সময়টা
ছিল ২০ মে, ১৯৯৪। তিনি দাঁড়িয়েছিলেন মিস কলম্বিয়া ও মিস ভেনেজুয়েলার
সঙ্গে। টানটান উত্তেজনা। নতুন ইতিহাস গড়ার রোমাঞ্চ তাঁর প্রতি শিরায় শিরায়
বয়ে যাচ্ছিল হাজার মাইল গতিতে। পাশের দুই বিদেশিনীকে হারিয়ে অবশেষে ইতিহাস
গড়েই ফেললেন সুস্মিতা সেন। জিতে নিলেন প্রথম ভারতীয় হিসেবে মিস ইউনিভার্সের
মুকুট। বাঙালি কন্যা সুস্মিতায় পুরো বিশ্ব মাত হয়ে গেল। বিশ্বজয়ের স্বাদ
পেলেন সুস্মিতা। আসছে মে মাস। সেই জগৎসেরা মুকুট জেতার ২১ বছর পেরোবে।
কিন্তু তাতে আবার এত বিশেষ কী আছে? আছে আছে, এই মে মাসেও সুস্মিতার জীবনে
যোগ হচ্ছে নতুন এক মাইলফলক জয়ের রোমাঞ্চ। মায়ের স্বপ্ন সত্যি করা তো
প্রত্যেক সন্তানের জন্য বিশ্বজয়ের চেয়ে কম কিছু নয়। তাই এই মে মাসের
মাইলফলক জয়কেও সুস্মিতা তুলনা করছেন বিশ্বজয়ের সঙ্গেই। জল আর ঘোলা না করে
আসল খবরটা বলি তবে। সুস্মিতার নতুন মাইলফলকটি হল নির্বাক। আগামী ১ মে
মুক্তি পাচ্ছে ছবিটি। আর তা নিয়ে এখন টানটান উত্তেজনা আর রোমাঞ্চের মধ্য
দিয়ে দিন কাটাচ্ছেন বলিউডের এই অভিনেত্রী।
কলকাতার এক পত্রিকায় দেওয়া সাক্ষাৎকারে সুস্মিতা জানান, তাঁর মায়ের নাকি একটাই স্বপ্ন। মেয়ে একদিন বাংলা ছবিতে অভিনয় করবেন।
আরে, যে মেয়ে বিশ্বের তাবৎ সুন্দরীদের হার মানিয়ে সেরার মুকুট জিতেছেন, অভিনয় করেছেন অমিতাভ, সালমান, শাহরুখদের মতো বাঘা বাঘা অভিনেতাদের সঙ্গে, তাঁর মায়ের স্বপ্ন কিনা মেয়েকে বাংলা ছবির নায়িকা হিসেবে দেখার!
হ্যাঁ। সেটাই স্বপ্ন। পুরোদস্তুর বাঙালি পরিবারের মেয়ে সুস্মিতার ঘরে এখনো জগদ্বিখ্যাত হিন্দি কিংবা ইংরেজি ছবির চেয়ে নাকি বাংলা ছবির কদর বেশি। তাই মায়ের স্বপ্ন লালন করতে করতে একটা সময় বাংলা ছবিতে অভিনয়ের ইচ্ছা সুস্মিতাকেও পেয়ে বসে। তাই তো সৃজিত মুখার্জি যখন সুস্মিতার কাছে নির্বাক ছবির প্রস্তাব নিয়ে গেলেন, তখন আর ‘সুশ’ তাঁকে ফেরাতে পারলেন না। কেনই-বা ফেরাবেন? সৃজিতের চিত্রনাট্যে চোখ বুলিয়ে সেখানেই আটকে গিয়েছিলেন সুস্মিতা। বললেন, ‘চিত্রনাট্য থেকে ছবিটা যেমন দেখা যায়, সেটা আমার অসাধারণ লেগেছিল। গৎবাঁধা কোনো স্ক্রিপ্ট নয়। এর আগে আমি শুধুই বাণিজ্যিক ছবি করেছি। নির্বাক সেই ধারার বাইরে। একেবারে অন্য রকম। যেটা সবাইকে ভাবাবে। এই ফ্যাক্টরগুলো ভেবেই নির্বাক-এ সাইন করেছিলাম।’
