বাংলা
সিনেমা দেখতে দীর্ঘ লাইন ধরে হলে ঢোকার অভিজ্ঞতা যতটা বিরল, ততটাই মধুর।
গত রোববার স্টার সিনেপ্লেক্সে ছুঁয়ে দিলে মন দেখতে গিয়ে ছবি শুরুর আগেই
তাই পরিচালকের একটা ‘ধন্যবাদ’ পাওনা হয়ে গেল। ছবি শুরু হওয়ার পর মনে হলো,
একটু ভুল হয়ে গেছে। কাহিনি, সংলাপ, পরিচালনা—সবটাই শিহাব শাহীনের। তাই বলে
ধন্যবাদের পুরোটা তাঁকে দেওয়া যাচ্ছে না। ছবির প্রযোজক, অভিনয়শিল্পী,
চিত্রগ্রাহক, সম্পাদক, সংগীত পরিচালক থেকে শুরু করে প্রোডাকশন বয়; কৃতিত্ব
সবারই ভাগ করে নেওয়া উচিত।
ঝকঝকে ছবি দেখার মজা অন্য রকম। লোকেশন, রং, সম্পাদনা, কস্টিউম ডিজাইন, সংলাপ সবকিছুই ছিল বেশ পরিচ্ছন্ন। বাড়াবাড়ি নেই। নায়ক চরিত্রে আছেন বলেই আরিফিন শুভকে কস্টিউম ডিজাইনার রংচঙে পোশাক ধরিয়ে দেননি (ভাগ্যিস!)। সাধারণ টি-শার্ট, শার্ট, ফতুয়াতেই তিনি নজর কেড়েছেন। ভিলেন চরিত্রে ইরেশ যাকেরের ‘হু হো হা হা’ হাসি নেই। দুর্বল চিত্তের খলনায়ক হিসেবে তিনি বেশ মানানসই (যদিও মাতাল হয়ে সংলাপ বলার সময় মনে হচ্ছিল, চরিত্রটাকে বোধ হয় হারিয়ে খুঁজছেন)। মজার সংলাপগুলোতে কাতুকুতু দেওয়ার চেষ্টা নেই, এটাও স্বস্তি দিয়েছে। অস্বস্তি দিল কেবল মমর মেকআপ। গানের দৃশ্যে আর একটু বেশি মেকআপ পড়লেই বোধ হয় তাঁকে চেনা কষ্টকর হয়ে যেত! এই বাড়াবাড়িটুকু তিনি পুষিয়ে দিয়েছেন সাবলীল অভিনয়ে।
হৃদয়পুর নামের কাল্পনিক এক মফস্বল শহরে ছবির গল্প। আবির আর নীলা—দুই কিশোর-কিশোরীর মন ছোঁয়াছুঁয়ি শুরু হতে না হতেই বিচ্ছেদ। নীলার বাবা শহরের প্রভাবশালী লোক, জোর করে সে শহর থেকে তাড়িয়ে দেয় আবিরের পরিবারকে। বহুদিন পর যখন হৃদয়পুরে ফেরে আবির, তত দিনে নীলার বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে চাচাতো ভাই ড্যানির (ইরেশ যাকের) সঙ্গে। বিয়ের রাতে আবিরের হাত ধরে বাড়ি ছেড়ে পালায় নীলা। এটুকু জেনে ভাবতে পারেন, গল্পে নতুনত্ব কই! উহু, ঘটনা তো সবে শুরু! ‘কাহিনির বাকিটা বুঝে ফেলেছি’ ভেবে পপকর্নে মন দেওয়ার সুযোগ পাবেন না।
শেষ অবধি যেতে যেতে গল্পটা বোধ হয় অহেতুক দীর্ঘায়িত হলো। আমদর্শকের ভাষায় যাকে বলে ‘ঝুলে গেছে’। আবিরের দুলাভাই চরিত্রে মিশা সওদাগর বরাবরের মতোই দুর্দান্ত। খলনায়ক নন, এ ছবিতে তিনি সুবোধ ভদ্রলোক। শেষের দিকে পিস্তল হাতে যখন বলেন, ‘ভালো মানুষ খেপে গেলে ভয়ংকর হয়ে যায়’, এই জায়গায় একটু খটকা থেকে গেল। ‘ভালো মানুষ’-এর পকেটে কি পিস্তল থাকে? মিশার হাতে পিস্তলের বদলে লাঠি ধরিয়ে দিলেও সম্ভবত অভিনয়ের কারিশমা দিয়ে তিনি পরিচালকের চাহিদাটুকু পূরণ করতে পারতেন।
একজনের কথা আলাদা করে বলতেই হয়। তিনি আনন্দ খালেদ। সংলাপে আনন্দ দিয়ে নিজের নাম সার্থক করেছেন। পুরো ছবিতে আরিফিন শুভ তাঁকে মোটকু, হাতির বাচ্চা, জলহস্তী বলে বলে নাজেহাল করেন। জেনে রাখুন, গল্পে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা এই গোবেচারা চরিত্রটাই রাখবে। কীভাবে? জানতে হলে ছবির শেষ দৃশ্য পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। ব্রঙ্কাইটিস আর আর্থ্রাইটিসের প্রেমের পরিণতিতে তাঁর অবদানই তো সবচেয়ে বেশি। এই যাহ, এতক্ষণ আবির-নীলার মিষ্টি প্রেমের গল্প বলে শেষে এসে খটমটে সব রোগের নাম কেন? হলে গিয়েই রহস্য উদ্ঘাটন করুন!
