নতুন
করে দায়িত্ব নেয়ার পর কোনো দিনও মাশরাফি বিন মুর্তজাকে এমনটা বলতে শোনা
যায়নি। বরং সব সময় দলকে আগলে রেখেই সংবাদ সম্মেলনে কথা বলতেন তিনি। তবে,
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে চার উইকেটের পরাজয়ের পর খোলস ভেঙে বের হয়ে আসলেন
অধিনায়ক।
সিএ
একাদশ ও পাকিস্তানের বিপক্ষে পরাজয়ের একটা ব্যাখ্যা তাও দাঁড় করানো গেল।
কিন্তু আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে হারের কোনো ব্যাখ্যা পাওয়া কঠিন। মাশরাফিও
কোন ব্যাখ্যা দিলেন না। বরং খেলোয়াড়দের দায়বদ্ধতা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন
তিনি।
ব্রিসবেনে
নিজেদের খরচে দু’সপ্তাহ কন্ডিশনিং ক্যাম্প করেছে। নিজেদের আয়োজনেই ক্রিকেট
অস্ট্রেলিয়া (সিএ) একাদশের সাথে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচও খেলেছে। বড় শক্তি
বলেই সেই দুই ম্যাচের হার নিয়ে খুব একটা প্রশ্ন ওঠেনি। প্রশ্ন ওঠেনি
পাকিস্তানের বিপক্ষে আইসিসি নির্ধারিত প্রস্তুতি ম্যাচের পরও। তবে, আর
ক্রিকেটাররা সব ধরনের সমালোচনা থেকে নিজেদের দূরে রাখতে পারলেন না। বলা
হচ্ছে এতো দিনের এতো আয়োজন করে অনুশীলনের সবটাই কি বৃথা?
বাকিদের
কথা জানা নেই, তবে মাশরাফি অন্তত সব কিছুর ফলাফল শুন্য বলেই মনে করছেন। গত
২৬ জানুয়ারি অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে পা রাখা অধিনায়কের কণ্ঠে তাই আগুনই ঝড়লো
সংবাদ সম্মেলনে, ‘ফলাফলের দিক থেকে যদি বলেন, তাহলে প্রাপ্তি শূন্যই বলা
যায়। আমরা এখানে আগে থেকেই অনুশীলন করছিলাম নিজেদের পরিবেশের সাথে মানিয়ে
নেয়ার জন্য। কিন্তু, সেটা আদৌ হয়েছে কি না সেটা আমরা দেখা পারিনি।
পাকিস্তানের সাথে ভালো খেলেও শেষ পর্যন্ত আমরা জিততে পারিনি। আয়ারল্যান্ডের
বিপক্ষে অবস্থাটা আরও খারাপ। ধারাবাহীকতা একদমই ছিল না। এখানে আমি
ট্রেনিংয়ের কোন সমস্যা খুঁজে পাচ্ছি না। কেমন উইকেটে আমরা খেলতে যাচ্ছি
সেটার ধারণাও আমাদের আগে থেকেই দেয়া হয়েছিল। কিন্তু মাঠে গিয়েই আমরা সব
কিছু গোলমাল করে ফেলছি। এমন হলে তো খেলোয়াড়দের মনোভাব নিয়ে প্রশ্ন উঠবেই।’