সুস্মিতার কথাতেই বোঝা যাচ্ছে নির্বাক আর সৃজিতে কতটাই মুগ্ধ তিনি।
তবে শুধু মুগ্ধ হলেই কি আর একটা ভালো ছবি তৈরি হয়ে যায়? না। একটা ভালো ছবি তৈরির জন্য লাগে অনেক পরিশ্রম আর অধ্যবসায়। তাহলেই তো সফল হয় ছবি। তাই সুস্মিতা তাঁর প্রথম বাংলা ছবিকে সফল করতে চেষ্টার কোনো কমতি রাখেননি। নিজের বাংলা বুলিকে শোধরাতে অনেক কাঠখড় পুড়িয়েছেন তিনি। নিজেই করেছেন বাংলা ভাষায় ডাবিং। সাজপোশাক, কথা বলার ধরন—সবকিছুতেই লক্ষণীয় ছিল সুস্মিতার পরিবর্তন। সেই অভিজ্ঞতার কথা জানাতে গিয়ে সুস্মিতা বলেন, ‘সব ভাবনা সৃজিতের। আমাকে সে সেটে একদম তাড়াহুড়ো না করতে বলেছিল। স্ক্রিপ্টটা পুরো আত্মস্থ করেছিলাম। বেশি কথা বলা বারণ ছিল আমার। আমি শুটিংয়ে সৃজিতকে ফলো করেছি।’
ভালো কথা, সুশ যে শুধু সৃজিতে মুগ্ধ, তা কিন্তু নয়। নির্বাক ছবির পুরো দলই এখন সুস্মিতার মন ও মস্তিষ্কে ছেয়ে আছে। নির্বাক দলের বাকিদের নিয়ে বলিউডের এই নায়িকা বলেন, ‘অসাধারণ সহ- অভিনেতাদের পেয়েছি। ছবিতে যিশু আমার স্বামীর চরিত্রে অভিনয় করেছে। অঞ্জন দত্ত তো বিরাট অভিনেতা। তিনি এই ছবিতে আছেন জেনে আমি খুব থ্রিলড ছিলাম। যদিও তাঁর সঙ্গে আমি কম সময় স্ক্রিন শেয়ার করেছি। সব শেষে বলব ঋত্বিকের কথা। মেধাবী একজন অভিনেতা। আমার দুর্ভাগ্য, ওর সঙ্গে শুটিংয়ে আমার অনেকটা সময় চোখ বন্ধ ছিল। তাই ওকে কম দেখতে পেয়েছি।’
১ মে কলকাতায় মুক্তি পাবে নির্বাক। এরপর মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে মুম্বাইয়ে। সুস্মিতা জানান, দারুণ আগ্রহ নিয়ে তিনি অপেক্ষা করছেন। পরিবার নয়, এই ছবিটা তাঁর বলিউডের বন্ধুদেরও দেখাতে চান তিনি। তাই তো মুম্বাইয়ে নির্বাক-এর একটা বিশেষ প্রদর্শনী করবেন বলে জানিয়েছেন ৪১ বছর বয়সী সুশ। যেখানে মহেশ ভাট, মুকেশ ভাট, পূজা ভাট, প্রিয়াঙ্কা চোপড়াদের মতো তারকা অতিথিরা দেখবেন বাংলা ছবি নির্বাক।
কলকাতার এক পত্রিকায় দেওয়া সাক্ষাৎকারে সুস্মিতা জানান, তাঁর মায়ের নাকি একটাই স্বপ্ন। মেয়ে একদিন বাংলা ছবিতে অভিনয় করবেন।
আরে, যে মেয়ে বিশ্বের তাবৎ সুন্দরীদের হার মানিয়ে সেরার মুকুট জিতেছেন, অভিনয় করেছেন অমিতাভ, সালমান, শাহরুখদের মতো বাঘা বাঘা অভিনেতাদের সঙ্গে, তাঁর মায়ের স্বপ্ন কিনা মেয়েকে বাংলা ছবির নায়িকা হিসেবে দেখার!