ঝকঝকে ছবি দেখার মজা অন্য রকম। লোকেশন, রং, সম্পাদনা, কস্টিউম ডিজাইন, সংলাপ সবকিছুই ছিল বেশ পরিচ্ছন্ন। বাড়াবাড়ি নেই। নায়ক চরিত্রে আছেন বলেই আরিফিন শুভকে কস্টিউম ডিজাইনার রংচঙে পোশাক ধরিয়ে দেননি (ভাগ্যিস!)। সাধারণ টি-শার্ট, শার্ট, ফতুয়াতেই তিনি নজর কেড়েছেন। ভিলেন চরিত্রে ইরেশ যাকেরের ‘হু হো হা হা’ হাসি নেই। দুর্বল চিত্তের খলনায়ক হিসেবে তিনি বেশ মানানসই (যদিও মাতাল হয়ে সংলাপ বলার সময় মনে হচ্ছিল, চরিত্রটাকে বোধ হয় হারিয়ে খুঁজছেন)। মজার সংলাপগুলোতে কাতুকুতু দেওয়ার চেষ্টা নেই, এটাও স্বস্তি দিয়েছে। অস্বস্তি দিল কেবল মমর মেকআপ। গানের দৃশ্যে আর একটু বেশি মেকআপ পড়লেই বোধ হয় তাঁকে চেনা কষ্টকর হয়ে যেত! এই বাড়াবাড়িটুকু তিনি পুষিয়ে দিয়েছেন সাবলীল অভিনয়ে।
হৃদয়পুর নামের কাল্পনিক এক মফস্বল শহরে ছবির গল্প। আবির আর নীলা—দুই কিশোর-কিশোরীর মন ছোঁয়াছুঁয়ি শুরু হতে না হতেই বিচ্ছেদ। নীলার বাবা শহরের প্রভাবশালী লোক, জোর করে সে শহর থেকে তাড়িয়ে দেয় আবিরের পরিবারকে। বহুদিন পর যখন হৃদয়পুরে ফেরে আবির, তত দিনে নীলার বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে চাচাতো ভাই ড্যানির (ইরেশ যাকের) সঙ্গে। বিয়ের রাতে আবিরের হাত ধরে বাড়ি ছেড়ে পালায় নীলা। এটুকু জেনে ভাবতে পারেন, গল্পে নতুনত্ব কই! উহু, ঘটনা তো সবে শুরু! ‘কাহিনির বাকিটা বুঝে ফেলেছি’ ভেবে পপকর্নে মন দেওয়ার সুযোগ পাবেন না।
শেষ অবধি যেতে যেতে গল্পটা বোধ হয় অহেতুক দীর্ঘায়িত হলো। আমদর্শকের ভাষায় যাকে বলে ‘ঝুলে গেছে’। আবিরের দুলাভাই চরিত্রে মিশা সওদাগর বরাবরের মতোই দুর্দান্ত। খলনায়ক নন, এ ছবিতে তিনি সুবোধ ভদ্রলোক। শেষের দিকে পিস্তল হাতে যখন বলেন, ‘ভালো মানুষ খেপে গেলে ভয়ংকর হয়ে যায়’, এই জায়গায় একটু খটকা থেকে গেল। ‘ভালো মানুষ’-এর পকেটে কি পিস্তল থাকে? মিশার হাতে পিস্তলের বদলে লাঠি ধরিয়ে দিলেও সম্ভবত অভিনয়ের কারিশমা দিয়ে তিনি পরিচালকের চাহিদাটুকু পূরণ করতে পারতেন।
একজনের কথা আলাদা করে বলতেই হয়। তিনি আনন্দ খালেদ। সংলাপে আনন্দ দিয়ে নিজের নাম সার্থক করেছেন। পুরো ছবিতে আরিফিন শুভ তাঁকে মোটকু, হাতির বাচ্চা, জলহস্তী বলে বলে নাজেহাল করেন। জেনে রাখুন, গল্পে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা এই গোবেচারা চরিত্রটাই রাখবে। কীভাবে? জানতে হলে ছবির শেষ দৃশ্য পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। ব্রঙ্কাইটিস আর আর্থ্রাইটিসের প্রেমের পরিণতিতে তাঁর অবদানই তো সবচেয়ে বেশি। এই যাহ, এতক্ষণ আবির-নীলার মিষ্টি প্রেমের গল্প বলে শেষে এসে খটমটে সব রোগের নাম কেন? হলে গিয়েই রহস্য উদ্ঘাটন করুন!