিসংঘ সংস্থাটি। বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।


নানা ধরনের অডিও প্লেয়ার, কনসার্ট এবং ক্লাব-বারগুলোকে অল্প বয়সী ব্যক্তিদের শ্রবণশক্তির জন্য ‘গুরুতর হুমকি’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদনে। দুনিয়াজুড়ে ১২ থেকে ৩৫ বছর বয়সী ৪ কোটি ৩০ লাখ কিশোর-কিশোরী ও তরুণ-তরুণী ইতিমধ্যেই শ্রবণশক্তির সমস্যায় আক্রান্ত হয়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, ধনী এবং মধ্য-আয়ের দেশগুলোর ১২ থেকে ৩৫ বছর বয়সীদের প্রায় অর্ধেকই নিজেদের ব্যবহার করা নানা অডিও ডিভাইসের কারণে শ্রবণশক্তির সমস্যায় আক্রান্ত। এ ছাড়া প্রায় ৪০ শতাংশই ক্লাবে-বারে উচ্চ শব্দে বাজানো গান শোনা এবং লাইভ কনসার্টগুলোতে উপস্থিতির কারণে এ সমস্যায় আক্রান্ত হচ্ছে। এ সমস্যা দিন দিন বাড়ছে বলেও সতর্ক করেছে সংস্থাটি। উদাহরণ হিসেবে জানানো হয়, যুক্তরাষ্ট্রের কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে শ্রবণশক্তির সমস্যায় আক্রান্তের হার ১৯৯৪ সালে ৩ দশমিক ৫ থাকলেও ২০০৬ সালে তা বেড়ে ৫ দশমিক ৩ হয়ে গেছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আঘাত প্রতিরোধ বিভাগের পরিচালক ডক্টর এটেইনে ক্রুগ বলেন, ‘আমরা এই বিষয়টির প্রতি সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চেষ্টা করছি। খুব বেশি আলোচিত না হলেও এ সমস্যাটা গুরুতর হয়ে ওঠার আশঙ্কা আছে, যদিও সহজেই তা প্রতিরোধ করা সম্ভব।’

প্রতিবেদন বলা হয়, ঘরে-বাইরে যেখানেই হোক, গান শোনার সময় শব্দের মাত্রা কমিয়ে রাখাটা জরুরি। আর অনেকে চার-পাঁচ থেকে দশ ঘণ্টাও এমপি-থ্রি প্লেয়ারে গান শোনে, কিন্তু শব্দের মাত্রা বেশি অবস্থায় দিনে এক ঘণ্টাও কানের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর হতে পারে। তাই ব্যক্তিগত অডিও ডিভাইসের ব্যবহার দিনে এক ঘণ্টার চেয়ে কমিয়ে আনা এ সমস্যা প্রতিরোধে খুবই কার্যকর হতে পারে।
-

Latest

Popular Posts

Popular Posts

Popular Posts