হ্যাঁ। সেটাই স্বপ্ন। পুরোদস্তুর বাঙালি পরিবারের মেয়ে সুস্মিতার ঘরে এখনো জগদ্বিখ্যাত হিন্দি কিংবা ইংরেজি ছবির চেয়ে নাকি বাংলা ছবির কদর বেশি। তাই মায়ের স্বপ্ন লালন করতে করতে একটা সময় বাংলা ছবিতে অভিনয়ের ইচ্ছা সুস্মিতাকেও পেয়ে বসে। তাই তো সৃজিত মুখার্জি যখন সুস্মিতার কাছে নির্বাক ছবির প্রস্তাব নিয়ে গেলেন, তখন আর ‘সুশ’ তাঁকে ফেরাতে পারলেন না। কেনই-বা ফেরাবেন? সৃজিতের চিত্রনাট্যে চোখ বুলিয়ে সেখানেই আটকে গিয়েছিলেন সুস্মিতা। বললেন, ‘চিত্রনাট্য থেকে ছবিটা যেমন দেখা যায়, সেটা আমার অসাধারণ লেগেছিল। গৎবাঁধা কোনো স্ক্রিপ্ট নয়। এর আগে আমি শুধুই বাণিজ্যিক ছবি করেছি। নির্বাক সেই ধারার বাইরে। একেবারে অন্য রকম। যেটা সবাইকে ভাবাবে। এই ফ্যাক্টরগুলো ভেবেই নির্বাক-এ সাইন করেছিলাম।’
সুস্মিতার কথাতেই বোঝা যাচ্ছে নির্বাক আর সৃজিতে কতটাই মুগ্ধ তিনি।
তবে শুধু মুগ্ধ হলেই কি আর একটা ভালো ছবি তৈরি হয়ে যায়? না। একটা ভালো ছবি তৈরির জন্য লাগে অনেক পরিশ্রম আর অধ্যবসায়। তাহলেই তো সফল হয় ছবি। তাই সুস্মিতা তাঁর প্রথম বাংলা ছবিকে সফল করতে চেষ্টার কোনো কমতি রাখেননি। নিজের বাংলা বুলিকে শোধরাতে অনেক কাঠখড় পুড়িয়েছেন তিনি। নিজেই করেছেন বাংলা ভাষায় ডাবিং। সাজপোশাক, কথা বলার ধরন—সবকিছুতেই লক্ষণীয় ছিল সুস্মিতার পরিবর্তন। সেই অভিজ্ঞতার কথা জানাতে গিয়ে সুস্মিতা বলেন, ‘সব ভাবনা সৃজিতের। আমাকে সে সেটে একদম তাড়াহুড়ো না করতে বলেছিল। স্ক্রিপ্টটা পুরো আত্মস্থ করেছিলাম। বেশি কথা বলা বারণ ছিল আমার। আমি শুটিংয়ে সৃজিতকে ফলো করেছি।’
ভালো কথা, সুশ যে শুধু সৃজিতে মুগ্ধ, তা কিন্তু নয়। নির্বাক ছবির পুরো দলই এখন সুস্মিতার মন ও মস্তিষ্কে ছেয়ে আছে। নির্বাক দলের বাকিদের নিয়ে বলিউডের এই নায়িকা বলেন, ‘অসাধারণ সহ- অভিনেতাদের পেয়েছি। ছবিতে যিশু আমার স্বামীর চরিত্রে অভিনয় করেছে। অঞ্জন দত্ত তো বিরাট অভিনেতা। তিনি এই ছবিতে আছেন জেনে আমি খুব থ্রিলড ছিলাম। যদিও তাঁর সঙ্গে আমি কম সময় স্ক্রিন শেয়ার করেছি। সব শেষে বলব ঋত্বিকের কথা। মেধাবী একজন অভিনেতা। আমার দুর্ভাগ্য, ওর সঙ্গে শুটিংয়ে আমার অনেকটা সময় চোখ বন্ধ ছিল। তাই ওকে কম দেখতে পেয়েছি।’
১ মে কলকাতায় মুক্তি পাবে নির্বাক। এরপর মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে মুম্বাইয়ে। সুস্মিতা জানান, দারুণ আগ্রহ নিয়ে তিনি অপেক্ষা করছেন। পরিবার নয়, এই ছবিটা তাঁর বলিউডের বন্ধুদেরও দেখাতে চান তিনি। তাই তো মুম্বাইয়ে নির্বাক-এর একটা বিশেষ প্রদর্শনী করবেন বলে জানিয়েছেন ৪১ বছর বয়সী সুশ। যেখানে মহেশ ভাট, মুকেশ ভাট, পূজা ভাট, প্রিয়াঙ্কা চোপড়াদের মতো তারকা অতিথিরা দেখবেন বাংলা ছবি নির্বাক।